দক্ষিণবঙ্গ

ভাঙন কবলিত এলাকা বাঁধানো হচ্ছে বাঁশ দিয়ে, ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা

সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সামশেরগঞ্জের বাসিন্দাদের। সোমবার রাত থেকে ফের ভাঙন শুরু হয় লোহরপুরে। গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে ওই এলাকায়। ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য বোল্ডার দিয়ে গঙ্গা বাঁধানোর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। সেখানে বাঁশ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে ভাঙন রোধের কাজ হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। কয়েকদিন আগেই তলিয়ে গিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র মাটির বাঁধও। এতে কার্যত গঙ্গা স্রোত ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে লোহরপুরবাসীর। যে কোনও মুহূর্তে কয়েকশো বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। গঙ্গার জল প্লাবিত হয়ে বন্যারও সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অন্যত্র পালাচ্ছেন বাসিন্দারা।
এপ্রসঙ্গে জঙ্গিপুর সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয়কুমার সিং বলেন, এই পরিস্থিতিতে বালি ও মাটি মিলছে না। ফলে ভাঙন রুখতে বিকল্প হিসেবে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এটা কার্যকরী।
যদিও ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চাইছেন এলাকার মানুষ। অথচ ভাঙন রুখতে গঙ্গার ধারে কাঁচা বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। বাঁশের সঙ্গে কঞ্চি জলের গতি রোধ করতে সক্ষম বলে সেচদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। বাঁশ দিয়ে আদৌ ভাঙন রোধ করা যাবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। বাঁশ দিয়ে ভাঙন রোধের কাজে বাধা দেন গ্রামের মানুষ। কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়। প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে লোহরপুরে ভাঙন শুরু হয়েছে। এলাকায় বন্যা রোধের জন্য দেওয়া মাটির বাঁধ থেকে প্রায় ১০ মিটার দূরে ছিল গঙ্গা। দিন কয়েক আগে আচমকা বাঁধের একাংশ নদীতে তলিয়ে যায়। বাঁধ সংলগ্ন পাঁচটি পাকা বাড়িও চলে যায় নদী গর্ভে। সোমবার রাতেও কয়েক মিটার এলাকা তলিয়ে যায়। আর কয়েক মিটার পরই প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের বাস। এলাকাবাসীর দাবি, এখনও যদি বোল্ডার দিয়ে নদী বাঁধানো না হয়, তাহলে গ্রামটি রক্ষা পাবে না। অচিরেই গোটা লোহরপুর গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
লোহরপুরের বাসিন্দা ফারুক হোসেন বলেন, গ্রামবাসীর দাবি ছিল বোল্ডার দিয়ে গঙ্গা বাঁধানো হোক। সেখানে বাঁশ দিয়ে বাঁধানোর কাজ চলছে। গ্রামবাসীরা সকলেই এসে এই কাজ বন্ধ করতে বলেছে। ওরা বলছে বালি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাঁশের ঠেকা দিয়ে মাটির বস্তা ফেলা হচ্ছে। আরএক বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিককালে এই এলাকায় এমন ভয়াবহ ভাঙন হয়নি। কয়েক হাত দূরেই কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। অনেকেই স্কুলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
24d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা