কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ার পাল্লাদহ কাঁটাগঞ্জের রেশন দোকান পুরো ভেঙে দেয় গ্রাহকরা। পুলিস তথা রেশন বিভাগের প্রতিনিধিরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি। জন প্রতিনিধিকে সাহায্যের জন্য ডেকেও লাভ হয়নি। সোনারপুরের চম্পাহাটিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো কেন পাঁচ কেজি মাল দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ মানুষ জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। কার্ড যাঁদের নেই, তাঁদের কবে থেকে রেশন দেওয়া হবে, তা নিয়েও বিভিন্ন ব্লকে বিক্ষোভ চলে। কলকাতা লাগোয়া সল্টলেকের চিত্র কিছুটা ঠিক থাকলেও কার্ড বিহীন সাধারণদের রেশন তোলার জন্য বিশেষ কুপন কবে থেকে দেওয়া হবে, সেই নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় কয়েকটি জায়গায়। পুলিস বা প্রশাসন থেকে কোথায় দাঁড়াবেন তা মার্ক করে দেওয়া হলেও, কেউ তা মানতে চায়নি। রাজারহাট/নিউটাউনের পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল। রেশন দোকানের বাইরে উপচে পড়া ভিড় ছিল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে, মানুষ নিজেরাই ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। বারাসত, বসিরহাট, বনগাঁতেও পরিস্থিতি একই ছিল। কেউ বেশি সামগ্রী চাইছিল, তো কেউ কেন পুরো সামগ্রী আজকে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিস/ সিভিক ভলান্টিয়ার নামিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। একইভাবে কলকাতা পুর এলাকাতেও রেশন দোকানগুলি উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। দেশপ্রাণ শাসমল রোড, টালিগঞ্জ, বেলেঘাটা, কাদাপাড়া, বেহালা সহ শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রায় সবপ্রান্তেই রেশন দোকানের সামনে ব্যাপক লাইন পড়ে। এমনকী, কোথাও কোথাও রেশন গ্রাহকদের মধ্যে তুমুল বাগবিতণ্ডা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যাবতীয় নির্দেশকে উড়িয়ে দিয়ে এদিন শহরের বাসিন্দারা রেশনের সামগ্রী সংগ্রহ করেছেন।
অন্যদিকে হাওড়া, হুগলির পরিস্থিতিও খুব খারাপ ছিল। আমতা, উদয়নারায়ণপুর, শ্যামপুর, বাগনান সর্বত্রই এদিন রেশন দোকানের বাইরে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। চণ্ডীতলা, মগরায় আবার পরিস্থিতি ছিল কিছুটা অন্যরকম। এলাকায় পর্যাপ্ত রেশন না পেয়ে সকলে বিক্ষোভ দেখায়। জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জব্বার শেখ বলেন, ডিস্ট্রিবিউটররা সর্বত্র রেশন পৌঁছতে পারেননি। কোথাও আবার ডিলাররা পুরো সামগ্রী তুলতে পারেননি। যদিও এটা প্রথম দিন বলেই এই অবস্থা হয়েছে বলে মত জেলা ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিজিৎ রায়ের। তিনি আশাবাদী, বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। হাওড়া জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকারি নির্দেশ মেনে সর্বত্র রেশন বিলির চেষ্টা করা হয়েছে। তবে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ভিড় জমাতে থাকে, তাতেই সমস্যা হয়। আশা করা যায় বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। -নিজস্ব চিত্র