ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
বৃস্পতিবার মনোনয়ন উপলক্ষ্যে খড়ার দলপতিপুরে দেবের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানেই রক্তদান করেন দেব। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি আসেন মেদিনীপুরে। শহরের ফেডারেশন হল থেকে বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যান। তাঁর পরনে ছিল সাদা সুতির শার্ট, গলায় তৃণমূলের প্রতীক আঁকা উত্তরীয়, চোখে রোদচশমা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী শিউলি সাহা, মানস ভুঁইয়া, বিধায়ক অজিত মাইতি প্রমুখ। তবে মনোনয়নের দিনেই কেন রক্তদান? দেবের সোজাসাপটা জবাব, ‘মনোনয়ননের দিন সচরাচর সবাই মন্দিরে পুজো দেন। আমাকেও তাই করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু দু’দিন আগেই আমি জানলাম যে ঘাটাল ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নেই। এই গরমে রক্তদান শিবির হচ্ছে না। তাই রক্তের হাহাকার। থ্যালাসমিয়া রোগীরা রক্ত পাচ্ছেন না। তাই আমার আমার মনে হল, মন্দিরে না গিয়ে এই বার্তাটা পৌঁছে দিই সাধারণ মানুষের কাছে। যাতে সাধারণ মানুষ রক্তদানে এগিয়ে আসেন। সেইসঙ্গে দেবের সংযোজন, জনপ্রতিনিধির একটাই ধর্ম হয় উচিত। মানব ধর্ম। মন্দিরে মসজিদে পরেও যাওয়া যাবে। কিন্তু এ ধরনের সামাজিক সঙ্কটে আগে এগিয়ে আসতে হবে।
তবে, শুধু রক্তদানই নয়, গরমের সঙ্গে লড়তে সবুজায়নের বার্তাও দিলেন দেব। তিনি বলেন, এবছর রেকর্ড গরম পড়েছে। গত ৭০ বছরে এপ্রিলে এত গরম পড়েনি। বিশ্ব উষ্ণায়নের সঙ্গে লড়াই করার একমাত্র উপায় আরও বেশি করে গাছ লাগানো। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে আমি যত ভোট পাব, তত গাছ লাগাব। পাঁচ, দশ যত লক্ষ ভোটই পাই, তত গাছ লাগাব। জনপ্রতিনিধিদের কাজ শুধু ভোট আদায় করা নয়। এইসব সামাজিক বিষয়গুলোও মাথায় রাখা প্রয়োজন। যদি সমস্ত দল, প্রার্থীরা এইভাবে ভাবেন, তাহলে আগামীদিনে যে পরিস্থিতি বদলাবে, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দেব। তিনি বলেন, দেশের কেউ হয়তো এইভাবে ভাবেননি। কিন্তু আমার মনে হয় তাঁরা যদি ভাবেন, তাহলে বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে আমরা পৃথিবীকে বাঁচাতে পারি। জনপ্রতিনিধিদের কাজই তো তাই। সবাইকে বাঁচিয়ে রাখা। দেবের এই বার্তায় উজ্জীবিত দলের কর্মী সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষও। সীমন্তপুরে সাধারণের ভিড়ে দেব। নিজস্ব চিত্র