ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এফএমডি অর্থাৎ ‘ফুট অ্যান্ড মাউথ’ এবং ‘ব্রুসেলোসিস’ নামে গোরুর বিশেষ রোগ রোখার পাশাপাশি ভেড়া, ছাগল, মোষ, শূকরের সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে আগামী পাঁচ বছরে ১৩ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা খরচ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। যার মধ্যে স্রেফ গোরু, ছাগলের মতো গবাদি পশুর ‘ফুট অ্যান্ড মাউথ’ রোগ আটকাতেই আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১২ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা খরচ করা হবে বলেই প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। আগে এই প্রকল্পের খরচের ক্ষেত্রে রাজ্যকে দিতে হতো ৪০ শতাংশ। কিন্তু এখন প্রকল্প নতুন করে ঢেলে সাজায় কেন্দ্রই পুরো খরচ বহন করবে।
আগামী ছ’ বছরের মধ্যে রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে গবাদি পশুর এই বিশেষ রোগ নির্মূল করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে মোদি সরকার। ‘ফুট অ্যান্ড মাউথ’ রোগ নির্মূল করতে পারলে প্রায় ৩০ শতাংশ দুধ নষ্ট হওয়া আটকানো যাবে। একইসঙ্গে নিরোগ গোরুর রপ্তানি বাড়বে। রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে বছরে দু’বার করে গোরু এবং মোষকে টিকা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০০৩-০৪ আর্থিক বছরে গবাদি পশুর এই রোগ নিরাময় প্রকল্প শুরু হলেও তা আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি বলেই প্রধানমন্ত্রীর অফিসের রিপোর্ট। তাই নতুন করে ঢেলে সাজিয়েই ১০০ শতাংশ কেন্দ্রের খরচে প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের পেনশন দেওয়ার প্রকল্পও ১২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পে সরকার আগামী তিন বছরের জন্য ১০ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে। দেশের পাঁচ কোটি উল্লেখিত কৃষকের ৬০ বছরের বয়সের পর থেকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা পেনশন দেওয়া হবে। টার্গেট পাঁচ কোটি কৃষক হলেও, এই মূহূর্তে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষর নাম নথিভূক্ত হয়েছে বলে কৃষিমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। এবং সেই তালিকা সামনে রেখেই আগামী আগামী বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে ‘কিষাণ মান-ধন যোজনা’র সূচনা করবেন মোদি।
সামনেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। তাই গরিব কৃষকের এই পেনশন প্রকল্প শুরুর সূচনা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঝাড়খণ্ডকে বেছে নিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৬০ বছর বয়সের পর কোনও মাসে তিন হাজার টাকার এই পেনশন পেতে হলে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষককেও অর্থ কনট্রিবিউট করতে হবে। এখন যাদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, কেবলমাত্র সেইসব ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকই ‘কিষাণ মান-ধন’ যোজনায় নাম নথিভূক্ত করতে পারবেন।