দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
কাশ্মীরে জঙ্গিহানার পর ভূ-স্বর্গকে নিয়ে এই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তা ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন রবার্টসন ও তাঁর দলের মিডফিল্ডার খালিদ কায়ুম। দু’জনেই বললেন, ‘গত চার মাস আমরা কাশ্মীরে নির্বিঘ্নেই আই লিগের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনওরকম সমস্যায় পড়তে হয়নি।’ আর প্রস্তুতি ভালো হয়েছে বলেই বুধবার ইস্ট বেঙ্গলের পয়েন্ট কাড়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রিয়াল কাশ্মীর শিবির। কোচ ডেভ রবার্টসন বললেন, ‘আই লিগে অভিযান শুরু করার আগে আমরা আইএসএলের দলগুলির সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। সবচেয়ে বড় কথা, গতবারের থেকে এবার আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে।’ প্রতিপক্ষ ইস্ট বেঙ্গলকে দারুণ সমীহ করছেন স্কটিশ কোচ। বললেন, ‘অ্যাওয়ে ম্যাচে এক কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আমরা শুরু করছি। ইস্ট বেঙ্গল খুবই শক্তিশালী টিম। মূলত আই লিগকে ফোকাস করে ওরা প্রস্তুতি নিয়েছে। কোচ ও ফুটবলাররা খুবই ভালো মানের। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
কল্যাণীর মাঠ চেনা রিয়াল কাশ্মীর কোচের। তবুও মাঠ ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে তারা ম্যাচের দু’দিন আগেই চলে এসেছে সরাসরি কল্যাণীতে। রবার্টসন বলছেন, ‘কাশ্মীরের ঠান্ডা ও বরফের মধ্যে আমরা প্র্যাকটিস করে এসেছি। কল্যাণীতে ভিন্ন মাঠ ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে ইস্ট বেঙ্গল। আমাদের ফুটবলাররা সেরাটা দিতে তৈরি। তারপর কী হয় দেখা যাক।’ দলে বড় কোনও চোট-আঘাত নেই। সেটাই মনোবল বাড়িয়েছে রিয়াল কাশ্মীর শিবিরে। দলের সঙ্গে এসেছেন ছ’জন বিদেশি ফুটবলারই। একমাত্র চোট রয়েছে মিডফিল্ডার নগেন তামাংয়ের। স্কটিশ ও নাইজেরিয়ার ডিফেন্ডার ম্যাসন রবার্টসন ও লাভডে দলের রক্ষণে বড় ভরসা। এছাড়া দলে রয়েছেন জাম্বিয়ার মিডফিল্ডার অ্যারন কেটবে, ইংলিশ ফরোয়ার্ড কালুম হিগিনবথাম, আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার ক্রিজো ও কলকাতায় খেলে যাওয়া সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার বাজি আর্মান্ড। শেষেরজন ইস্ট বেঙ্গলে খেলে গিয়েছিলেন। পুরানো দলকে জবাব দিতে তিনি তৈরি।