ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পেশায় চাষি ওই ব্যক্তি সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় নবদ্বীপঘাট থেকে কৃষ্ণনগর স্টেশনগামী একটি অটো দ্রুতগতিতে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ওই এলাকা দিয়ে খুব দ্রুত গতিতে অটো চলাচল করে। ফলে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাত শেখ বলেন, প্রতিদিন অটো ও টোটোগুলি যেভাবে দ্রুতগতিতে যাতায়াত করে, তাতে যেকোনও মুহূর্তে আরও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কাছেই রয়েছে বাজার, ছোটদের স্কুল। ফলে পুলিস ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ না করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাধাষ্টমীর দিন দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে তাঁতিবাড়ি এলাকায় এক ব্যক্তিকে অটো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে। ঘটনায় ওই ব্যক্তি গুরুতর জখম হন। এখনও তাঁর চিকিৎসা চলছে। এদিন রাস্তা অবরোধের জেরে দুর্ভোগে পড়তে হয় রাধাষ্টমী উপলক্ষে নবদ্বীপ-মায়াপুরে আসা তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। পুলিস প্রশাসন অটোচালকদের কাছ থেকে মাসোহারা নেয়। ফলে অটোচালকদের দৌরাত্ম্য দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
মৃতের এক আত্মীয়, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার জুলহক শেখ বলেন, কৃষ্ণনগরগামী ওই অটোটি দ্রুতগতিতে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয়। অটোর ধাক্কায় সাইকেল সহ রাস্তায় ছিটকে পড়লে মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। নাক ও মুখ দিয়ে অঝোরে রক্ত ঝড়তে থাকে। স্থানীয় মানুষ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, অটোচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই এলাকায় অটোর দৌরাত্ম্য রুখতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।