বার্সেলোনা, ৩১ মার্চ: করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এক ধাক্কায় থমকে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। সর্বত্র চলছে লকডাউন। যার জেরে বন্ধ রয়েছে খেলাও। এর প্রভাব পড়েছে ক্লাবগুলির অর্থনীতিতে। এই দুঃসময়ে ক্লাবের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ফুটবলাররা। ইতিমধ্যেই মরশুমের শেষ চার মাসের বেতন না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন জুভেন্তাসের প্রথম সারির ফুটবলাররা। এবার ক্লাবের স্বার্থে নিজেদের বেতনের ৭০ শতাংশ কম নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন বার্সেলোনার ফুটবলাররা। দলের অধিনায়ক লায়োনেল মেসি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মধ্যে দিয়ে এই কথা ঘোষণা করেছেন। এই কঠিন সময়ে ক্লাবের অন্য কর্মচারীরা যাতে পুরো বেতন পান, তার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত মেসিরা। একইসঙ্গে শেষ কয়েকদিন যেভাবে এই বেতন কমানো নিয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবাদপত্রে ভুল বার্তা বহন করা হয়েছিল, তারও সমালোচনা করেন কাতালন ক্লাবটির প্রাণভোমরা। শোনা গিয়েছিল, ফুটবলারদের বেতন কাটছাঁট করার ব্যাপারে ফুটবলারদের উপর চাপ দিয়েছিলেন ক্লাব কর্তারা। যা শোনার পর রীতিমতো অবাক হয়েছিলেন মেসি।
ইনস্টাগ্রামে মেসি জানিয়েছেন, ‘করোনার জন্য লকডাউন প্রায় গোটা বিশ্ব। স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক সঙ্কটে ক্লাবও। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা বেতনের ৭০ শতাংশ ক্লাবের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছি। এরপরেও আর্থিক সহযোগিতার জন্য আমরা তৈরি। এই সামান্য স্বার্থত্যাগের জন্য আমরা বরাবরই প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু আমাদের মানসিকতা না বুঝে ক্লাবের কতিপয় মানুষ ভুল বার্তা সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এতদিন এই বিষয়ে কথা বলিনি। কারণ ক্লাবকে সাহায্য করার সবচেয়ে বাস্তব উপায় খুঁজে বের করাই ছিল প্রধান লক্ষ্য।’ মেসির এই পোস্টের পর তাঁর সহ-ফুটবলার জেরার্ড পিকে, আতোঁয়া গ্রিজম্যান, লুই সুয়ারেজ, জর্ডি আলবা, ফ্রেঙ্কি ডে জং, আর্তুরো ভিদাল, মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেনে এই বার্তাটি নিজেদের পেজে পোস্ট করেন।
উল্লেখ্য, শেষ কয়েক মাস বার্সেলোনার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মেসির অম্লমধুর সম্পর্ক চলছে। বিশেষ করে দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর এরিক আবিদালের সঙ্গে মতানৈক্য বাড়িয়েছে সমস্যা। এদিন ক্লাব সভাপতি বার্তোমেউ ক্লাবের পক্ষ থেকে অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘মেসি প্রথম দিনই বলেছিল বেতন কমানো উচিত। ওই এই প্রস্তাব দিয়েছে। হয়তো ক্লাবের ভিতর ও বাইরের কিছু মানুষের কথায় লিও হতাশ হয়েছে। যা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়। শুধু ফুটবল নয়, বার্সেলোনার বাস্কেটবল দলও নিজেদের ৭০ শতাংশ বেতন ক্লাবের হাতে তুলে দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খেলোয়াড়দের এই মানসিকতায় আমরা মুগ্ধ।’