দেশ

মোদি জমানায় পরিষেবা শিকেয়, ব্যাঙ্কে শূন্যপদ ১ লক্ষ নিয়োগ চায় না কেন্দ্র!

সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি: সরকারি ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে সুকৌশলে গুরুত্বহীন করে দেওয়ার নিখুঁত পরিকল্পনা? প্রশ্ন অমূলক নয়। কারণ, মোদি জমানার গত কয়েক বছরে বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মী সংখ্যা বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। সরকারি বেসরকারি কর্মসংস্থান বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ব্যাঙ্কিং সেক্টরেই গত সাত বছরে কর্মী সংখ্যা ১ লক্ষের বেশি কমে গিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যানেই পাওয়া যাচ্ছে এই তথ্য। তার সরাসরি প্রভাব পরিষেবায়। 
২০১৪ সালে ‘প্রতিশ্রুতির যাত্রা’ শুরু হয়েছিল বছরে ২ কোটি চাকরির স্লোগান নিয়ে। পরবর্তীকালে বিরোধীরা এর নামকরণ করেছে ‘জুমলা’ বলে। ১০ বছর শেষে এবং চব্বিশের ভোটের আগে সরকার কৃতিত্ব দাবি করেছে দেড় বছরে ১০ লক্ষ চাকরির। সত্যিই কি তাই? প্রকৃত তথ্য কিন্তু বাস্তবের থেকেও অনেক বিপজ্জনক। ২০২৪ সালে ভারতের সরকারি ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় মোট কর্মী সংখ্যা যেখানে এসে পৌঁছেছে, সেই অঙ্কটি ছিল ১৩ বছর আগে। অর্থাৎ প্রায় দেড় দশকে কর্মী সংখ্যা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার বদলে কমে গিয়েছে। ২০১১ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় মোট কর্মী সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৫৫ হাজার ১০২। ২০২৪ সালে সরকারি ব্যাঙ্কে মোট কর্মী ৭ লক্ষ ৫৬ হাজার। এর মধ্যে বিগত সাত বছরে ব্যাঙ্কগুলি (সরকারি) ১২ শতাংশ কর্মী সংখ্যা হারিয়েছে। ২০১৭ সালে সরকারি ব্যাঙ্কে মোট কর্মী ছিল ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৪১। সুতরাং স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সাত বছরে এক লক্ষাধিক কর্মী হারিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। 
সবথেকে বেশি ধস নেমেছে? ক্লার্ক পদে। অর্থাৎ, সরাসরি আম জনতার পরিষেবা প্রদানে যাঁদের ভূমিকা সবথেকে বেশি। অফিসার, ক্লার্ক এবং সাবস্টাফ—এই হল কমবেশি ব্যাঙ্কিং কর্মী কাঠামো। এই তালিকায় সবথেকে বেশি ক্লার্ক পদাধিকারীরা। ২০২১ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ক্লার্কের সংখ্যা কমেছে ১৭ শতাংশ। ২০১৭ সাল থেকে মোদি সরকার দু’টি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছে। প্রথমত, যত দ্রুত সম্ভব একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দেওয়া হবে। আর দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক হয় কমিয়ে দেওয়া হবে, কিংবা তাদের সংযুক্তিকরণ হবে। এভাবেই ২৭টি সরকারি ব্যাঙ্ককে পরস্পরের সঙ্গে  সংযুক্ত করে আপাতত ১২টি অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থমন্ত্রক প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে, সংখ্যাটা আরও কমবে। টার্গেট? শেষমেশ চারটি সরকারি ব্যাঙ্ক রেখে দেওয়া। 
তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য হল, বেসরকারি ব্যাঙ্কিং সেক্টর কিন্তু কর্মী সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে। ১৩ বছরে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে কর্মী ঠিক দ্বিগুণ হয়েছে। সরকারি ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে আধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক পেশা-দুনিয়ার সঙ্গে কখনওই সেভাবে সম্পৃক্ত করা হয়নি। বর্তমানে কিন্তু ব্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি দুনিয়াজুড়ে ফিনটেক সংস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। আর সেই সুযোগ বেশি করে দিচ্ছে বেসরকারি সেক্টর। কর্মীরা অবসর নিচ্ছেন। কিন্তু নতুন নিয়োগ? নগণ্য। এর কারণ ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ। তিন বা চারটি ব্যাঙ্ক নিয়ে যদি একটিই ব্যাঙ্ক পড়ে থাকে, স্বাভাবিকভাবেই কর্মী সংখ্যা কমানো হবে। সরকারি ছাঁটাই বা স্বেচ্ছাবসরের পথে না গিয়ে তাই সংযুক্তিকরণ রুট। আসলে, ঘুরপথে কর্মী হ্রাস।
কীভাবে হাত ধরাধরি করে কমছে পরিষেবা এবং কর্মী সংখ্যা? ছোট উদাহরণ।  আগে পাসবুক আপডেট করার কাউন্টার থাকত। এখন আর থাকে না। বলে দেওয়া হয় এটিএমের পাশে মেশিন আছে। করে নিন। সেই মেশিন কাজ করুক আর নাই করুক। 
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৮০ টাকা৮৬.৫৪ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৬ টাকা১০৯.০৯ টাকা
ইউরো৮৭.০০ টাকা৯০.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা