ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরের কাছেই প্রেস্টিজ ফাইটের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের গড় বাঁচানোর লড়াই, অন্যদিকে এই কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের পর বিজেপিও লোকসভা কেন্দ্র দখলে মরিয়া হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী কর্মসূচির শুরু কৃষ্ণনগর লোকসভা থেকেই করে গিয়েছেন। ভোটের মুখে এনিয়ে দ্বিতীয়বার কৃষ্ণনগর লোকসভায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহল একে ‘বেনজির’ আখ্যা দিয়েছে। তাদের দাবি একই কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর দু’বার প্রচারে আসা তাৎপর্যপূর্ণ।
গতবছর ডিসেম্বর মাসে সাংসদ থেকে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের পরেই খোদ মুখ্যমন্ত্রী কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মহুয়া মৈত্রের টিকিট নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন। তাই ভোট প্রচারে মহুয়া মৈত্রর সমর্থনে দু’বার প্রচারে আসতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এদিনের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘আবার বিজেপি নেতারা কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মিথ্যা কথা বলতে আসছে। তার কারণ মহুয়াকে নিয়ে ওদের খুব জ্বালা। মহুয়া ওদের মুখের উপর কথা বলে দেয়। তৃণমূল দলের হয়ে ও লড়াই করে বাঘের বাচ্চার মতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহুয়া বলে দিয়েছিল দেশে কী চলছে। আম্বানির বিরুদ্ধে কথা বলেছিল। আর তাছাড়া কার সঙ্গে কার বন্ধুত্ব তা খুঁজতে গেলে কেঁচো খুঁড়তে গেলে দিল্লির নেতাদের সাপ বেরিয়ে যাবে।’
তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, মহুয়াকে আপনারা ভোট দিয়ে পার্লামেন্টে পাঠিয়েছিলেন। বিজেপির কোনও অধিকার ছিল না ওকে পার্লামেন্টে থেকে বহিষ্কার করার। আমরাও তো পারি বিজেপির এমএলএদের বহিষ্কার করে দিতে। আপনারা ক্ষমতা দেখাচ্ছেন! একটা পার্লামেন্টে জেতা মানে গায়ের জোর নয়। আপনারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারেন, তা বলে ১৪৭জন সাংসদকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে আপনারা বের করে দিতে পারেন না।