সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
চলতি মাসের ৫ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারত। এরপরেই বিষয়টি ঘিরে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। কাশ্মীরের পাশে থাকার বার্তা দেয় ইসলামাবাদ। পাল্টা নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কোনও দেশের হস্তক্ষেপ মানা হবে না। উত্তেজনার আবহের মধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, ৩০ মিনিটের এই ফোনালাপে উপমহাদেশের শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দিকে আঙুল তোলেন মোদি। বলেন, কয়েকজন নেতার ভারত বিরোধী জঙ্গি মনোভাব ও প্ররোচনা এই এলাকার শান্তির পক্ষে সহায়ক নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় সন্ত্রাস ও হিংসা বিরোধী পরিবেশ তৈরির পক্ষে জোর দেন মোদি।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপের অব্যবহিত পরেই টেলিফোনে ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এক সপ্তাহেরও কম সময়ে এনিয়ে দু’বার পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। পরে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তিনি জানান, বাণিজ্য, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলতে থাকা কাশ্মীর উত্তেজনা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হলেও সদর্থক আলোচনা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রিন্সিপাল ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলে জানিয়েছেন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ককে জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় আলোচনার পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ইমরান খানকেও শান্তি বজায় রাখার জন্য বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার একদিন আগেই অবশ্য ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন ইমরান খান। ভারতের ভূমিকা সেদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও পাকিস্তানের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যদিও পাকিস্তানের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ভারত। পরে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনিক কথোপকথনে মোদি জানান, যে কোনও দেশের সঙ্গে আলোচনা করতে ভারত প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু তাদের সন্ত্রাসমুক্ত আবহাওয়া তৈরি করতে হবে। সীমান্তপারের সন্ত্রাস, লাগাতার জঙ্গি হামলার মোকাবিলা করে গোটা এলাকাকে সন্ত্রাসমুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন মোদি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথপোকথনের সময় ভারতের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইমরান। জানান, পরমাণু যুদ্ধের বিষয়টি শুধুমাত্র আঞ্চলিকগতভাবেই নয়, সমগ্র বিশ্বের কাছেই অত্যন্ত দুশ্চিন্তার। সূত্রের খবর, ইমরান খানের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারত নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি ট্রাম্প। উল্টে কাশ্মীর ইস্যুতে ইমরান খানকে সংযত থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলার তিনদিন আগে ইমরান খানের সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন ট্রাম্প। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য পাক প্রধানমন্ত্রীকে বার্তাও দেন তিনি। কিন্তু পাকিস্তান সরকার এনিয়ে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই এবার কিছুটা কড়া ভাষায় ইমরান সরকারকে সংযত হওয়ার বার্তা দিলেন ট্রাম্প।