উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
কিরঘিজ রাজধানী বিশকেকে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে এসেছেন কুরেশিও। সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে যে জল্পনা ছড়িয়েছিল, তা পুরোপুরি সত্য নয় বলে জানান পাক বিদেশমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যমকে কুরেশি বলেন, ‘হ্যাঁ, দু’জনের দেখা হয়েছিল ঠিকই। করমর্দনের পাশাপাশি তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ও করেন।’
এরপরই ভারতের প্রসঙ্গে পাক বিদেশমন্ত্রীর দিকে একের পর এক প্রশ্ন ধেয়ে আসে। পাকিস্তানের তরফেই বারবার আলোচনায় বসার জন্য তৎপর হওয়ার বিষয়টিকে একাংশ ভালো চোখে দেখেন না। অনেকে সরাসরি ইসলামাবাদের সমালোচনাও করেন। এ প্রসঙ্গে পাক বিদেশমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমরা কারও পিছনে দৌড়ই না। আবার অহেতুক জেদ দেখানোরও পক্ষপাতি আমরা নই। এই বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান খুবই বাস্তবসম্মত এবং সুপরিকল্পিত।’ ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগে কুরেশি দাবি করেন, নিজেদের ‘ভোটব্যাঙ্ক’ অটুট রাখতে ‘নির্বাচনী মানসিকতা’ থেকে বেরতে পারছে না নয়াদিল্লি। তাঁর সাফ কথা, ‘পাকিস্তান যা বলার বলে দিয়েছে। এবার নয়াদিল্লির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা।’
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পর তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। গত ২৬ মে মোদিকে ফোন করে দু’দেশের উন্নতির লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ইমরান। এমনকী, ইমরান এবং কুরেশি আলাদা চিঠি লিখে মোদি এবং জয়শঙ্করকে আলোচনায় বসার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু, চিঁড়ে ভেজেনি। ২০১৬ সালে পাঠানকোটের ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে পাক জঙ্গিরা হামলা চালানোর পর থেকেই পড়শি দেশের সঙ্গে যাবতীয় আলাপ-আলোচনা বন্ধ রেখেছে নয়াদিল্লি। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী মোদি সাফ জানিয়ে দেন, আলোচনা এবং সন্ত্রাস কখনও একসঙ্গে চলতে পারে না। এই অঞ্চলে শান্তি স্থাপনের জন্য বিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করার পাশাপাশি হিংসা এবং সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ গঠন জরুরি বলেও জানান তিনি।