বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
কোচবিহার জেলা জুড়ে কাটমানি নিয়ে আন্দোলন থামছেই না। এর আগে মেখলিগঞ্জ পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে সবার বাড়ি প্রকল্পের ঘরের প্ল্যান এস্টিমেট পাশ করানোর নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। এবার সবার বাড়ি প্রকল্পে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলার মন্টুবাবুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সবার বাড়ি প্রকল্পে দুই শতাধিক ঘর দেওয়া হয়েছে। এদিন ওয়ার্ডের ৬০ জন বাসিন্দা একটি তালিকা তৈরি করে কাউন্সিলারের সামনে তুলে ধরেন। তাতে হিসাব করে দেখা যায় মন্টুবাবু ১২ লক্ষ টাকা কাটমানি নিয়েছেন। এই কাটমানির টাকা ফেরতের দাবিতে বৃহস্পতিবার বাসিন্দারা কাউন্সিলারকে চেপে ধরেন। বাধ্য হয়ে বাসিন্দাদের কাছে মুচলেকা দিয়ে তিনি একমাস সময় চেয়ে নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সুবোধ মণ্ডল, সিরাজ রহমান, অরিন্দম সাহা বলেন, মন্টুবাবু ঘর দিতে সবার কাছ থেকে ২০-২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এই কাটমানির টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ঘোষণা করায় আমরা এদিন কাউন্সিলারের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন এক মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেবেন। টাকা ফেরত না দিলে আমরা ফের আন্দোলন শুরু করব।
বিজেপি’র মেখলিগঞ্জ শহর মণ্ডল কমিটির সম্পাদক আশেকার রহমান বলেন, মন্টুবাবু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের জন্য বাসিন্দাদের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি নিয়েছেন। এদিন বাসিন্দারা কাটমানি ফেরতের দাবি জানিয়েছেন। তিনি মুচলেকা দিয়ে আপাতত রেহাই পেয়েছেন।
অন্যদিকে, কাটমানি ফেরতের নির্দেশ দিয়ে দলনেত্রী সঠিক কাজ করেছেন। সবাই এই গোত্রে পড়েন না। কিন্তু নোট বন্দির পর বিজেপি এবারের লোকসভা ভোটে হাজার হাজার কোটি টাকা কীভাবে খরচ করল। বাম আমলে আরও বেশি কাটমানির চল ছিল। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ হলে কিষাণ খেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি বেচারাম মান্না একথা বলেন। এদিনের সভাকে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা হিসেবেই ধরা হয়েছিল। এদিনের সভায় জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধি, দলীয় নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বেচারামবাবু বলেন, ইভিএম নয় ব্যালট, এই শ্লোগানকেই এবার প্রচারের ইস্যু করা হচ্ছে। তবে দলীয় কর্মীদের এখন থেকেই সংযত হতে হবে। সহজ সরল জীবনযাপন করতে হবে। চারদিকে বিজেপি যেভাবে সন্ত্রাস করছে তাতে গণতন্ত্র ফেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে সংগঠনের জেলা সভাপতি দুলাল দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন, জেলা নেতৃত্বের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।