দেশ

২০১৩’র পর ফের ধর্ম সম্মেলন ঘিরে তীব্র জল্পনা, মোদির বিকল্প এই মহাকুম্ভেই?

সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি: ১২ বছর পর ফের মহাকুম্ভে মহাধর্মসম্মেলন। প্রয়াগে পূর্ণকুম্ভের আবহে সঙ্ঘ পরিবারের সব সদস্যের উপস্থিতিতে হবে ওই ধর্ম সম্মেলন। জানা যাচ্ছে, শুধু সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরাই নন, নামজাদা ধর্মীয় সংগঠনগুলিকেও এখানে আমন্ত্রণ জানানো হবে। উপস্থিত থাকার কথা জুনা, নিরঞ্জনী, নির্বাণীর মতো শঙ্করাচার্য প্রবর্তিত দশনামী আখড়ার প্রধান পরিচালক-সন্ন্যাসীদের। আপাতভাবে ধর্ম সম্মেলনের উদ্দেশ্য কী? ধর্মীয় দিক থেকে আগামী দিনে ভারত কোন পথে যাবে, সেই দিশা নির্দেশ করা। আলোচনা, চর্চা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কিন্তু সেই ধর্মচর্চার আড়ালে রাজনীতির জল্পনাও তীব্রভাবে দানা বেঁধেছে। কারণ, ২০১৩ সালের পূর্ণকুম্ভে বসেছিল ধর্মসম্মেলন। তাতে হাজির হয়েছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজনাথ সিংরা। সেই সম্মেলনেই আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আগামী নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী লালকৃষ্ণ আদবানি নন। নরেন্দ্র মোদি। ঠিক কয়েকমাস পর গোয়ায় বিজেপি কর্মসমিতির বৈঠক হয় দু’দিনের। কুম্ভের ধর্মমহাসম্মেলনে গ্রহণ করা সিদ্ধান্তকেই সেই বৈঠকে অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করা হয়। এবং সেই প্রস্তাব অনুমোদিতও হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল লালকৃষ্ণ আদবানি ও তাঁর অনুগামী শিবিরের মধ্যে। সুষমা স্বরাজ সভাস্থল থেকে চলে যান। আদবানিও প্রকাশ্যে বুঝিয়ে দেন যে, তিনি এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেননি। কিন্তু মোদির পক্ষে ছিল সঙ্ঘ পরিবার। এবং তাবৎ হিন্দু ধর্মীয় প্রধান সংগঠনের সিলমোহর।
এবার পূর্ণকুম্ভে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাবেন। কিন্তু তিনি ধর্ম সম্মেলনের সময়ই যাবেন কি না, সেটা নিশ্চিত নয়। পূর্ণকুম্ভে শাহি স্নানেও অংশ নেবেন মোদি। যদিও পৌষ পূর্ণিমা, মকর সংক্রান্তি, মৌনী অমাবস্যা, মাঘী পূর্ণিমা এবং শিবরাত্রি—১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রয়াগের পূর্ণকুম্ভের কোন শাহি স্নানে প্রধানমন্ত্রী হাজির হবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। পক্ষান্তরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দুই ভূমিকায় উপস্থিত থাকবেন কুম্ভে। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে, অন্যদিকে গোরক্ষনাথ মঠের মঠাধীশ মোহন্ত। প্রথম ভূমিকায় তিনি দেখবেন, কুম্ভমেলা যাতে সুষ্ঠুভাবে সংঘটিত হয়। তার জন্য দফায় দফায় যাতায়াত তিনি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। আর মোহন্ত হিসেবে তিনি যাবেন শাহি স্নানে।  সুতরাং পূর্ণকুম্ভে তাঁর দ্বৈত ভূমিকা। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২০১৭ সালে শপথ নেওয়ার পর ২০২২ সালে ফের জয়ী হয়ে সরকার পরিচালনা করছেন তিনি। কিন্তু প্রয়াগে পূর্ণকুম্ভ এই প্রথমবার পেয়েছেন নিজের শাসনকালে। অযোধ্যার রামমন্দির এবং পূর্ণকুম্ভ—দুই মহা ইভেন্ট সফলভাবে রূপদানকে তিনি যে ঢালাও প্রচারের অস্ত্র করবেন, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এবার ধর্মমহাসম্মেলন তাঁকে এবং তাঁর অনুগামীদের বাড়তি আশা জাগিয়েছে। কারণ তাঁরা জানেন, পূর্ণকুম্ভের ধর্মমহাসম্মেলনে গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। প্রশ্ন একটাই— ১২ বছর পর কি ফের এই মঞ্চ থেকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে? যোগী আদিত্যনাথ কিন্তু সেই আশায় রয়েছেন। এই ধর্ম সম্মেলন বাড়তি তাৎপর্যপূর্ণ কেন? কারণ, ২০২৫ সাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শতবর্ষ। এই বছরে আরএসএসের লক্ষ্য কী হবে? জল্পনা বাড়ছে। এবারের পূর্ণকুম্ভ তাই শুধু ধর্ম ও আবেগ নয়, রাজনৈতিক আকর্ষণেরও কেন্দ্রবিন্দু! 
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৬ টাকা৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড১০৪.৫৩ টাকা১০৮.২৪ টাকা
ইউরো৮৬.৫১ টাকা৮৯.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা