উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
উল্লেখ্য, ইন্দোর থেকেই যাতায়াত করা ৩৯টি ট্রেনের যাত্রীদের হেড অ্যান্ড ফুট মাসাজ দিতে উদ্যোগী হয়েছিল পশ্চিম রেলের রতলাম ডিভিশন। মূলত এনআইএনএফআরআইএস (নিউ ইনোভেটিভ নন-ফেয়ার রেভিনিউ আইডিয়াজ স্কিম) প্রকল্পে তা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ যাত্রীভাড়া না বাড়িয়ে নতুন বিকল্প এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতিতে রেলের রাজস্ব বৃদ্ধি করা। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা এই পরিষেবা দিলেও রেল তাঁদের জন্য সচিত্র পরিচয়পত্র জারি করবে। যাত্রীপিছু ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত প্যাকেজে শুধুমাত্র পুরুষ যাত্রীরাই এই পরিষেবা পাবেন। তবে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই পরিষেবা মিলবে না।
রেলমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তবুও এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার নিয়ে কিছুটা দোলাচলে ছিল রেলমন্ত্রক। কিন্তু গত শুক্রবার পীযূষ গোয়েলকে লেখা চিঠিতে সুমিত্রা মহাজন স্পষ্ট জানান, এর ফলে ট্রেনের মহিলা যাত্রীরা নিজেদের অসুরক্ষিত বোধ করতে পারেন। অস্বাচ্ছন্দ্যে ভুগতে পারেন। মহিলা যাত্রীরা যাতে নিরাপদ থাকেন, তার জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে রেলমন্ত্রক? ইন্দোর রেলস্টেশনে কি মাসাজ পার্লার খুলতে চাইছে রেল? সূত্রের খবর, এহেন কড়া চিঠির পরেই আর বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করতে চায়নি রেলমন্ত্রক। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ জারি করেন রেলমন্ত্রী। তারপরেই রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে চলন্ত ট্রেনে হেড অ্যান্ড ফুট মাসাজ পরিষেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করে ওয়েস্টার্ন রেল কর্তৃপক্ষ।