ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালের পর থেকে কান্দি ব্লক এলাকায় সিপিএমের ব্যাপক দাপট ছিল বলে জানা গিয়েছে। কান্দি ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েত অন্তত একবারও ক্ষমতায় এসেছে দল। কোনও কোনও পঞ্চায়েতে একাধিকবার সিপিএম ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে দাপট কমতে থাকে। যা মেনে নিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। গত পঞ্চায়েত ভোটে কয়েকটি মাত্র আসনে জিতেছেন দলের প্রার্থীরা। আর কান্দি পুর এলাকায় এক দশক আগেই সিপিএমের ঝুলি শূন্য হয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে কান্দিতে কংগ্রেস ও সিপিএম একসঙ্গে লড়তে শুরু করেছে। এবারের লোকসভা ভোটেও কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মী সমর্থকরা একসঙ্গে মিটিং মিছিল করছে। আর এমন অবস্থায় কান্দিতে জোট নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। চায়ের দোকান থেকে পাড়ার মোড়ে কংগ্রেস-সিপিএম জোট নিয়ে আলোচনা চলছেই। হিজল পঞ্চায়েতের নতুনগ্রাম স্কুলমোড়ে বাঁশের মাচায় বসে জনাদশেক মানুষ জোট নিয়ে আলোচনা করছিলেন। সেখানে প্রবীণ শমসের আলি বলেন, এবার বুঝি সিপিএম শেষ হয়ে গেল। আটের দশকে এখানে সিপিএমের কথার বাইরে কেউ কিছু করতে পারত না। ওদের পার্টি অফিসে সবসময় লোক আসত। তখন সিপিএমের প্রধান শত্রু ছিল কংগ্রেস। কিন্তু এবার সেই কংগ্রেসের হাত ধরেই সিপিএম টিঁকে থাকার চেষ্টা চালাচ্ছে। কান্দি বাস টার্মিনাস এলাকার একটি চায়ের দোকানে কার্যত প্রতিদিন সকালে কবি সাহিত্যিকরা রাজনৈতিক বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনায় বসছেন। শনিবার সেখানেও কংগ্রেস-সিপিএম জোট নিয়ে কথা হচ্ছিল। সেখানে ছাতিনাকান্দির বিশিষ্ট সাহিত্যিক বলেন, মানুষ এবার সিপিএমকে মন থেকে মুছে দেবে। সিপিএম-কংগ্রেসের জোট মানুষ মেনে নিতে পারছে না।
এবিষয়ে কান্দির বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, সিপিএমের অবস্থা তেল ফুরিয়ে যাওয়া প্রদীপের মতো। এমন অবস্থায় কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে জোট বেধে ওদের অক্সিজেন কেড়ে নেওয়ার রাস্তায় নেমেছে। একদিন কংগ্রেস সিপিএমের সমস্ত অক্সিজেন শুষে নেবে। নিভে যাবে সিপিএমের বাতি। যদিও জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা স্থানীয় বাসিন্দা নরোত্তম সিংহ বলেন, এটা ঠিক যে, সিপিএমের কাছে থেকে আমরা অক্সিজেন পাচ্ছি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের অক্সিজেনের জোগান অনেক কমে গিয়েছে। সিপিএমের কান্দি জোনাল কমিটির সম্পাদক স্বরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, সিপিএমের অক্সিজেন কমে গেলেও শেষ হবে না। এখন তৃণমূল কংগ্রেসেরই অক্সিজেন দরকার। এই জোটে রাজ্যের শাসকদল ভয় পেয়েছে।