কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
আমি ১৯ তারিখ সকালে স্কটল্যান্ড থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে নামি। শরীরে জ্বর আছে বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু জ্বর কম থাকায় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে ধরা পড়েনি। আমি বিমানবন্দরে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের বিষয়টি জানাই। গায়ে হালকা ব্যথা ছিল। ওনারা সমস্ত কিছু শুনে আমায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলেন। ওখানে প্যারাসিটামল খাই। এরপরই ফ্লাইট ধরে ওইদিন কলকাতায় ফিরি। কলকাতা এয়ারপোর্টেও থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে জ্বর ধরা পড়েনি। ওনারা সমস্ত কিছু শোনার পর আমাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সমস্যা বুঝতে পেরে আমি সরাসরি বেলেঘাটায় যাই। শরীর অসুস্থ থাকায় আমি গাড়ির মধ্যে বসেছিলাম। বাবা লাইনে দাঁড়ান। এরপর আমি চিকিৎসককে সমস্ত কিছু বলার পর উনি আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। পরের দিন সন্ধ্যায় জানতে পারি, আমি করোনায় আক্রান্ত। প্রথমে একথা জানার পর আমাকে আতঙ্ক গ্রাস করে। কারণ, চীন সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মিছিল চলছে। সর্বত্র আতঙ্কের পরিবেশ। ওই সময় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা আমায় ফোন করে সাহস দেন। আমি ১৯ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত বেলেঘাটাতে ভর্তি ছিলাম। তখন সাধারণ সর্দি জ্বরের মতোই শরীরে ব্যথা ছিল। কখনও মাথায় ব্যথা হচ্ছিল। এছাড়া বড় কোনও সমস্যা হয়নি। কোনও রকম শ্বাসকষ্টও হয়নি। আমি ৩১ তারিখ হাবড়ার বাড়িতে ফিরেছি। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো আমি ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনেই থাকবো। তবে সুস্থ হয়ে ওঠার পর আমি বুঝেছি, করোনা মানেই মৃত্য নয়। সেকারণে অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। অন্যান্য ভাইরাল ফিভারের মতোই করোনাতে আক্রান্ত হলে জ্বর হবে। শরীরে সামান্য ব্যথা থাকবে। যার শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হবেন। প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে। শরীরে জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি,কাশি থাকলে না লুকিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যান। করোনা ভাইরাস মারাত্মক ছোঁয়াচে। সেকারণে সকলকে সচেতন হতে হবে। লকডাউন মেনে বাড়ির মধ্যে থাকতে হবে। অহেতুক গুজব ছড়িয়ে কাউকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করলে সমস্যা আরও বাড়বে।
(স্কটল্যান্ড ফেরত হাবড়ার তরুণী, মোনামি বিশ্বাস)