ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
এদিন শান্তিপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং বেলগড়িয়া-২ পঞ্চায়েতের গবারচর সহ বেশ কিছু নদী তীরবর্তী এলাকায় ভোট প্রচারে যান বাম প্রার্থী। কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে একাধিক গ্রামে ঘোরেন তিনি। কথা বলেন সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। গ্রামবাসীরা বলেন, গত কয়েক বছরে ভাগীরথী নদীর ভাঙনে বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। বসতভিটেও হারাতে হয়েছে অনেককে। কিন্তু ভাঙন সমস্যার সমাধান করা তো দূরের কথা, বিজেপি সাংসদ একবারের জন্যেও গ্রামে পা রাখেননি। গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেন সিপিএম প্রার্থী অলকেশবাবু। তিনি বলেন, ভাঙন রোধের ব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই বরাবরই উদাসীন। এখানকার মানুষদের দাবি ছিল, স্থায়ী পাকা বাঁধ। কিন্তু নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বিজেপি ও তৃণমূলের কাছে ভোটব্যাঙ্ক ছাড়া আর কিছুই না। এদিন সকালে দীর্ঘক্ষণ ভাগীরথী পাড়ের গ্রামগুলোতে ভোট প্রচার করেন তিনি।
যদিও বাম প্রার্থীর এই বক্তব্যকে মানতে নারাজ রাজ্যের তৃণমূল। শান্তিপুরের বিধায়ক তৃণমূলের ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, ভাঙন রোধের জন্য এতদিন যা যা করা হয়েছে সবটাই রাজ্য সরকার করেছে। কেন্দ্র সহযোগিতা না করলেও রাজ্যের সেচদপ্তর বহুবার ভাঙন পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে। আমি নিজে বিধায়ক তহবিল থেকে ভাঙন রোধের কাজ করিয়েছি। সিপিএম প্রার্থী প্রথমবার গ্রামগুলোতে পা রাখছেন বলে হয়তো তা জানেন না। অন্যদিকে রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, ভাঙন প্রতিরোধের ব্যাপারে রাজ্যকেও একটা মার্জিন বানিয়ে দিতে হতো। কিন্তু তৃণমূল সরকার সেটা দেয়নি। এবার ফের ক্ষমতায় এলে আমরাই ভাঙন সমস্যার স্থায়ী সমাধান করব।