রাজ্য

ডিভিসির জলে বন্যা পরিস্থিতি, সরানো হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আশঙ্কাই সত্যি হতে শুরু করল! ডিভিসির ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া অব্যাহত থাকায় মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন। বহু জায়গায় চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার সিংহভাগ এলাকা প্লাবিত। ওই জেলার কেশপুর, সবং, দাঁতন, কেশিয়াড়ি এবং ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর, সাঁকরাইলে রীতিমতো উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। সবংয়ে প্রায় ২০০টি গ্রাম ইতিমধ্যে জলের তলায় চলে গিয়েছে। বাঁকুড়ার সোনামুখী, হুগলির আরামবাগ মহকুমা, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর নিয়ে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। এসব জেলা দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর, সুবর্ণরেখা, শিলাবতী, কংসাবতী। সব নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। সোমবার থেকে ডিভিসির ব্যারেজ বেশি মাত্রায় যে জল ছাড়ছে, তা হুগলি-হাওড়ার নিম্ন দামোদর অববাহিকা অঞ্চলে পৌঁছবে বুধ-বৃহস্পতিবার নাগাদ। তখন এই দুই জেলায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতেও জল বাড়তে শুরু করেছে। 
এই পরিস্থতিতে হাত গুটিয়ে বসে নেই রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ২৩০০ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। রাতের দিকে সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার ছুঁয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় ৩৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। জেলার শীর্ষ আধিকারিকরা দুর্গত এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। ত্রিপল সহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। এসবের মধ্যে আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস। মঙ্গলবার বিভিন্ন জেলায় প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ছত্তিশগড় সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে দক্ষিণ ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে এসেছে। এর প্রভাবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কমবে বলে জানিয়েছে তারা। আগামী দু’দিন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা ছাড়াও পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদীয়া জেলায় বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এসব জেলায় এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি ততটা খারাপ না হলেও টানা বৃষ্টি চললে অবস্থার অবনতির আশঙ্কা থাকছেই। 
ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দামোদর ও বরাকর নদীর অববাহিকা অঞ্চলে  ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছিল। অতি বৃষ্টির জেরে মা‌ইথন ও পাঞ্চেত বাঁধে প্রচুর জল নেমে আসে। এই দু’টি বাঁধ থেকে যাবতীয় নিয়মনীতি  মেনে জল ছাড়া হচ্ছে। সোমবার রাতে জল ছাড়ার হার ছিল ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক। মঙ্গলবার তা কমিয়ে ৬৫ হাজার করা হয়েছে। এসবের মধ্যে পূর্ব বর্ধমানে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
জলের তলায় হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল। মঙ্গলবার পাপ্পা গুহর তোলা ছবি।
9Months ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা