Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। সেই প্রশ্ন রাষ্ট্র পরিচালকদের উদ্দেশে। কিন্তু আমরা সেই সুযোগ পাই না। সেই সব প্রশ্ন তাই ওইসব সর্বোচ্চ পদে থাকা মানুষদের কানে পৌঁছয় না। তাঁরা যা যা বলবেন, আমাদের শুনতে হবে। অথচ আমরা যে তাঁদের কিছু বলব, সেই সুযোগ নেই। অতএব আমরা কী করি! নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করি। আমার পছন্দের দলের হয়ে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থককে আমি আমার অভিযোগ বলি। 
সে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। আমাকে পাল্টা তার দলের হয়ে আক্রমণ করে। তারপর আমরা নিজেদের ঝুলিতে থাকা সব অস্ত্র দিয়ে একে অন্যকে আক্রমণ করি। আমাদের জানতে ইচ্ছা করে, আমরা যে নানাবিধ ট্যাক্স দিই, জিএসটি দিই, সেস দিই, তার বিনিময়ে আমাদের রাষ্ট্র জীবনযাপনের কোনটা সুনিশ্চিত করে? খাবার? বাসস্থান? নিরাপত্তা? জীবিকা? কিন্তু আমরা তো নিজেরাই এসব দায়িত্ব পালন করার জন্য সকাল থেকে সারাদিন হন্যে হয়ে লেগে পড়ছি যে যার কাজে। সরকার কী করছে? সরকার কী বলে? তারা বলে, এই করদাতাদের টাকায় উন্নতি হয়। রাস্তা, উড়ালপুল, সেতু, যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর কী কী হয়? এই টাকায় গরিবদের জন্য নানাবিধ প্রকল্প করে সরকার। বিনামূল্যে চাল-গম দেয়। কৃষকদের অনুদান দেয়। ভর্তুকি দেয়। আমাদের দ্বিতীয় প্রশ্ন, তাহলে এই কাজগুলিকে এমনভাবে প্রচার করেন কেন যেন মনে হয় দেশবাসীকে খুব উপকার করা হচ্ছে? দেশবাসীর একাংশের টাকায় অন্য অংশের কল্যাণ করা হচ্ছে। আর বিভিন্ন পরিকাঠামো নির্মাণে খরচ করা হচ্ছে। তাহলে এই যে অংশটি কষ্টার্জিত টাকা সরকারকে দিচ্ছে, তারা সরকারের থেকে বিনিময়ে কী পাচ্ছে? 
আমাদের পরবর্তী প্রশ্ন কয়েকটি ধাঁধা নিয়ে। রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে একরকম। আর সেই প্রতিশ্রুতি পালনের রূপ বদলে যাচ্ছে কেন? এই ম্যাজিকের কারণ কী? যেমন? ২০১৫ সালে ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল ২০২২ সালের মধ্যেই কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। তা হল না। বরং কৃষক আত্মহত্যাই কিছু কিছু রাজ্যে দ্বিগুণ হয়ে গেল! এই তথ্য নতুন নয়। আসল কথা অন্য। প্রশ্ন হল, এই যে ২০১৫ থেকে ২০২২, কথা ছিল, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। সেটা না হয়ে উল্টে এই সময়সীমায় কৃষকদের জন্য সরকারের চালু করা ফসল বিমার প্রিমিয়াম থেকে দেশের প্রথম সারির বিমা কোম্পানিগুলির মুনাফা কীভাবে দ্বিগুণ হয়ে গেল? সরকারের খাতায় ১৩টি বেসরকারি বিমা সংস্থার নাম প্যানেলভুক্ত হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১০টি সংস্থা ২০২২ সালের মধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে ফেলেছে। অথচ সরকারি বিমা সংস্থা ওই একই সময়সীমায় লোকসান করেছে। সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। এটা কী ব্যাপার হল? কীভাবে হল? প্রিমিয়াম বাবদ বিমা সংস্থাগুলি আদায় করেছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। আর বিমার টাকা কৃষকদের দেওয়া হয়েছিল ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এই তথ্য নতুন নয়। আগেই জানা। কিন্তু নতুন প্রশ্ন হল, ঠিক তারপরই গত এক দেড় বছরের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি বিমার প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দেওয়া হল কেন? লাভ তো করবে আবার ওইসব বিমা কোম্পানি? প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা। দুই প্রকল্পেই কৃষকদের প্রদেয় প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন? ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল, সকলের ঘরে বিদ্যুৎ যাবে। আর বিদ্যুৎ হবে উদ্বৃত্ত এবং সস্তা। আদতে ২০২৪ সালে আমরা কী দেখেছি? বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির সিংহভাগের বিগত দেড় বছর ধরে ত্রৈমাসিক এবং বার্ষিক মুনাফা দেড় দু-গুণ করে বেড়ে গিয়েছে। এনার্জি সেক্টরের শেয়ার এক ধাক্কায় বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ সকলের ঘরে বিদ্যুৎ আসেনি। কারণ কী? সকলের ঘরে পানীয় জলের সংযোগ যাবে ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। কিন্তু বিগত ৬ বছরে গড়ে ২৭ শতাংশ করে বেড়েছে ওয়াটার ইকনমি। মানে বোরওয়েল, বটলড ওয়াটার এবং ট্যাঙ্কার ইন্ডাস্ট্রি। কারণ কী? 
আমাদের সামান্য সঞ্চয়ের টাকা আমরা হয়তো সরকারি ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করেছি। সেই টাকা নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য করা হয়। সেই টাকা হঠাৎ কোনও কারণে দরকার পড়ল। আমরা ম্যাচিওরিটির আগেই তুলে নিতে চাইলাম। আমাদের থেকে সরকারি ব্যাঙ্কও কিছু পরিমাণ জরিমানা কেটে নেয় কেন? আমার টাকা, আমি তুলে নিতে পারব না? সরকারি ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করতে গেলে, বারংবার মিউচুয়াল ফান্ড কিংবা অন্য শেয়ার মার্কেট লিঙ্কড ইনভেস্টমেন্টের দিকে গ্রাহকদের ঠেলে দিতে চান কেন? সরকারের ফিক্সড ডিপোজিট প্রকল্প অথবা স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পকে সেরকম লাভদায়ক নয় বলে খোদ সরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী অফিসাররাই  কেন সেগুলোয় প্রবেশ করতে উৎসাহপ্রদান করেন না? গ্রাহককে ঝুঁকিবহুল শেয়ার মার্কেটের রিটার্নের দিকে প্রলুব্ধ করা হয় কেন? এরকম মনোভাব আজ থেকে ১০ বছর আগে তো দেখা যেত না সেরকম? ট্রেনের টিকিট কেটেছি। কোনও কারণে যাত্রা করতে পারব না। এত মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায় করে কেন রেল? ক্যান্সেলেশন চার্জ হিসেবে? এই যে মাঝখানে 
জানা গেল, রেস্তরাঁয় বাধ্যতামূলক পরিষেবা ট্যাক্স দিতে হবে না, সেটা বন্ধ হয়ে গেল কেন? এই যে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের জিএসটি বেশি বেশি, এর কারণ কী?
আমরা এসব প্রশ্ন করতে পারি না। কিন্তু উত্তর জানি। উত্তর হল, রাষ্ট্র বা সরকার আসলে দেশবাসীকে বোকা মনে করে। তাদের থেকে যথাসম্ভব অর্থ আদায় করে নেওয়াই রাষ্ট্রের আপাতত একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সাম্প্রতিককালে কোনওদিন দেখতে পাইনি যে, সরকার আমাদের কোনও একটি আর্থিক বোঝা কমিয়ে দিল। অনায়াসে পেট্রল ডিজেলের দাম অনেক মাস আগে কমিয়ে দেওয়া যেত। কমানো হয়নি। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করে নিয়েছে সরকার আমাদের থেকে। ভোটের সময় সামান্য কমিয়ে আমাদের আবার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আমরা তোমাদের বোকাই ভাবি। এই যে দাম কমালাম, আমরা চাই ও জানি তোমরা আমাদের এজন্য ভোট দেবে।রাষ্ট্র আমাদের ধর্মীয় সম্প্রদায়ভিত্তিক উস্কানি দিচ্ছে কেন? আমাদের এটা একটা প্রশ্ন। অর্থাৎ রাষ্ট্র তথা সরকার তথা পরিচালকরা ঠিক কী চায়? আমরা একে অন্যের উপর প্রবল আক্রমণাত্মক হয়ে উঠি তাদের ওই গরম গরম প্ররোচনামূলক কথা শুনে? তারপর কী হবে? আমরা আপনাদের কথা শুনে পরস্পরের সঙ্গে মারামারি কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়লাম খুব উত্তেজিত হয়ে গিয়ে। পরস্পরের কিছু কিছু প্রাণহানি হল। সম্পত্তির ক্ষতি হল। বহু জীবন ধ্বংস হয়ে গেল। তারপর কী? আপনারা রাষ্ট্রের সিংহাসনে বসলেন। আমাদের কী লাভ হবে?  
আপনারা উঁচু মঞ্চ থেকে কখনও বলছেন, দেশ ২০৪৭ সালে জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নেবে। তাই আমাদের এখন থেকেই পরিশ্রম করতে হবে। স্যাক্রিফাইস করতে হবে। কারণ এটা নাকি কর্তব্যকাল! আমাদের প্রশ্ন, কেন করতে হবে? আপনারা কী এমন স্যাক্রিফাইস করছেন? আমরা আপনাদের ভোট দিচ্ছি, ট্যাক্স দিচ্ছি, জিএসটি 
দিচ্ছি, আপনারা আমাদের জীবনকে আরামদায়ক করে দেবেন বলে। আমরা তো আশা করেছিলাম এমন একটা ব্যবস্থা করে দেবেন, যাতে সকলের আয় এক ধাক্কায় বেড়ে যায়। সকলের চাকরি পাওয়া সুবিধা হয়ে যায়। বেকারত্ব কমে যায়। জিনিসপত্রের দাম কমে যায়। কিছুই তো হল না। ও হ্যাঁ, সেই যে ২০২২ সালের জুন মাসে বলেছিলেন দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি হবে! সব সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ হয়ে যাবে! সেই প্রতিশ্রুতির কী হল? আজকাল আর বলেন না কেন? আমাদের সবথেকে বড় প্রশ্ন হল, আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার কথা সত্যিই কি আপনাদের আছে? নাকি আমাদের দাবার বোড়ের মতো অবিরত ব্যবহার করে করে আসলে নিজেদের ভাগ্যকেই বারংবার জিতিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়ে আমাদের ভাগ্যনিয়ন্তা হতে চা‌ইছেন? 
03rd  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
একনজরে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পড়ল ব্যানারা। উলুবেড়িয়ায় ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে টাঙানো এই ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ফুলেশ্বরের মনসাতলায়। ...

মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে নামী কোম্পানির লেবেল সাঁটা বোতলে ভরে নকল মোবিল বিক্রি হচ্ছিল। এমনকী, নামী কোম্পানির লেবেল সাঁটা বাইকের নকল যন্ত্রাংশও বিক্রি হতো। ...

বরকত গনিখান চৌধুরীর আমলে রেল মানচিত্রে মালদহের উল্লেখযোগ্য স্থান ছিল। বর্তমানে বহু মেল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট ট্রেন মালদহের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ...

গঙ্গার নীচ দিয়ে কীভাবে চলছে মেট্রো? বালিগঞ্জের বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনলোজিক্যাল মিউজিয়ামে (বিআইটিএম) গেলে তা দেখা যাবে। শনিবার বিশ্ব সংরক্ষণশালা দিবস। এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
১০৪৮: কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়ামের জন্ম
১৭৯৮: লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় আসেন
১৮০৪: ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন
১৮৬০: আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৮৭২: ইংরেজ শিক্ষাবিদ,দার্শনিক ও লেখক বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম
১৮৮৬: লেখক অক্ষয়কুমার দত্তের মৃত্যু
১৯১২: প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র দাদাসাহেব নির্মিত শ্রী পুন্ডলিক মুক্তি পেল তৎকালিন বম্বেতে
১৯৩৩: ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার জন্ম
১৯৩৪: চারণ কবি মুকুন্দ দাসের মৃত্যু
১৯৪৩: বিশিষ্ট বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ নীলরতন সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: রাজস্থানের পোখরানের ভূগর্ভে সফলভাবে পরমাণু বিস্ফোরণ (‘স্মাইলিং বুদ্ধ’) ঘটিয়ে ভারত হল পরমাণু শক্তিধর দেশ 
১৯৯৯: বাংলা ছড়ার গানের জনপ্রিয় গায়িকা জপমালা ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৩ টাকা ১০৭.৫০ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী ১৬/০ দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩১ রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৬, সূর্যাস্ত ৬/৭/৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫১ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। 
৪ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪। দশমী দিবা ১১/২৩। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৩১। সূর্যোাদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৬/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/০ গতে ৭/৪২ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৮ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৪/৩০ গতে ৬/৯। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
৯ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইকে হারিয়ে ১৮ রানে ম্যাচ জিতল লখনউ

17-05-2024 - 12:28:48 AM

আইপিএল: ১৪ রানে আউট ঈশান, মুম্বই ১৮৮/৬ (১৯.৩ ওভার), টার্গেট ২১৫

17-05-2024 - 12:25:43 AM

আইপিএল: হাফসেঞ্চুরি নামানের, মুম্বই ১৮৭/৫ (১৯.১ ওভার), টার্গেট ২১৫

17-05-2024 - 12:12:44 AM

আইপিএল: মুম্বই ১৬৩/৫ (১৮ ওভার), টার্গেট ২১৫

17-05-2024 - 12:05:31 AM

আইপিএল: ১ রানে আউট নেহাল, মুম্বই ১২০/৫ (১৪.২ ওভার), টার্গেট ২১৫

17-05-2024 - 11:57:50 PM

আইপিএল: ১৬ রানে আউট হার্দিক পাণ্ডিয়া, মুম্বই ১১৬/৪ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ২১৫

17-05-2024 - 11:50:32 PM