ব্ল্যাকবোর্ড

বিস্মৃত গীতিকার

গীতিকার হিসেবে সদ্য হাতেখড়ি হয়েছে তাঁর। একদিন সাহস করে পৌঁছে গেলেন শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের অফিসে। পরিচালক হিসেবে শৈলজানন্দের তখন বিপুল নামডাক। খাতা উল্টেপাল্টে দেখলেন শৈলজানন্দ। জানালেন, গানগুলি তাঁর ভালো লেগেছে। কিন্তু তিনি এখন সেগুলি নিতে পারবেন না। কারণ শৈলজানন্দ তখন মূলত নজরুলগীতি ব্যবহার করতেন নিজের ছবিতে। মনক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন ‘নতুন’ গীতিকার মোহিনী চৌধুরী। ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। পিছন থেকে ডাকলেন শৈলজানন্দ। নজরুলের গানের খাতায় একটা দৃশ্যের গান পাচ্ছিলেন না তিনি। মোহিনীকে ডেকে বললেন, ‘একটা সুযোগ দিতে পারি। ছবির দৃশ্য অনুযায়ী গান লিখতে হবে।’ দৃশ্যটি বিস্তারিত বুঝিয়ে দিলেন। সব শুনে ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফিরলেন গীতিকার। সেদিন রাতেই জন্ম নিল সেই গান— ‘দিনদুনিয়ার মালিক তোমার দীনকে দয়া হয় না...’ এরপর শৈলজানন্দের একাধিক ছবির জন্য গান লিখেছেন মোহিনী। সেগুলি আজও মুখে মুখে ফেরে। 
মোহিনী চৌধুরীর জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুরে। কলকাতায় চলে আসেন শৈশবে। ছোটবেলা থেকেই গান লেখেন। একদিন বন্ধুর কথা শুনে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন গ্রামাফোন কোম্পানিতে। প্রায় পাঁচ বছর অনাদরে তাঁর গানের খাতা পড়েছিল দেরাজে। আচমকা সেই ‘মণিমুক্তো’র সন্ধান পেলেন এইচএমভি-র কর্তা হেমচন্দ্র সোম। কমল দাশগুপ্তের সুরে, কুসুম গোস্বামী গাইলেন মোহনের লেখা গান— ‘রাজকুমারী ওলো নয়নপাতা খোল।’  গীতিকার হিসেবে হাতেখড়ি হল শিল্পীর। এরপর তাঁর কলম উপহার দিয়েছে একের পর এক জনপ্রিয় গান। তবে উপেক্ষার শুরু জীবদ্দশাতেই। তাঁর লেখা গান প্রচারিত হতো ‘প্রচলিত’ তকমায়। তাঁকে না জানিয়েই ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’ গানটি ব্যবহার হয়েছে বাড়ির কিছু দূরে। উপেক্ষাকে সঙ্গী করেই শিল্পচর্চা চালিয়ে গিয়েছিলেন মোহিনী।
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৫ টাকা৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড১০৭.১৯ টাকা১১০.৯৬ টাকা
ইউরো৮৯.৩৫ টাকা৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা