Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। হয়তো সেই দল সরকার গঠন করলে কিংবা কোনও নির্বাচনে বেশি আসন পেলে আমাদের নিজেদের ব্যক্তিগত কোনও লাভক্ষতি হয় না। আমার জীবন যেমন চলছিল তেমনই চলবে। আমার সব সমস্যার সমাধান আমাকেই করে নিতে হয়। আমার কোনও সমস্যা সমাধানে হয়তো রাষ্ট্র অথবা সরকারের কোনও সাহায্য পাই না। অথবা দরকার হয় না। নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী উপার্জন। সরকার অথবা দলের সাহায্য ছাড়াই। এই যে নিজেদের জীবনে সরকার কিংবা কোনও দলের কোনও সংযোগ নেই, তা সত্ত্বেও এরকম অসংখ্য মানুষের একটি করে প্রিয় রাজনৈতিক দল থাকে। তাদের নেতানেত্রীরা এই মানুষদের চেনে না। কিন্তু সেইসব নেতানেত্রীর জয় পরাজয়ে এই মানুষের মন ভালো হয়। মন খারাপ হয়। ওই ঩প্রিয় দলের হয়ে এই মানুষেরা চেনা ও কাছের মানুষের সঙ্গে তর্ক করে। রাগারাগি করে। সোজা কথায় কোনও ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধার কথা ভেবে কিংবা ভালোমন্দ বিচার করে, এই অংশের মানুষ ভোট দেয় না। তাদের পরিচয় হল কমিটেড ভোটার। যে কোনও একটি দলের প্রতি তারা কমিটেড। সেই দল ভালো করুক, মন্দ করুক, এই অংশ তার সেই প্রিয় দলের প্রতি অনুগত।
আবার অন্য একটি শ্রেণি আছে যারা ভোট উদাসীন। রাজনীতিতে নির্লিপ্ত। সংখ্যায় এই অংশ কম। তবে আছে। এই অংশের ভোট কখন কে পাবে এবং আদৌ তারা ভোট দেবে কিনা সেটাও সর্বদা নিশ্চিত নয়। তারা বলে থাকে, আমি রাজনীতি বুঝি না। অথবা আমাকে তো বাবা সেই খেটেই খেতে হবে, কে জিতল কে হারল আমার কী যায় আসে। কিংবা এমনও বলা হয় যে, এই দল হারলে, ওই দল জিতলে কী এমন সমাজ পাল্টাবে? সব দলই সমান। দেখলাম তো এতকাল ধরে। যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় চোর।
পাশাপাশি আরও ক্ষুদ্র একটি অংশ থাকে, যাদের নিশ্চিত আনুগত্য নেই কোনও বিশেষ দলের প্রতি। তারা নিজেদের মতামত পাল্টে ফেলে।  লোকসভায় কাউকে ভোট দিল। বিধানসভায় হয়তো অন্য কাউকে। ২০২১ সালে যাকে ভোট দিয়েছে, ২০২৪ সালে হয়তো অন্য পক্ষকে দিচ্ছে। এই অংশটিকে ভোট রাজনীতির পরিভাষায় বলা হয় ফেন্স সিটার। অর্থাৎ তারা যে কোনওদিকে হেলে যেতে পারে। অনেক সময় এই অংশের কারণে ভোটের ফলাফলে সামান্য হেরফের হয়ে যায় কিছু শতাংশের ভোটপ্রদানের রকমফেরে। 
এই যে ভোটারদের নানারকম মনস্তত্ত্ব এদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল, যারা নিজেদের ভালোমন্দ বিচার বিবেচনা এবং বিশ্লেষণ করে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা লক্ষ্য করে তাদের জীবন কীভাবে চলছে। এই জীবনে তাদের মধ্যে স্বস্তি আছে কিনা। আরও অন্যরকম কিছু হতে পারে কি? হলে সেটা কেমন? কোন দল কী কী কথা বলছে। কাদের কথার ধরণ কেমন। যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়ে থাকে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে, সেগুলির মধ্যে কোনগুলো কাজে আসবে। এবং সর্বোপরি কোনগুলি বিশ্বাসযোগ্য। আমাদের ভোট যারা চা‌ইছে, তাদের ভোট দিলে আমার লাভ কী হবে? এইরকম চিন্তাভাবনা করে যারা ভোট দেয়, তাদের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলির বিশেষ পক্ষপাত থাকে। তাদের মন জয় করার জন্য প্রতিযোগিতা চলে। কারণ, একটাই। এই ভোটাররা কমিটেড নয়। এদের ভোটের সিদ্ধান্ত পাল্টে যেতেই পারে। সুতরাং কীভাবে এদের প্রলোভিত করা যায় কিংবা অন্য পক্ষের কাছে এতদিন ধরে থাকা এই ভোটারদের কী উপায়ে নিজেদের দিকে টেনে আনা যায়, সেই পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে অবিরত। কারণ কী? কারণ এই ভোটাররাই হয় ফলাফলের নির্ণায়ক। 
আর যারা ফলাফলের নির্ণায়ক হয়, লক্ষ্য করা যায়, তারাই সবথেকে কম কথা বলে। তারা সারাদিন ধরে রাজনীতি নিয়ে কথা বলছে, তর্ক করছে, আলোচনা করছে, মরিয়া হয়ে নিজের মতপ্রকাশ করছে, এরকম হয় না। তারা চুপচাপ থাকে। যাকে সাইলেন্ট ভোটার হিসেবে তকমা দেওয়া হয়।  উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত যে নাগরিক শ্রেণি, তারা সর্বদাই উচ্চকিত মতামত ব্যক্ত করে। তারা নিজেদের ওপিনিয়ন মেকার মনে করে। কিন্তু ভোট রাজনীতির ক্ষেত্রে তাদের তেমন মূল্য নেই। কারণ, তারা ঘোষিত ভোটার। তাদের কথাবার্তায় স্পষ্ট হয়ে যায় দ্রুত যে, তারা কাকে ভোট দেবে। সুতরাং রহস্য থাকে না তাদের নিয়ে। তাদের মতামতগুলিও তেমন উচ্চবিশ্লেষণাত্মক হয় না। কারণ সেগুলি হবে পক্ষপাতদুষ্ট। নিজেদের প্রিয় দলের পক্ষে, প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে। অতএব তাদের মন জানতে রাজনৈতিক দলকে বিশেষ বেগ পেতে হয় না। তার অর্থ এই নয় যে, তাদের যুক্তি অথবা মতামতে শাণিত বুদ্ধি কিংবা সঠিক যুক্তি নেই। অবশ্যই আছে। তবে সেগুলির অভিমুখ জানা হয়ে যায়। অর্থাৎ যাই বলুক, পছন্দের দলের পক্ষেই থাকে। বিপক্ষের বিরোধিতা‌ করা হবে। 
ঠিক এখানেই সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে ওই নীরব অথবা শক্তিশালী ভোটারদের ভূমিকা। অতীতেও হয়েছে। এবার এই লোকসভা ভোটেও হতে চলেছে সেই প্রবণতারই পুনরাবৃত্তি। কী সেটা? এবারের ভোটেও বাংলার ৪২ আসনের ফলাফলে নির্ণায়ক শক্তি হবে তিনটি শ্রেণি। মহিলা, মুসলিম, গরিব। মুসলিম সম্প্রদায় ধর্মীয় আইডেন্টিটির বিচারে। এবং মহিলা ও গরিব জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে। কেন? কারণ, এই তিনটি শ্রেণির ভোটারদের সিংহভাগই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে নিজেদের ব্যক্তিগত ভালোমন্দ বিচার করে। অর্থাৎ তাদের কীসে ভালো হবে, তারা কী কী চায় এবং তাদের উচ্চাশা অথবা আশা আকাঙ্ক্ষা কী সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন দল কী কী বলছে, কাদের কথার মধ্যে শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা আছে, কারা জয়ী হলে জীবন আরও একটু উন্নত হবে অথবা জীবনের স্থিতাবস্থা, স্বস্তিপূর্ণ পরিস্থিতি ধাক্কা খেতে পারে, তখন আবার জীবনটা টলোমলো হয়ে যেতে পারে, এরকম হাজারো সাতপাঁচ ভাবেন এই ভোটারশ্রেণি। 
তৃণমূল ছাড়াও সিপিএম অথবা আইএসএফ মুসলিম ভোটের প্রত্যাশী। সিপিএম আশাবাদী যে, এবার এই সংখ্যালঘু ভোটের কিয়দংশ তাদের কাছে ফিরবে। যদিও প্রশ্ন হল, কেন সিপিএম এরকম বিশ্বাস করছে? যেহেতু হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উন্নয়ন অথবা জনস্বার্থমূলক কাজের ইস্যুকে ছেড়ে বেশি বেশি ধর্মীয় বিভাজনের প্রসঙ্গ প্রকটভাবে প্রচার করতে শুরু করেছেন, সেই কারণে, মুসলিমদের মধ্যে কিছুদিন আগে পর্যন্ত কোনও দ্বিধা থাকলেও এখন তা আর সম্ভবত নেই। তারা চাইবে বিজেপিকে রুখতে যে দল শক্তিশালী তাকেই ভোট দিতে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর এই হাইভোল্টেজ প্রচার মুসলিমদের বেশ কিছুটা একজোট করে দিচ্ছে। যা কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, তৃণমূল, ডিএমকে ইত্যাদি দলের কাছে সুবিধাজনক। অর্থাৎ যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে যারা প্রধান প্রতিপক্ষ, তাদেরই মুসলিম সমাজের সিংহভাগ ভোট দেবে। 
মহিলাশক্তি এবং গরিব সম্প্রদায়ের ভোট সকলেই চায়। তাই লক্ষণীয় যে, এই দুই শ্রেণিকে তুষ্ট করার জন্য প্রতিযোগিতার অন্ত নেই।  বাংলার মহিলা এবং গরিব ভোটব্যাঙ্ককে কাছে টানতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই বিশেষ সচেষ্ট। অসংখ্য সরকারি প্রকল্পকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কার্যত এই দুই শ্রেণি প্রধান টার্গেট অডিয়েন্স তাঁর। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অথবা কন্যাশ্রী। ২০১৬ অথবা ২০২১, এই দুই অংশ তাঁকেই ভোট দিয়ে বিপুলভাবে জয়ী করেছে। ঠিক এই ভোটারদের হাইজ্যাক করতে নরেন্দ্র মোদি বিগত ৬ মাস ধরে নারীশক্তির জয়গান গাইছেন। উজ্জ্বলা গ্যাসের ভর্তুকি বাড়াচ্ছেন। বিনামূল্যে রেশনকে তাঁর সরকারের এক বিপ্লবাত্মক পদক্ষেপ হিসেবে প্রচার করছেন। কৃষকদের ৬ হাজার টাকা দিচ্ছেন। আয়ুষ্মান কার্ড দিতে বলছেন। বাংলায় এই প্রচারের প্রতিবন্ধকতা হল, রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ইতিমধ্যেই পরীক্ষিত এবং জনপ্রিয়। সুতরাং মহিলা এবং গরিব ভোটারকুল এবার কোনদিকে যাবে? এই দুই শ্রেণি যদি মনে করে যে, সরকারের সহায়তা এবং সামাজিক স্থিতাবস্থায় তারা বাংলায়  স্বস্তিতে আছে, তাহলে তারা এবারও আনুগত্য বদল করবে না। আবার যদি তাদের কাছে মনে হয়, পরিবর্তন করা হলে তাদের নিজেদের আরও একটু লাভ হবে, তাহলে বিজেপির লাভ। কিন্তু এই দুই শ্রেণি সাধারণত কোনও এক্সপেরিমেন্ট করতে চায় না। কারণ তাদের কাছে যেহেতু ভোট দেওয়া না দেওয়া নিছক বিলাসিতা নয়। গণতান্ত্রিক অধিকার অথবা দেশগঠনের দায়িত্ব, এরকমও উচ্চমার্গীয় দার্শনিক কিছু নয়। ভোট তাদের জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নিজেদের ক্ষুণ্ণিবৃত্তি, শান্তিপূর্ণ যাপন, সামাজিক ও পারিবারিক ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি। এই দুই অংশের মানুষের মধ্যে মিল কোথায়? এরা শান্তি চায়। ঝঞ্ঝাট চায় না। বেসামাল সময়কাল চায় না। কারণ সেরকম হলে সবথেকে বেশি আঘাত আসে তাদেরই উপরে! তাই তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয় ভেবেচিন্তে। অতএব মহিলা মুসলিম গরিব ফ্যাক্টর, এবার বাংলায় সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছে। আর সেই ফ্যাক্টরে প্রবল টানাপোড়েন চললেও টেনিসের পরিভাষায়, এখনও পর্যন্ত এবারও অ্যাডভান্টেজ-মমতা! মোদি কি পারবেন এই মিথ ভাঙতে? 
17th  May, 2024
হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
বিশদ

শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। বিশদ

31st  May, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। বিশদ

29th  May, 2024
৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বিশদ

28th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

26th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
বাঙালি বিদ্বেষের বিষাক্ত রেপ্লিকা!
মৃণালকান্তি দাস

বিজেপি বদলায়নি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশি চিনে ফেলেছিলেন। তারপর ছাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের এক একটি খোসা। বেরিয়ে পড়েছে হিন্দুত্ববাদী নগ্নতার আরও কদর্যরূপ। ধর্মান্ধতার নিরিখে বিজেপি যে শুধু অহিন্দু বিদ্বেষী নয়, একইসঙ্গে অহিন্দি বিদ্বেষীও তা তারা প্রকাশ্যে হাজির করেছে। বিশদ

23rd  May, 2024
ভোটের দফার সঙ্গে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব
হারাধন চৌধুরী

‘ইন্ডিয়া’ জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি। নামকরণও তাঁর। এহেন ‘মহাজোট’কে গেরুয়া শিবির কখনও ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকেনি, পরিবর্তে ‘ইন্ডি’ নামেই কটাক্ষ করেছে, যার সঙ্গে সংস্কৃত ‘পিণ্ড’ শব্দের কথ্যরূপ ‘পিণ্ডি’র মিল রয়েছে। বিশদ

22nd  May, 2024
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

21st  May, 2024
একনজরে
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল শুধুমাত্র ঘোষণার অপেক্ষা। তারপরেই বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ডাক পড়তে চলেছে দিল্লিতে। দলের শীর্ষ সূত্রের খবর, ৪ জুনের অব্যবহিত পরেই বাংলার বিজেপি ...

বর্ধমান শহরের খালাসিপাড়ায় পথ দুর্ঘটনায় এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রণজয় ঘোষ(৩৩)। বর্ধমান থানার নাড়ি এলাকায় তাঁর বাড়ি। ...

বৃহস্পতিবার রাতে মাথাভাঙা-কোচবিহার রাজ্যসড়কে একটি ট্রাক থেকে ৫০ লক্ষ মাদক উদ্ধার করেছে মাথাভাঙা থানার পুলিস। ...

বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ুকে তাঁর দেশেই হারিয়ে শিরোনামে প্রজ্ঞানন্দ। শুক্রবার নরওয়ে চেস টুর্নামেন্টে ক্ল্যাসিক্যাল গেমে প্রথমবার ম্যাগনাস কার্লসেনকে বশ মানিয়েছেন ভারতীয় তরুণ। ম্যাচের পর তিনি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে বা বাইরে পড়ে গিয়ে দেহে আঘাত বা অস্থিভঙ্গ হতে পারে। কাজকর্মে মনোযোগের অভাব। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস
১৮৭৪ - ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত হয়
১৮৪২ - বাঙালি লেখক, সংগীতস্রষ্টা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৯২৬- আমেরিকার মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা মেরিলিন মনরোর জন্ম
১৯২৯- অভিনেত্রী নার্গিসের জন্ম
১৯৩৪ - কবি, নাট্যকার ও চিত্রনাট্যকার মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৭ -  মার্কিন অভিনেতা মরগান ফ্রিম্যানের জন্ম
১৯৬৪- সঙ্গীত পরিচালক ইসমাইল দরবারের জন্ম
১৯৬৮- মার্কিন লেখিকা ও সমাজকর্মী হেলেন কেলারের মৃত্যু
১৯৭০- অভিনেতা আর মাধবনের জন্ম
১৯৮৫ - ভারতীয় ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিকের জন্ম
১৯৯৬-ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডির মৃত্যু
২০০১- নেপাল রাজপরিবারে হত্যাকাণ্ড, যুবরাজ দীপেন্দ্র গুলি করে হত্যা করে বাবা, মা, নেপালের রাজা বীরেন্দ্র এবং রানি ঐশ্বর্যসহ পরিবারের একাধিক সদস্যকে
২০০২ - দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক হানসি ক্রোনিয়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৩ টাকা ১০৭.৭০ টাকা
ইউরো ৮৮.৫৫ টাকা ৯১.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১ জুন, ২০২৪। নবমী ৬/১৩ দিবা ৭/২৫। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৫৫/৫০ রাত্রি ৩/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৬, সূর্যাস্ত ৬/১২/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৬ গতে ৭/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১১/১৩ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ  প্রাতঃ ৫/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৯/২১ গতে ১২/০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৭ গতে উদয়াবধি। 
১৮ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১ জুন, ২০২৪। নবমী দিবা ৬/৯ পরে দশমী রাত্রি ৩/৪১। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ২/২০। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৫। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে ৬/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ গতে ৭/৪৪ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২৩ মধ্যে ও ২/৪৭ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৬/১৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৫ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। 
২৩ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন (৭ম দফা): বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজ্যের কোথায় কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণপর্ব চলছে। গোটা দেশের ...বিশদ

11:45:58 AM

বরানগর পুরসভার বুথ থেকে ভুয়ো ভোটারকে আটক করে থানায় নিয়ে যাচ্ছে পুলিস

11:42:00 AM

লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফায় বেলা ১১ টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে মোট১৪৫০টি অভিযোগ জমা পড়ল

11:37:50 AM

বারুইপুরের বেলেগাছি বিদ্যাধর পল্লীর ৯৪ নং বুথে ভোটারদের ভোট দানে বাধার অভিযোগ

11:31:22 AM

ভোটের গতি শ্লথ, দীর্ঘ লাইন পিকনিক গার্ডেনের একটি বুথে

11:29:00 AM

ভাঙড়ের গোলমাল নিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন অবজারভাররা

11:28:00 AM