ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোরের দিকে লগ্ন থাকায় বুধবার রাত ১টা নাগাদ ৫০ জন বরযাত্রী নিয়ে বর পৌঁছয় পাত্রীর বাড়িতে। ডাক্তার জামাই বলে কথা। বিয়ের আয়োজনেও পাত্রীপক্ষ খামতি রাখেননি। ঝা চকচকে প্যাণ্ডেল ও বাহারি আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হয় বিয়ের মণ্ডপ। আত্মীয় স্বজনদের খাওয়া দাওয়াও প্রায় শেষের মুখে। রাত দু’টো নাগাদ বরযাত্রীদেরও খাওয়া দাওয়া সম্পূর্ণ হয়ে যায়। এরপরেই বিয়ের পর্ব শুরু হয়। পুরোহিত মহাশয় মন্ত্রপাঠও শুরু করে দেন। বিয়ের পিঁড়িতে পাত্রীও বসে যান। সাত পাকে ঘোরাও হয়ে যায়। তবে সিঁদুর দানের আগেই সব গণ্ডগোল হয়ে যায়। পাত্রী পক্ষের একজনের সঙ্গে গল্প করতে করতে পাত্রের এক আত্মীয় কথায় কথায় সব ফাঁস করে দেন। পাত্রীপক্ষের সকলেই জানতেন পাত্র পেশায় নামি হাসপাতালের ডাক্তার। কেউ কেউ ইয়ার্কি করে বলেও বসেন যে এবার থেকে কারও অসুখ হলে আর চিন্তা নেই। সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে চলে যাব। এই কথা বলা মাত্রই পাত্রের সঙ্গে আসা এক আত্মীয় তাঁকে বলেন যে, পাত্র তো ডাক্তার নয়। সে তো দুধের ব্যবসা করে। একথা শুনেই পাত্রীর ওই আত্মীয় হতবাক হয়ে যান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পাত্রীর বাবাকে বিষয়টি জানান। তিনি তাঁর মেয়েকে সেকথা জানালে পাত্রী সিঁদুর দানের আগেই বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে বসেন। পুরোহিতকে অবিলম্বে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনায় গোটা গ্রামে শোরগোল পড়ে যায়। চেঁচামেচিতে বেশ উত্তেজনাও ছড়ায়। পরে পাত্রকে আটকে রাখা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বরযাত্রীরা পালিয়ে যান। এরপরেই থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস গিয়ে পাত্রকে আটক করে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়পুরের বাসিন্দা ওই তরুনী কল্যানীতে নার্সিং ট্রেনিং নিচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দু’বছর আগে সোশাল মিডিয়ায় বাপির পরিচয় হয়। বাপি নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দেয়। পরে উভয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় একে অপরের পরিবারকে জানান। পাত্রপক্ষ পাত্রীর বাড়িতেও আসেন। কিন্তু পাত্রীপক্ষ একবারের জন্যও পাত্রের বাড়িতে যাননি। সরল বিশ্বাসে পাকা কথা হয়ে যায়। বুধবার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। সেই মতো পাত্রীপক্ষ বিয়ের যাবতীয় আয়োজন করেন। নিজস্ব চিত্র