ব্ল্যাকবোর্ড

কলকাতার ইমামবাড়া ও নবাবের সমাধি

সামনের রাস্তার নাম বদলে গিয়েছে তিনবার। আয়রন গেট রোড থেকে সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড হয়ে এখন সেই সড়কের পরিচিতি এখন ওয়াজেদ আলি শাহ রোড। উল্টোদিকে বিচালি ঘাট। সিপাহি বিদ্রোহের ঠিক আগের বছর লখনউ ছেড়ে এখানেই এসে ভিড়েছিল অযোধ্যার শেষ নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের জাহাজ। তাঁর আগ্রহে সেই বিচালি ঘাটের ঠিক উল্টোদিকেই গড়ে উঠে ছিল লখনউ ইমামবাড়ার এক ক্ষুদ্র সংস্করণ, সিবতাইনাবাদ ইমামবাড়া। মানুষের মুখে তা শাহী ইমামবাড়া নামেও খ্যাত। প্রাসাদোপম সেই উপাসনালয়ের প্রবেশ করলেই আর্চ ও কড়ি-বরগার সমতল ছাদের বিশাল হলঘর। তার ঠিক বাঁদিকেই কাচ আর লোহার শিক দিয়ে ঘেরা ঘরটিতেই শায়িত রয়েছেন নবাব। গত ১৩৭ বছর ধরে। নবাবের পাশে শায়িত তাঁর পুত্র বিরজিস কাদির ও অন্যান্য বংশধররা।
বর্তমানে এই ইমামবাড়া সংস্কারের কাজ চলছে। ওয়াজেদ আলি শাহের আমলে এখানকার জৌলুস ছিল দেখার মতো। মুঘল দরবারি সংস্কৃতির প্রভাবও ছিল বেশ স্পষ্ট। আজ তার মধ্যে কিছু ঝাড়লন্ঠন এবং নকশা অবশিষ্ট রয়েছে। দেখা মিলবে নবাবের ব্যবহৃত বেশ কিছু জিনিসপত্র, ‘কোর্ট অব আর্মস’ সহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক দস্তাবেজেরও। আর একটি কক্ষে এখনও একইভাবে রাখা নবাবের সেই ঐতিহাসিক চেয়ার, সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ সিনেমায় যার দেখা মেলে। বিরজিস কাদির ছিলেন নবাবের বেগম হজরত মহলের সন্তান। তাঁকে অবশ্য ত্যাগ করেছিলেন ওয়াজেদ আলি শাহ। সিপাহী বিদ্রোহের পর মা-ছেলে পালিয়ে গিয়েছিলেন নেপালে। নবাবের মৃত্যুর পর বিরজিস ফিরে আসেন মেটিয়াবুরুজে। এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আশ্চর্যের বিষয়, বাবার মতো তাঁরও মৃত্যু হয়েছিল বিষ প্রয়োগের ফলে! সে  অবশ্য আর এক ইতিহাস।
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৫ টাকা৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড১০৭.১৯ টাকা১১০.৯৬ টাকা
ইউরো৮৯.৩৫ টাকা৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা