নয়াদিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর: জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে সরব হয়েছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার অভিযোগ তুলে পরিষদকে একটি ‘ডসিয়ার’ জমা দিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ডসিয়ারের শুরুর দিকের কিছু পাতা ইতিমধ্যেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ফাঁস হওয়া ওই কয়েক পাতায় ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আব্দুল্লা এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কয়েকটি মন্তব্যকে ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে রাহুলের মন্তব্য উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘২০ দিন হতে চলল জম্মু ও কাশ্মীরের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারগুলিকে সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। উপত্যকার বিরোধী নেতৃত্ব এবং সংবাদমাধ্যম এক কঠোর প্রশাসনের স্বাদ পেয়েছেন। আর আমরা যখন শ্রীনগরে ঢোকার চেষ্টা করেছি, ওরা প্রবল শক্তি দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরবাসীর উপর অত্যাচার করেছে।’ একই ভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লার ভাষণ উদ্ধৃত করে ডসিয়ারে লেখা হয়েছে, ‘ভারত সরকারের এই একতরফা এবং চমকে দেওয়া সিদ্ধান্তের সুদূরপ্রসারি এবং ভয়ঙ্কর পরিণাম হবে। এটা কাশ্মীরের বিরুদ্ধে আক্রমণ। এই সিদ্ধান্ত একতরফা, বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। সামনে দীর্ঘ এবং কঠিন লড়াই। আমরা তৈরি।’
এর আগে গত ২৮ আগস্ট কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সাফ জানিয়েছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে পাকিস্তানের নাক গলানোর কোনও দরকার নেই। পরপর একাধিক ট্যুইটে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে রাহুল বলেন, ‘একাধিক বিষয়ে এই সরকারের সঙ্গে আমার মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু একটা জিনিস আমি পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে পাকিস্তান বা অন্য কোনও দেশের নাক গলানোর কোনও প্রয়োজন নেই।’ অন্য একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে হিংসা চলছে। কারণ এর পিছনে পাকিস্তানের প্ররোচনা ও মদত রয়েছে। যারা সন্ত্রাসবাদের অন্যতম মদতদাতা হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত।’ রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করে কংগ্রেসও।