দেশ

১৮৫ লক্ষ কোটির ঋণ চাপছে দেশের কাঁধে , ভর্তুকি ছাঁটাই! করও বৃদ্ধির পথে কেন্দ্র?

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশকে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার গরিমায় মশগুল প্রধানমন্ত্রী। কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হবে বলে প্রচারও তুঙ্গে। অথচ প্রচারের ভেপার ল্যাম্পের নীচে ঋণের অন্ধকার। চলতি আর্থিক বছরের শেষেই ১৮৫ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের পাহাড়ে বসতে চলেছে ভারত সরকার। সেরকমই অনুমান অর্থমন্ত্রকের। বাড়ছে সুদের বোঝা। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে সুদ মেটাতে ব্যয় হয়েছে অন্তত ৬ লক্ষ কোটি টাকা। ঋণ এবং সুদ বৃদ্ধির এই প্রবণতা বজায় থাকলে বাজেটে এই খাতে ব্যয় সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে যেতে বাধ্য। পরবর্তী অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আপাতত অর্থমন্ত্রকের প্রধান চিন্তা একটাই—কীভাবে আয় বাড়ানো সম্ভব? ঘাটতি কমাতে তাই সর্বাগ্রে আবার দু’টি পথই অবলম্বন করার কথা ভাবা হয়েছে। ভর্তুকি ছাঁটাই এবং কর বৃদ্ধি। সেই লক্ষ্যেই বাজেট তৈরি হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। এমনিতেই পেট্রল-ডিজেলে ভর্তুকি ভুলে গিয়েছে দেশবাসী। রান্নার গ্যাসের ভর্তুকিও ঘোরাফেরা করছে মাত্র ২০ টাকার আশপাশে। কৃষিক্ষেত্রে সার এবং রেশনের খাদ্যপণ্যের উপর ভর্তুকিটাই এখনও যা বলার মতো রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে আরও কিছু সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প। তাতেও যদি মোদি সরকার কোপ বসায়, অথই জলে ঝাঁপ দেওয়া ছাড়া গতি থাকবে না দেশের মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির। এছাড়া কীভাবে কর কাঠামোকে সম্প্রসারিত করে আরও বেশি ট্যাক্স আদায় সম্ভব, তা নিয়েও এখন আলোচনা চলছে। ওই প্রক্রিয়ার মধ্যে জিএসটি সংস্কার যে পড়বে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। এছাড়া চাকরিজীবী সাধারণ মানুষের আয়কর তো আর একটা হাতিয়ার হিসেব সরকারের হাতে আছেই। সোজা কথায়, সেক্ষেত্রে ২০২৫ সালে আম জনতার কাঁধে চাপতে চলেছে বাড়তি আর্থিক বোঝা।
২০১৪ সালে ভারতের মোট ঋণ ছিল ৫৫ লক্ষ কোটি টাকা। ১০ বছরে তিনগুণেরও অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ঋণ। রাজস্ব থেকে বাণিজ্য, ঘাটতি সর্বত্র। আমদানি রপ্তানির ভারসাম্যহীনতায় নাজেহাল শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রক। অর্থমন্ত্রক জেরবার আয়ব্যয়ের বৈষম্যে। মূল্যবৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণহীনতায় শঙ্কিত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম, সঙ্গে চড়া ইএমআই। আয় কিন্তু বাড়েনি মধ্যবিত্ত করদাতাদের। ‘আচ্ছে দিন’, ‘অমৃতকাল’ এবং ‘বিকশিত ভারতে’র উজ্জ্বল স্লোগানের আড়ালে আদতে মোদি সরকারের শাসনে অর্থনীতির মুখ সেই তিমিরে। অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক ঋণের বোঝা চাপলে সবথেকে বৃহৎ যে আর্থিক সঙ্কটে নিমজ্জিত হতে হয় রাজকোষকে, সেটি বিপুল সুদ মেটানো। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, চলতি আর্থিক বছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর—দু‌ই ত্রৈমাসিক মিলিয়ে সুদ মেটাতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। অক্টোবরে তা বেড়ে ৬ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে।
একই সময়সীমায় অর্থাৎ, ছ’মাসে সরকারের আয় হয়েছে ১৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। সেই আয়ের সিংহভাগ জনগণের থেকে আদায় করা। অর্থাৎ ট্যাক্স। ১২ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা কর আদায় হয়েছে চলতি অর্থবর্ষেরর প্রথম ছ’মাসে। আর এই সময়সীমায় সরকার ব্যয় করেছে ২১ লক্ষ ১১ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৫ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি সুদ এবং ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা ভর্তুকি বিল। অর্থ কমিশনের ফর্মুলা অনুযায়ী, কেন্দ্রের মোট আয়ের একাংশ দিতে হয় রাজ্যগুলিকে। বিগত ছ’মাসে তারা পেয়েছে ৮৯ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। এ নিয়ে প্রতিটি রাজ্যই কমবেশি ক্ষুব্ধ। আদায়ীকৃত কর থেকে প্রাপ্য টাকার ফর্মুলা বদলের জন্য প্রবল চাপ দিচ্ছে বিরোধী শাসিত রাজ্য সরকারগুলি। সমর্থন দিচ্ছেন এনডিএ’র মুখ্যমন্ত্রীরাও। বর্তমানে রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয় মোট আদায়ীকৃত ট্যাক্সের ৪১ শতাংশ। এই হার অন্তত ৫০ শতাংশ করার দাবি উঠেছে। যদিও সেই সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ। কারণ, ঋণের বোঝা নিয়ন্ত্রণ করতেই ব্যর্থ হচ্ছে মোদি সরকার। 
37m 36s ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক সম্পত্তি বিক্রয়ে অর্থাগমের যোগ। যেকোনও ঝামেলা ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে চলুন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৮ টাকা৮৫.০২ টাকা
পাউন্ড১০৭.১৭ টাকা১১০.৯৫ টাকা
ইউরো৮৯.৮৫ টাকা৯৩.২৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা