ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
ঘড়িতে সকাল ১১টা বাজতেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কান্দির রণগ্রাম ব্রিজে এসে পৌঁছন। সেখানে তখন হাজারের বেশি দলীয় কর্মী-সমর্থক হাজির ছিলেন। ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় তাঁকে। এরপর দলের বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারকে নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন। প্রথমেই আমিত্যা গ্রামে পৌঁছন। সেখানে তিনি হঠাৎ করেই গাড়ি থেকে নেমে পড়ে মহিলাদের কাছে গিয়ে জানতে চান, আপনারা সকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন কি না। পরে পাশের এক বৃদ্ধকে বলেন, বার্ধক্যভাতা বহাল রয়েছে কি না। হ্যাঁ উত্তর পেয়ে ইউসুফ তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফের গাড়িতে উঠে পড়েন।
এরপর তিনি বাঘআছড়া গ্রামে গিয়েও গাড়ি থেকে নেমে কয়েকজন স্কুলছাত্রের কাছে চলে যান। ওই স্কুলছাত্রের একজনের কাছে সবুজসাথী সাইকেল দেখে বলেন, এই সাইকেল কোথায় পেলে? সবুজসাথীর নাম শুনেই বাকি ছাত্রদের কাছে জানতে চান তোমাদের সকলে সাইকেল পেয়েছো? নতুনগ্রাম পঞ্চায়েত মোড়ে ইউসুফ একদল বাসিন্দাদের কাছে গিয়ে জানতে চান, রাজ্য সরকারের উন্নয়ন এখানে পৌঁছেছে কি না। উত্তর ‘হ্যাঁ’ পেয়ে বলেন, আপনারা আমার পাশে থাকুন। আমি আপনাদের জন্য ১০০ শতাংশ দেব। এভাবেই এদিন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিনভর প্রচারের সময় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে সরাসরি বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আমিত্যা, বাঘআছড়া, গোপালনগর, নতুনগ্রাম, নামুপাড়া, উপরপাড়া, শ্রীকণ্ঠপুর, দিঘিরপাড়, সহিসপাড়া, আন্দুলিয়া, মাহাদিয়া, কোটালডিহি, সন্তোষপুর, চাঁদনগর, গোবিন্দপুর, মনোহরপুর, রাজারামপুর, রায়াবাটি, ঘনশ্যামপুর, পুরন্দরপুর বাজার, পার্বতীপুর ও ভবানীপুর গ্রামে প্রচার করেন। ইউসুফ বলেন, রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি মানুষ ঠিকঠাক পাচ্ছেন কি না, সেটা জানার প্রয়োজন। এদিন সেটাই করেছি।
নিজস্ব চিত্র