দেশ

মোদি না ইন্ডিয়া? রায় আজ

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: এক্সিট পোল নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার তর্ক-বিতর্কের পর অবশেষে প্রকৃত ফলাফলের মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত। নির্ঘণ্ট ঘোষণা থেকে আড়াই মাস। সাত দফা। আর সব শেষে আজ লোকসভা ভোটযুদ্ধের অন্তিম পর্ব। দুপুরের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ট্রেন্ড—এনডিএ না ইন্ডিয়া? আরও স্পষ্টভাবে বললে, মোদি না ইন্ডিয়া? ৯৮ কোটি ভোটারের মধ্যে বুথ পর্যন্ত পৌঁছনো ৬৪ কোটি দেশবাসীর রায় আজ সামনে আসবে। ৫৪৩ আসনের মধ্যে সুরাত লোকসভায় প্রতিপক্ষ কংগ্রেস প্রার্থী আচমকা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ফলে একটি আসনে জয় নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছিল বিজেপি। ঩নির্বাচন শুরুর আগে প্রচার তুঙ্গে উঠেছিল—বিজেপির সামনে বিরোধীরা ছত্রভঙ্গ। কিন্তু ভোটপর্ব যত এগিয়েছে, ততই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে রাজ্যে রাজ্যে লড়াই। ভোটের বহু আগেই সংসদ থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন তাঁর নির্বাচনী স্লোগান—‘অব কি বার ৪০০ পার।’ সেই ‘ধ্রুবপদে’ কি আজ সত্যিই সিলমোহর পড়বে?
মরিয়া নরেন্দ্র মোদি।
যে রাজনৈতিক পরিবারকে তিনি সবথেকে বেশি অপছন্দ করেন, তাঁদের দখলেই যে দু’টি পাহাড়প্রমাণ রেকর্ড। জওহরলাল নেহরুর ঝুলিতে রয়েছে লাগাতার তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নজির। আর তাঁর দৌহিত্র রাজীব গান্ধীর নামের পাশে চারশো পার লোকসভা আসনপ্রাপ্তির কৌলিন্য। স্বাধীনতা পরবর্তী অধ্যায়ে নেহরু ছাড়া আর কেউ পরপর তিনবার ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। ঩সুতরাং নরেন্দ্র মোদির টার্গেট, একসঙ্গে এই দুই রেকর্ড স্পর্শ করা। পারবেন কি তিনি? তাবৎ এক্সিট পোল বলেছে, পারবেন। কিন্তু সোমবারও মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র দাবি, ‘৩৫০-৪০০ সব ফাঁপানো বেলুন। জিতবে ইন্ডিয়াই। ২৯৫ আসন নিয়ে সরকার গড়বে তারা।’ রাহুল গান্ধীর এটাই শেষ সুযোগ মোদিকে পরাস্ত করার। সেই সুযোগ তিনি কতটা কাজে লাগাতে পারলেন? 
২০১৯ সালের এনডিএর শরিকরা একে একে ছেড়ে চলে গিয়েছিল বিজেপিকে। কয়েক মাস আগে পর্যন্তও কার্যত একাই ছিল গেরুয়া শিবির। লোকসভা ভোট এগিয়ে আসার পরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দুই প্রাক্তন শরিককে কাছে টেনে নেন নরেন্দ্র মোদি। নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডু। এই দুই দলই আপাতত বিজেপির সবথেকে বড় দুই শরিক। পক্ষান্তরে একঝাঁক বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দল ‘ইন্ডিয়া’য় থাকলেও রাজস্থান, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, অসম, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, গুজরাতে রাহুল গান্ধীর দল কেমন ফলাফল করতে চলেছে, সেটাই আজ জয়-পরাজয়ের অন্যতম ফ্যাক্টর। কারণ এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসই। 
পাশাপাশি রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যে রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলির পারফরম্যান্সের উপর। বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, দিল্লি, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশে আজও একক শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি। তৃণমূল, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, ডিএমকে, এনসিপি, বিজু জনতা দল, ওয়াইএসআরপি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চারা কি সত্যিই চব্বিশের এসপার-ওসপার লড়াইয়ে মোদির স্বপ্নভঙ্গ করতে পারবে? নাকি মোদির অশ্বমেধের ঘোড়া হবে অপ্রতিরোধ্য? কোন ইস্যু বাজিমাত করেছে এই মহারণে?
একদিকে  ‘ইন্ডিয়া’ এবার ভোট প্রচারে সবথেকে বেশি জোর দিয়েছে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, গণতন্ত্র রক্ষা এবং সংবিধান বাঁচানোয়। পক্ষান্তরে এসবের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদি একাই বিজেপির ভোট-ইস্যু স্থির করে দিয়েছেন—হিন্দুত্ব। উন্নয়ন নয়, ধর্মই ছিল তাঁর হাতিয়ার। এই প্রথম ভোটে দেখা গিয়েছে দুই যুযুধান শিবিরই প্রধানত দু’টি শ্রেণিকে মরিয়া টার্গেট করেছে—মহিলা ও যুব। কংগ্রেস অস্ত্র হিসেবে এবার বছরে মহিলা এবং যুবদের ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর মোদির পুঁজি ছিল ৮০ কোটি গরিবকে বিনামূল্যে রেশন, উজ্জ্বলা গ্যাস, আবাস যোজনা। ১৪০ কোটির দেশে  মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের যন্ত্রণা কি নিঃশব্দে ধর্মীয় বিভাজনকে হারাতে সক্ষম হল? নাকি সব সমস্যাকে হজম করেও ভোটার আস্থা রাখছে মোদির গ্যারান্টিতেই? আজ উত্তর দেবে ইভিএম। 
অপেক্ষায় রয়েছে এক্সিট পোলও।
ভোটগণনার প্রস্তুতি। সোমবার নাগপুরে পিটিআইয়ের তোলা ছবি।
24d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৭০ টাকা৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড১০৩.৮৪ টাকা১০৭.৩০ টাকা
ইউরো৮৭.৮০ টাকা৯০.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা