দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কে-ওয়ান, কে-টু, এই দু’টি ভাগে ছাত্রীদের কন্যাশ্রীর টাকা দেওয়া হয়। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের কে-ওয়ানের টাকা দেওয়া হয়। আর ১৯ বছর বয়সের উপরে মেয়েদের কে-টুয়ের টাকা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, নাম নথিভুক্ত করার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই আমরা জেলার সব প্রান্তে দু’টি ক্ষেত্রে ছাত্রীদের এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু করেছি। লক্ষ্যমাত্রার অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি আমরা। এখনও আরও কয়েক মাস সময় রয়েছে। আশা করছি, নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী, কে-ওয়ান কন্যাশ্রীর জন্য ছাত্রীর বয়স ১৩ বছর হতে হবে। সাধারণত এই বয়সে এক ছাত্রী সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। আর ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি বছর ছাত্রীদের এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়। স্কুলের পক্ষ থেকে নাম নথিভুক্ত করার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করবে। আর সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্লকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্লকের পক্ষ থেকে সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে কে-টুয়ের জন্য ছাত্রীর বয়স ১৮ বছরের বেশি আর ১৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। কোনও ছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় তাঁর বয়স ১৮ বছরের বেশি হয়ে গেলে সে সেই স্কুলের মাধ্যমে কে-টুয়ের জন্য আবেদন করতে পারে। আর সে স্কুল থেকে পাশ করে কলেজে চলে গেলে সেখানে গিয়ে আবেদন করতে পারে। অনেক সময় কে-ওয়ানের জন্য কোনও ছাত্রী আবেদন না করলেও ১৮ বছরের বেশি বয়স হলেই তিনি সরাসরি কে-টুয়ের জন্য আবেদন করতে পারেন। কে-ওয়ানের জন্য প্রতিটি ছাত্রীকে বছরে হাজার টাকা দেওয়া হয়। আর কে-টুয়ের জন্য বছরে একবারই ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
গত আর্থিক বছরে এই জেলায় কে-ওয়ান কন্যাশ্রী প্রকল্পে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৪১ জন ছাত্রীকে কন্যাশ্রীর টাকা দেওয়া হয়েছিল। গতবার এই খাতে ১৪ কোটি ৬৩ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। আর ২৩ হাজার ১৫০ জনকে কে-টু কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫৭ কোটি ৮৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯-’২০ আর্থিক বর্ষে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ১০ জনকে কন্যাশ্রী দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কে-ওয়ান প্রকল্পে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ২৮ জন রয়েছে। অক্টোবর মাসের মধ্যেই ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৩৮ জনকে কন্যাশ্রীর টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আর কে-টু প্রকল্পে ১৯ হাজার ৯৮২ জনকে টাকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১৮ হাজার ৩৪৭ জনকে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কে-ওয়ান প্রকল্পের জন্য ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যে ১১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আর কে-টু প্রকল্পের জন্য ৪৯ কোটি ৯৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৪৫ কোটি ৮৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বিলি করা হয়ে গিয়েছে।