দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা বলেন, আধুনিক মানের ওই ব্যায়ামাগার তৈরির কাজ আমরা খুব শীঘ্রই শেষ করব। আশা করি, কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে আমরা ব্যায়ামাগারটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার হাতে তুলে দেব। আধুনিকমানের সরঞ্জাম দিয়ে এটি সাজানো হবে।
আলিপুরদুয়ার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব সঞ্চয়ন ঘোষ বলেন, ব্যায়ামাগারটি জেলা প্রশাসন তৈরি করে দিচ্ছে। সেটি আমাদের হস্তান্তর হলেই আমরা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেব। এখানে অনুশীলনের জন্য কত টাকা নেওয়া হবে তা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পরই স্থির হবে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যায়ামাগারটি তৈরি করার জন্য তারা প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্দ করেছে। জেলা প্রশাসনই ব্যায়ামাগারের কাজ করছে। ইন্ডোর স্টেডিয়ামের এককোনে অত্যাধুনিক মানের ব্যায়ামাগারটি করা হচ্ছে। ভবনের কাজ শেষ হলেই ব্যায়ামাগারে আধুনিকমানের বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে আসা হবে। আলিপুরদুয়ার শহরে কয়েকটি ব্যায়ামাগার থাকলেও সবগুলিই বেসরকারি। ফলে সেখানে শরীরচর্চা করলে প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা মেটাতে হয়। সরকারি এই অত্যাধুনিক ব্যায়ামাগারটি তৈরি হয়ে গেলে সেখানে নামমাত্র ফি দিয়ে সকলে শরীরচর্চা করতে পারবেন।
আলিপুরদুয়ার শহরে থাকা প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যার পাশে ইন্ডোর স্টেডিয়াম রয়েছে। ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বর্তমানে ব্যাডমিন্টন এবং টেবল টেনিস খেলার পরিকাঠামো করা হয়েছে। কিন্তু টেবল টেনিস খেলায় আলিপুরদুয়ার জেলা গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন সেরকম সাড়া পাচ্ছে না। তবে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ব্যাডমিন্টন খেলার ভালো সাড়া মিলছে তাদের। কিন্তু শুধুমাত্র একটি খেলা দিয়ে ইন্ডোর স্টেডিয়ামের জৌলুস বজায় রাখা সম্ভব নয় বলে জেলা প্রশাসন বিকল্প চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল। তাই সেখানে ব্যয়ামাগার করার বিষয়ে প্রশাসন উদ্যোগ নেয়। পরবর্তীতে তারা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করে। সেই আবেদন গৃহীত হয় এবং ডিপিআর বানিয়ে সেখানে ব্যায়ামাগার করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এখন সেটির কাজই চলছে। খুব শীঘ্রই ব্যায়ামাগারের কাজ শেষ করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।