ব্ল্যাকবোর্ড

কর্মের উৎসব করম পরব

ভরা ভাদ্র। পচা ভাদ্র। বাংলা নববর্ষের পঞ্চম মাসের এমনই নানা দুর্নাম। কখনও এই ভাদ্র ভাসিয়ে দেয়। কখনও আবার গরমের চোটে ঘেমে নেয়ে একশেষ। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেও অবশ্য পুজো-উৎসবে বিরাম নেই বঙ্গবাসীর। এরকমই একটি উৎসব করম পুজো। প্রতি বছর আদিবাসী, সাঁওতাল, কুড়মি, ভূমিজ অধ্যুষিত জনপদে ভাদ্র মাসের শুক্লা একাদশীতে পালিত হয় করম পরব বা করম পুজো। আসলে সৃষ্টির উৎসব এই করম পুজো। ‘কর্ম’ থেকেই করম শব্দের উৎপত্তি। প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড রাজ্যে  আবার এই করম উৎসব কর্মা নামেও পরিচিত। এই পরবের মূল আচার জাভা পাতা তৈরি। এর মধ্যেও লুকিয়ে আছে এই সৃজনশীলতার ইঙ্গিত।
আদিবাসী মানুষজন সারা বছর এই উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। ইতিমধ্যে ধান রোপণ সারা হয়েছে। ফসল কেমন হবে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা কম নয়। করম পুজোয় ভালো ফসলের কামনা করেন আদিবাসীরা। পুজো শেষ হওয়ার পরে মানুষ ঢোল, মন্দার ও নাগারার তালে তালে নাচতে থাকেন। কখনও কখনও আবার নাচতে নাচতে এলাকা পরিভ্রমণও করেন তাঁরা। ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি সকলের বিনোদনের একটি মাধ্যমও এই করম পুজো। পুরুষরা সারা রাত ধরে নাচ-গানে মেতে ওঠেন। তবে ভাদ্র একাদশীর ন’দিন আগে থেকেই করম পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। পুজো উপলক্ষ্যে নদীর বালি ঝুড়িতে রাখা হয়। এরপর তা সাজিয়ে সাত ধরনের শস্য বপন করা হয়। পুজোর দিন সেই শস্য অঙ্কুরিত হয়। একে বলা হয় ‘জাভা’ ফুল। পাতা ও ফুল দিয়ে সাজানো হয় পুজোর স্থানগুলি। ভক্তরা স্নান সেরে নতুন পোশাক পরে অর্চনায় যোগ দেন। যুবকরা করম ডাল কেটে সন্ধ্যায় নিয়ে আসেন। পুরোহিত পুজোর স্থানে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপন করেন। পুজোর সঙ্গে সঙ্গে করমের ধর্ম কাহিনি বর্ণনা করা হয়।
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৫ টাকা৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড১০৭.১৯ টাকা১১০.৯৬ টাকা
ইউরো৮৯.৩৫ টাকা৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা