ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
গোঘাট-২ ব্লকের কামারপুকুর সারদাপল্লিতে বাড়ি তপজ্যোতির। বাবা ও মা দু’জনেই শিক্ষাজগতের মানুষ। বাবা সব্যসাচী মণ্ডল পশ্চিম মেদিনীপুরের তাতারপুর হাইস্কুলের ভূগোলের শিক্ষক। মা অদিতি মণ্ডল গৃহশিক্ষকতা করেন। দু’জনেই প্রথম থেকে ছেলের পড়াশোনায় নজর রেখেছিলেন। স্কুলে বরাবরই প্রথম স্থান লাভ করত তপজ্যোতি। স্বাভাবিকভাবেই তাকে ঘিরে প্রত্যাশ্যা ছিল স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি পরিবারের লোকজনের। সেই প্রত্যাশাপূরণ করতে সক্ষম হয়েছে তপজ্যোতি। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় চতুর্থস্থান লাভ করায় স্কুলের শিক্ষক থেকে পাড়া প্রতিবেশী সকলেই উচ্ছ্বসিত। ফলপ্রকাশের পর মেধাবী এই কৃতীকে স্কুলের শিক্ষক, প্রতিবেশীরা একে একে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। চলে মিষ্টিমুখ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি বাড়িতে বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, জীবন বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও অঙ্ক শিক্ষকরা পড়াতে আসতেন। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশনের এই ছাত্রের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। বাংলা ও ইংরেজিতে ৯৭, অঙ্ক ও পদার্থ বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞান ও ইতিহাসে ১০০ এবং ভূগোলে ৯৮ নম্বর পেয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি বই পড়া, গান, ছবি আঁকা ও আবৃত্তির প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে তপজ্যোতির। রবীন্দ্রনাথের লেখা গান গাইতে যেমন সে ভালোবাসে, তেমনই জীবনানন্দ দাশ ও উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিতা আবৃত্তি করা তার শখ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু সিরিজের সন্তু তার প্রিয় চরিত্র। তপজ্যোতি এদিন বলে, প্রথম দশে থাকব আশা করেছিলাম। প্রত্যাশাপূরণ হওয়ায় ভালো লাগছে। এই সাফল্যের পিছনে স্কুলের শিক্ষক, গৃহশিক্ষক ও বাবা-মায়ের অবদান রয়েছে। পড়াশোনার বিষয়ে মা সবসময় আমাকে সহযোগিতা করেছে। বড় হয়ে কী হতে চাও? তপজ্যোতি বলে, চিকিৎসক হতে চাই। অসহায় দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।
তপজ্যোতির বাবা সব্যসাচী মণ্ডল বলেন, মেধা তালিকায় যে ও থাকবে এবিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম। ছেলেকে নিজেই ভূগোল দেখিয়েছি। ওর মাও গাইড করছে। শিক্ষকদের অবদান ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব ছিল না। ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত বোধ করছি।
মা অদিতি মণ্ডল বলেন, পড়াশোনার প্রতি একাগ্ৰতা ও শৃঙ্খলাই ওকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে।
স্কুলের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক তপনকুমার চক্রবর্তী বলেন, সকালে খবর পেয়েই প্রিয় ছাত্রের বাড়িতে চলে এসেছি। শুভেচ্ছা জানিয়েছি। লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করে যাওয়ার জন্য আমরা বারবার উজ্জীবিত করেছি। এই সাফল্য আমাদের সকলকে গর্বিত করেছে।