নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: সাত সকালেই শ্যুটআউট বীরভূমের মহম্মদবাজারে। আজ, শুক্রবার সকালে এক যুবককে গুলি করার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। আজ সকালে স্থানীয়রা দেখেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাস্তার মাঝে পড়ে ছিলেন ওই যুবক। আর তাঁর মৃতদেহের পাশেই পড়ে ছিল গুলির খোল। মৃত ওই যুবকের নাম সুজয় মণ্ডল(৩৫)। বাড়ি স্থানীয় চন্দ্রপুর গ্রামে। তবে ঠিক কী কারণে খুন তা এখনও রহস্যই।
মহম্মদবাজারে যেভাবে একের পর এক শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটছে তা বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে পুলিস মহলের কাছে। আজকের ঘটনা বিষয়ে পুলিস জানিয়েছে, মৃত যুবক  পাথর ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এছাড়াও তাঁর ক্র্যাশারের ব্যবসাও রয়েছে। মৃতের বাবা শৈলেন মণ্ডলের দাবি, ‘ওর বন্ধু সন্দীপ মাহারা গতকাল ফোন করেছিল। সন্দীপ ফোনে সুজয়কে বলে, তাঁর গাড়ি, আংটি কেড়ে নিয়েছে এক ব্যক্তি। তুই এসে বাঁচা আমায়। সেই কথা শুনে বন্ধুকে বাঁচাতে তখনই ছোটে সুজয়। এরপর ময়ূরেশ্বরে তাঁর মাসির বাড়িতে বন্ধুকে নিয়ে খেতে যায় সুজয়। রাত সাড়ে ১২টার সময় মাসির বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় দু’জনে। তারপর আজ, শুক্রবার সকালে ফোনে শুনলাম সুজয়কে কেউ বা কারা গুলি করে মেরে ফেলেছে। এই খুনের বিচার চাই।’
অন্যদিকে, পুলিস খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে সুজয়ের ওই বন্ধুকে। মৃতদেহের প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিস। কাদের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।