Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। এক পাশে মমতাবালা ঠাকুরের দোতলা বাড়ি। নীচের তলায় গ্রিলের ফাঁক দিয়ে নজর রাখছেন উর্দিধারী সিকিউরিটি। পাশেই বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘর। ঘরের দু’পাশে ঝুলছে দু’টি পেল্লাই ফেস্টুন। সংগঠন ভিন্ন, কিন্তু দাবি এক, ‘বড়মা বীণাপাণিদেবীর স্মৃতিবিজড়িত ঘরকে হেরিটেজ ঘোষণা করতে হবে।’
বড়মায়ের ঘরের বারান্দার গ্রিলে ঝুলছে লোহার চেনে লাগানো মস্ত একটা তালা। দিন কয়েক আগেই এই ঘরের দখল নিয়েছেন বিজেপির বনগাঁর প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। আগে ঘরটি ছিল তাঁর রাজনৈতিক এবং পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বী মমতাবালা ঠাকুরের দখলে। নির্বাচনের আগে বিতর্ক এড়িয়ে চলাই প্রথা। পাছে ক্ষুণ্ণ হয় ভাবমূর্তি। কিন্তু শান্তনু ঠাকুর সে সবের ধার ধারেন না। তিনি খুব ভালো করেই জানেন, ঘি তুলতে আঙুল বাঁকাতে হয়। সেটা দাদার জন্য বিধানসভার টিকিট বা কেন্দ্রের মন্ত্রিত্বই হোক, অথবা পারিবারিক ঘর।
ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতিমুক্ত করার হুঙ্কার দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শান্তনুবাবু। এখন সেই ঠাকুরবাড়িতে দু’জন বিজেপির জনপ্রতিনিধি, একজন তৃণমূলের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, বনগাঁ, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনের ভাগ্য নির্ধারিত হয় মতুয়া ভোটে। ঠাকুরবাড়িকে ঘিরেই আবর্তিত হয় এই এলাকার রাজনীতি। সেই ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে কোনও জনপ্রতিনিধির, এমনকী তাঁদের হয়ে কথা বলার মতো কারও দেখা মিলল না। অগত্যা ভোটের ‘হাওয়া’ বোঝার জন্য চায়ের দোকানই ভরসা।
ঠাকুরবাড়ির গেটেই দুলাল হালদারের চায়ের দোকান। দোকানের সামনে বেঞ্চে বসেছিলেন কয়েকজন। সবচেয়ে যিনি প্রবীণ তাঁর নাম চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। বয়স ৮৮। ভোটের খবর জানতে চাওয়ায় এক যুবক চোখের ইশারায় চিত্তরঞ্জনবাবুকে দেখালেন। এই বয়সেও সকাল, বিকেল লাঠিতে ভর দিয়ে তাঁর মন্দিরে আসা চাই-ই চাই। চিত্তরঞ্জনবাবু একসময় বড় মা বীণাপাণিদেবীর কাছের মানুষ ছিলেন। ঠাকুরবাড়ির আদর্শ, ধর্মীয় আবেগ, ঘরোয়া রাজনীতি, পরিবর্তন, সবই দেখেছেন খুব কাছ থেকে।
মতুয়া ভোট কোন দিকে, এই প্রশ্ন শুনে চিত্তরঞ্জনবাবু প্রায় কেঁদে ফেললেন। বললেন, মতুয়ারাও ভোটব্যাঙ্ক হয়ে গেল! হায় রে রাজনীতি! অথচ বড়মা কী বলত জানেন? মানবসেবাই মতুয়াদের ধর্ম। নামে ও প্রেমে যে মাতোয়ারা সেই হল মতুয়া। কেউ এলেই মা বলত, আগে খাইয়ে দে। নাতিপুতি কেউ যেন অভুক্ত না থাকে। মানবসেবাই ছিল মায়ের লক্ষ্য। আর এখন? দখলদারি চলছে। এখন নাম আছে, কিন্তু প্রেম কোথায়? এসব একদম ভালো লাগে না। মন খারাপ হয়ে যায়। জানি না, এর শেষ কোথায়?
এরই মধ্যে কেউ প্রাইভেট কার নিয়ে, কেউ বাইকে চেপে মন্দিরে আসছেন। হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে প্রণাম করে কিছুক্ষণ কাটিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। বাইক নিয়ে মন্দির চত্বরে এলেন এক যুবক। লম্বা চুল, কপালে তিলক। হরিচাঁদ ঠাকুরের ভক্ত। বাড়ি রানাঘাটের চাকদহে। নাম কিশোর। রানাঘাটে প্রচুর মতুয়ার বাস। মতুয়া ভোট এবার কোনদিকে যাবে? যুবক হেসে বলেন, ‘আমরা ধর্ম নিয়ে থাকি, রাজনীতির চর্চা তেমন করি না। তবে, এবার যা অবস্থা তাতে ভোট কোনও একদিকে যাবে না। লোকজনের মুখে ভাগাভাগির কথা।’
ঠাকুরবাড়ির নিজেদের ভাগাভাগি নাকি 
মতুয়া ভোটের বিভাজন, সেটা কিশোর স্পষ্ট করলেন না। এই ভাগাভাগিতে জুড়ে গিয়েছে সুমিতা 
পোদ্দারের নাম। সুমিতা শুধু মতুয়া পরিবারের 
সন্তানই নন, ঠাকুরবাড়ির উন্নয়নে তাঁর দাদু নির্মল পোদ্দারের ভূমিকা এখনও মানুষ মনে রেখেছে। সেই সুমিতাদেবীই এবার সরাসরি শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসেছেন।
সুমিতাদেবীর কথায়, আমরা ঠাকুরবাড়ির উন্নতি চাই, হরিচাঁদ ঠাকুরের বংশধরদের নয়। হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুর গরিব মতুয়াদের উন্নতির জন্য কাজ করে গিয়েছেন। তাই তাঁরা আমাদের কাছে ভগবান। কিন্তু যাঁরা ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতিমুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন, তাঁরা কী করছেন? মন্দিরের সামান্য উন্নতিও করেননি। নিজেদের উন্নতি করছেন। বারাকপুরে বিপুল টাকা দিয়ে নিজের আর স্ত্রীর নামে ফ্ল্যাট কিনেছেন। আমরা এই উন্নতি চাই না। আমরা মতুয়ারা ঠাকুরবাড়ির প্রকৃত উন্নতি চাই।
হরিচাঁদ, গুরুচাঁদের উত্তরাধিকারী হিসেবে মতুয়া সমাজের অনেকেই তাঁকে ‘ঠাকুর’ মানেন। এফিডেভিটেও শান্তনুবাবু জানিয়েছেন, তিনি ধর্মগুরু। আয়ের উৎস প্রণামী। এহেন শান্তনুবাবু ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বারাকপুরে ৩১১১ বর্গফুটের একটি বিশাল ফ্ল্যাট কিনেছেন। সঙ্গে দু’টি গ্যারেজ। যার দাম ১কোটি ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। বিষয়টি সামনে আসায় মতুয়াদের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। শান্তনুবাবুর বিরোধীরাও প্রণামীর টাকা মন্দিরের উন্নতিতে খরচ না করে ব্যক্তিগত ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে প্রচার চালাচ্ছেন। 
বাম রাজনীতি থেকে উঠে আসা দেবদাস মণ্ডল এখন বনগাঁ বিজেপির জেলা সভাপতি। সিপিএম করার সুবাদে রাজনীতির মারপ্যাঁচ ভালোই বোঝেন। তাঁর শরীরে প্রাচুর্যের ছাপ স্পষ্ট। শান্তনুবাবুকে নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের একাংশের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও দেবদাসবাবু শোনালেন অন্যকথা। তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদির তো আছেই, শান্তনু ঠাকুরের ‘ফেসভ্যালু’ও কম নয়। শুধু বনগাঁ নয়, বারাসাত, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর সহ বেশকিছু আসনে তাঁর জন্যই বিজেপি অনেকটা সুবিধা পাবে। হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরি হওয়ায় মতুয়ারা তাঁকে ‘দেবতা’ মানেন। যেখানে উনি প্রচার করতে যাচ্ছেন সেখানেই মতুয়ারা তাঁকে আরতি করে বরণ করছেন। ভক্তিভরে প্রণামী দিচ্ছেন। মতুয়াদের আবেগের কাছে বিরোধীদের সমস্ত অপপ্রচার ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে।
এবারের ভোটে শান্তনু ঠাকুরের জন্য বিজেপির যদি কেউ একশোভাগ উজাড় করে দিয়ে কাজ করেন তিনি অবশ্যই দেবদাস মণ্ডল। কিন্তু তাঁর দলের অনেক নেতা তেমন আন্তরিক নন। দলের চাপে মাঠে নামলেও মন আছে ভবিষ্যৎ রাজনীতির অঙ্কে। অঙ্ক না বলে ধন্দও বলা যায়। কী সেই ধন্দ? বিজেপি ঠাকুরবাড়িকে ব্যবহার করে দলের বিস্তার ঘটাচ্ছে, নাকি শান্তনু ঠাকুর দলকে কাজে লাগিয়ে নিজের প্রভাব বাড়িয়ে নিচ্ছেন!
আবেগের বাইরে গিয়ে বিজেপিতে যাঁরা মাথা খাটিয়ে রাজনীতি করেন তাঁরা বলছেন, একটা সময় শান্তনু ঠাকুরের বিজেপিকে প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে দিল্লি নেতৃত্বের আচরণে মনে হচ্ছে, শান্তনু ঠাকুরকেই দলের বেশি প্রয়োজন। তাঁর কোনও দাবিকে দল অস্বীকার করতে পারছে না। ফলে তিনি যাঁকে চাইছেন, যা চাইছেন, সেটাই হচ্ছে। তাতে দলের সংগঠন দানা বাঁধছে না। কারণ সবাই বুঝে গিয়েছেন, পঞ্চায়েত থেকে বিধায়কের টিকিট, সব ব্যাপারেই শেষকথা বলবেন শান্তনু ঠাকুর। আগামী দিনে তা আরও বাড়বে। বনগাঁয় বিজেপি জিতলেও তা গেরুয়া শিবিরের জয় হবে না, জিতবেন শান্তনু ঠাকুর। আর আশপাশে হেরে শুধু বনগাঁয় জিতলে তো কথাই নেই। শান্তনু ঠাকুর চলে যাবেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। দল হিসেবে বিজেপির এটাই সবচেয়ে ভয়ের ও চিন্তার।
বিজেপিকে ঠাকুরবাড়ির প্রভাব থেকে বের করে আনার লড়াইটা শুরু হয়েছে একুশেই। গাইঘাটা কেন্দ্রে চিকিৎসক সজল বিশ্বাসকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শান্তনু ঠাকুরের চাপে তাঁর দাদা সুব্রত ঠাকুরকে বিজেপি টিকিট দিতে বাধ্য হয়েছিল। তখন থেকেই গাইঘাটা, বনগাঁর রাজনীতিকে ঠাকুরবাড়ির প্রভাবমুক্ত করার লড়াই শুরু। 
সজলবাবু বলেন, আমাদের মতুয়াদের গুরু একজনই, হরিচাঁদ ঠাকুর। শান্তনুবাবু সহজসরল মানুষগুলোকে ধোঁকা দিয়ে ধর্মগুরু সাজতে চাইছেন। আমাদের লড়াইটা তার বিরুদ্ধে। আমরা জানি, একটা আঘাতে পাথর ভাঙা যায় না। কিন্তু অনবরত ঘা দিলে সেটা ভাঙবেই। আর ভাঙনের সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নাগরিকত্বের ধোঁকা সেই ভাঙনকে আরও প্রকট করেছে।
হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরিদের প্রতি মতুয়াদের মোহভঙ্গ হবে কি না, সেটা সময়ের উপরে ছেড়ে দেওয়াই ভালো। তবে এলাকা ঘুরে মালুম হয়েছে, ‘ঠাকুর’ ভক্তি কিন্তু মাতৃদুগ্ধের মতো আর খাঁটি নেই।
11th  May, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

৪ জুন যে সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হবে
হিমাংশু সিংহ

২০১৬, ২০২১ এবং ২০২৪। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মুখে ছাই দিয়ে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের হ্যাটট্রিক করলে কী বলবেন? বিগত আড়াই বছর ধরে চলা যাবতীয় নেগেটিভ প্রচার, অবিরাম কুৎসাকে ব্যর্থ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের তেমন কোনও জায়গা দিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
বিশদ

01st  June, 2024
শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। বিশদ

31st  May, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। বিশদ

29th  May, 2024
৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বিশদ

28th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

26th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
বাঙালি বিদ্বেষের বিষাক্ত রেপ্লিকা!
মৃণালকান্তি দাস

বিজেপি বদলায়নি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশি চিনে ফেলেছিলেন। তারপর ছাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের এক একটি খোসা। বেরিয়ে পড়েছে হিন্দুত্ববাদী নগ্নতার আরও কদর্যরূপ। ধর্মান্ধতার নিরিখে বিজেপি যে শুধু অহিন্দু বিদ্বেষী নয়, একইসঙ্গে অহিন্দি বিদ্বেষীও তা তারা প্রকাশ্যে হাজির করেছে। বিশদ

23rd  May, 2024
একনজরে
দমদম লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭৩.৮১ শতাংশ। এবার এই কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু ভোটদানের ক্ষেত্রে মহিলাদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন পুরুষ ভোটাররা। ...

চাঁদের দূরবর্তী অঞ্চলে সফলভাবে অবতরণ করল চীনের মহাকাশযান চ্যাং’ই-৬। উদ্দেশ্য, পাথর এবং মাটির নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসা। রবিবার বেজিংয়ের স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ...

চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা রায়গঞ্জ মেডিক্যালে। মৃত নাস্তারা খাতুনের (২২) বাড়ি গোয়ালপোখর থানার সোলপাড়া এলাকায়। ...

এবার ভালো বর্ষা হবে, আশা জুগিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তাদের অনুমান, দেশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি। কিন্তু পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেও বর্ষার দাপট জোরালো ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব সাইকেল দিবস
১৫০২: পর্তুগীজ নৌ অভিযাত্রী ভাস্কো-দা-গামা ভারতের কালিকট বন্দরে এক নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়
১৭৮৯: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় লবণ উৎপাদন নিষিদ্ধ করে
১৯০৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ বিপ্লবী গোপাল সেনগুপ্তর জন্ম
১৯১৫: ব্রিটিশ সরকার রবীন্দ্রনাথকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করে
১৯১৯: টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী ছায়া দেবীর (চট্টোপাধ্যায়) জন্ম
১৯২০: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসবিদ তথা গবেষক অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৪: রাজনীতিক এম করুণানিধির জন্ম
১৯২৮: প্রাক্তন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার জন রিচার্ড রিডের জন্ম
১৯৩৬: ভারতের সিভিলিয়ান রেডিওর নাম পরিবর্তন করে অল ইন্ডিয়া রেডিও নামকরণ।
১৯৪৬ : ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক নেতারা ব্রিটিশ সরকার প্রস্তাবিত ভারত বিভাজন প্রস্তাব মেনে নেন।
১৯৪৭ : বৃটিশ সরকার ভারত বিভাগের পরিকল্পনা প্রকাশ করে।
১৯৫৩: মনোবিদ গিরীন্দ্রশেখর বসুর মৃত্যু
১৯৬১:  রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৬: প্রাক্তন পাকিস্তানের ক্রিকেট তারকা ওয়াসিম আক্রামের জন্ম
১৯৬৯: ভাষা বিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল হাই ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হন
১৯৮৬: টেনিস তারকা রাফায়েল নাদালের জন্ম
২০১৩: অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু
২০১৫: সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রী বিজয়া রায়ের মৃত্যু
২০১৬: মার্কিন বক্সার মহম্মদ আলির মৃত্যু
২০২০: বলিউডের বিশিষ্ট গীতিকার আনোয়ার সাগরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৮ টাকা ৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.০৪ টাকা
ইউরো ৮৯.০৩ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
02nd  June, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  June, 2024

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২০ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪। দ্বাদশী ৪৮/৩০ রাত্রি ১২/১৯। অশ্বিনী নক্ষত্র ৪৭/৫৫ রাত্রি ১২/৫। সূর্যোদয় ৪/৫৫/২১, সূর্যাস্ত ৬/১৩/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/২৯ গতে ৪/১২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫৪ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। 
২০ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১১/২। অশ্বিনী নক্ষত্র রাত্রি ১১/১৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩১ গতে ১০/১৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১১ গতে ১২/০ মধ্যে ও ১/২৫ গতে ২/৪৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩২ গতে ৪/১৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ২/৫৫ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৩৬ মধ্যে। 
২৫ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা

11:19:46 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭৮ রানের টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা

09:47:26 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার

07:40:00 PM

তাজ এক্সপ্রেসে ভয়াবহ আগুন, তবে যাত্রীরা নিরাপদেই
ফের ট্রেন দুর্ঘটনা! তবে যাত্রীরা নিরাপদেই।  আজ সোমবার বিকালে দিল্লিতে ...বিশদ

06:45:00 PM

২৫০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

04:37:09 PM

যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত ...বিশদ

04:14:32 PM