বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

আজ রাজভবনে নির্মলচন্দ্রের শপথ, থাকবেন না অধ্যক্ষ-পরিষদীয় মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: মাসখানেক ধরে রাজ্য-রাজভবনের দড়ি টানাটানির অবসান! অবশেষে শপথ নিতে চলেছেন ধূপগুড়ির জয়ী তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। আজ, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টের সময় রাজভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। তবে রাজভবনে গিয়ে কোনও বিধায়কের শপথ গ্রহণ বাংলার পরিষদীয় রাজনীতিতে বিরল ঘটনা বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণত মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয় রাজভবনে। আর বিধায়করা শপথ নেন বিধানসভায়। রাজ্যপালের অনুমতি ক্রমে বিধানসভার অধ্যক্ষ বা উপাধ্যক্ষ তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান। 
নির্মলবাবুর শপথ নেওয়া নিয়ে জটিলতা কাটলেও এই ইস্যুতে রাজ্য সরকার ও রাজভবনের চাপানউতোর কমার লক্ষণ নেই। কারণ, রাজভবনে এদিনের অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকবেন উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। 
ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয় ৮ সেপ্টেম্বর। নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান রাজভবনে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের এই মনোভাব ভালো চোখে দেখেনি রাজ্য। শুরু হয় মতবিরোধ। কিন্তু রাজ্যপাল যেভাবে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন, তাতে শপথ গ্রহণ ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছিল। ধূপগুড়ির মানুষ বিধায়কের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এই আবহে বৃহস্পতিবার ফের নির্মলবাবুকে শপথ গ্রহণ সংক্রান্ত চিঠি দেয় রাজভবন। তারপরই রাজ্য এবং তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে সিদ্ধান্ত হয়, সাধারণ মানুষের স্বার্থ সবার আগে। তাই রাজ্যপালের সিদ্ধান্তেই সম্মত হয় সরকার পক্ষ। 
দলের নির্দেশ মতো শুক্রবার বিকেলে কলকাতা চলে আসেন নির্মলবাবু। বিধানসভায় গিয়ে তিনি বৈঠক করেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্মল ঘোষ, তাপস রায়ের সঙ্গে। নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, ‘শপথের জন্য এতটা দেরি না হলেই ভালো হতো।’ বিধায়ক হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করার পাশাপাশি শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে চান ধূপগুড়ি গার্লস কলেজে ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক নির্মলবাবু। শপথ গ্রহণে দেরি হওয়ায় মানুষ কীরকম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন এই ক’দিনে, তা বিস্তারিত বলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘স্কলারশিপের জন্য প্রতিদিনই অনেক ছাত্রছাত্রী বাড়িতে আসত। আমি তাদের কোনও সুরাহা করতে পারছিলাম না। স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য বিধায়কের শংসাপত্র প্রয়োজন অনেকের। সেটুকুও দিতে অপারগ ছিলাম আমি।’ ধূপগুড়ি শহরের সৌন্দর্যায়ন, ডাম্পিং গ্রাউন্ড, নিকাশি পরিকাঠামো সহ স্থানীয় নদীগুলির ভাঙন সমস্যার সমাধান, ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের উন্নতি তাঁর অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

30th     September,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ