ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
পাশাপাশি, এদিন বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়াকেও তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, বর্ধমান দুর্গাপুরে পাঁচ বছর এমপি ছিলেন। ওই এলাকার জন্য কেন্দ্র থেকে ১০ পয়সার প্রকল্প আনার প্রমাণ দিতে পারলে আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসব না। প্রথমে উনি দার্জিলিংয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বিজেপির লোকই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাঁকে বর্ধমান দুর্গাপুরে পাড়িয়েছিল। সেখান থেকে ঘাড় ধাক্কা খেয়ে আসানসোলের এসেছেন। নিজের কোনও লোকসভা কেন্দ্রেই পাঁচ দিন সময় দেননি। আসনাসোল তো বাংলার বর্ডার। এবার আপনাদের দায়িত্ব তাঁকে বাংলা থেকে বিদায় করা।
অভিষেকের আরও সংযোজন, সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়ার আগে আসানসোলের জন্য বাংলার নারী বিদ্বেষীকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। ৪৮ ঘণ্টায় বাংলার মানুষ এমন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল যে, তিনি নিজেই লেজ গুটিয়ে পালিয়েছেন। কাউকে না পেয়ে শেষে আলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
এদিন মোদির গ্যারান্টিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অভিষেক। তিনি বলেন, মোদি সরকারের গ্যারান্টিতে বিশ্বাস করেনি এখানকার বিজেপির দু’বারের জেতা এমপি। তিনি দিদির গ্যারান্টিতে আস্থা রেখেছেন। মনে রাখবেন, বিজেপি ইস্তেহারে রাস্তা উন্নয়ন, পানীয় জল গরিবদের জন্য বাড়ির কথা বলে না। তাঁরা বলে সিএএ, এনআরসি করার কথা। এখানে যখন বিজেপি প্রার্থী ভোট চাইতে আসবেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করবেন, একশো দিনের টাকা, আবাসের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে। আপনি দশ বছর বাংলার এমপি ছিলেন কতবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। সেটা না করে কেন্দ্রের টাকা করে দেওয়াকে সমর্থন করেছেন। আর আমাদের দলের এমএলএ, এমপিরা দিল্লিতে আন্দোলন করতে গেলে অমিত শাহর পুলিস মহিলা এমপিদের চুলের মুঠি ধরে তুলে দিয়েছে।
শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, এবারের লড়াই বিজেপির ধনশক্তির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের জনশক্তির। প্রধানমন্ত্রী, আপনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। এবার আপনি ৪০০ পার করতে পারবেন না। উল্টে ‘তাড়িপার’ হয়ে যাবেন। আপনার দম্ভ ও অহঙ্কার মানুষ ছুড়ে ফেলবে। মনে রাখবেন, আপনার বিরুদ্ধে এক একটি ভোট আমাকে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করবে। এদিন সভা থেকে কয়লা খনির বেসরকারিকরণ নিয়েও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। জেলা সভাপতি নরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, স্থানীয় বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধান উপাধ্যায় বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে ভোট প্রার্থনা করেন। জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, সিপিএম জামুড়িয়ায় সংখ্যালঘু মহিলাকে প্রার্থী করে ভেবেছে সংখ্যালঘু ভোট কেটে বিজেপির হাত শক্ত করবে। মানুষ সেই খেলা বুঝে গিয়েছে।