রাজ্য

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-স্বাস্থ্যসাথীর বিরোধিতা করা ‘বিপ্লবী’রা প্রকল্প ছাড়ুন, আক্রমণে তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেও চলছে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি। তারপর এবার রাজ্যের সরকারী প্রকল্পগুলিকে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে আর জি করের ঘটনার সঙ্গে। এমনই অভিযোগ উঠেছে এক শ্রেণির ‘স্বঘোষিত বিপ্লবীদের’ বিরুদ্ধে। আর জি করের ঘটনার সঙ্গে সরকারি প্রকল্পের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও তাঁদের সাঙ্গপাঙ্গরা আর জি করের ঘটনাকে হাতিয়ার করে সামাজিক সুরক্ষায় সবচেয়ে সমাদৃত রাজ্যের দুই প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও স্বাস্থ্যসাথীর বিরোধিতা শুরু করেছে। সমাজমাধ্যমে আহ্বান জানানো হচ্ছে, এই দুই প্রকল্প বয়কট করার। নিয়ে পাল্টা আক্রমণে নেমেছে রাজের শাসক দল তৃণমূল। যেখানে সরাসরি বার্তা দেওয়া হয়েছে, মুখে বিরোধিতা নয়। আগে সরকারি ‘সুবিধা’ ছাড়ুন, তারপর ‘বিপ্লব’!  
দিন যত গড়াচ্ছে, ততই যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল আরও বাড়ছে আর জি করের ঘটনায়। সকলেই চাইছেন, দ্রুত বিচার। তারমধ্যে অভিযোগও উঠেছে, মৃত্যুকে নিয়ে প্রতিদিনই রাজনীতি করছে বিজেপি, সিপিএম। প্রতিদিনই সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা ধরনের পোস্ট করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। তাঁরা আবার আর জি করের ঘটনার সঙ্গে রাজ্যের সরকারি প্রকল্পকেও এক করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এর আগে লোকসভায় শোচনীয় বিপর্যয়ের পর লালপার্টি কিছু কর্মী-সমর্থক লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারকে বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে ‘টার্গেট’ করে, তাকে নিছকই ‘ভিক্ষে’ বলে প্রচার চালাচ্ছিল। এবারও নেমে পড়েছে তারা। ঠিক এখানেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। শুক্রবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত। বাংলার মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন এবং তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পাশে আছেন। আর জি করের ঘটনার সঙ্গে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিংবা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প বয়কট করার ডাক দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিপ্লব দেখাচ্ছেন কেন? নেব না, ছেড়ে দেব, এতসব কথা বলছেন কেন? আগে এই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ছাড়ুন, তারপর বড় বড় কথা বলবেন। একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, তৃণমূল বাংলার মানুষের মন বোঝে। তাই বিরোধীদের বলব, ভোটের ময়দানে বন্ধু দেখা হবে।
অন্যদিকে, সিবিআইয়ের উপর আরও চাপ বাড়াল তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হল, ২৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অগ্রগতি কোথায়? ঘটনার পর থেকে সিবিআই একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকী ধৃত সঞ্জয় রায়কে শুক্রবার আদালতে তোলার পরেও সিবিআই কোনও তথ্য দিতে পারেনি। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, আর জি করের ঘটনায় দোষীর ফাঁসি চাই। কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্তে বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। সিবিআইয়ের বিলম্বের ফলে মিথ্যা খবর সামাজিক মাধ্যমে রটানো হচ্ছে। আর বিজেপিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে। তৃণমূলের বক্তব্য—তদন্ত যত থমকে রবে, গর্জন তত তীব্র হবে!
28d ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা