দেশ

ধসের মুখে আইটি চাকরির বাজার, মোদির তৃতীয় ইনিংসের শুরুতেই উচ্চ বেতনের নিয়োগে ধাক্কা, ন্যাসকমের রিপোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: চার বছর আগে কোভিডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ধুঁকতে শুরু করেছিল উচ্চ বেতনের চাকরি ক্ষেত্র। একের পর এক চাকরি চলে যাওয়া, প্রজেক্ট না থাকলে বেতন বন্ধ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাইনে কেটে নেওয়া—এই প্রবণতা তখন জলভাত হয়ে গিয়েছিল বিশেষত আইটি বা তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টরে। নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় ইনিংসে কি সেই দুঃস্বপ্ন ফিরে আসতে চলেছে? প্রশ্নটা তুলে দিয়েছে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব সফটঅয়্যার অ্যান্ড সার্ভিস কোম্পানি (ন্যাসকম)। তাদের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, গত অর্থবর্ষের তুলনায় রীতিমতো ধস নামতে চলেছে আইটি তথা উচ্চ বেতনের নিয়োগ ক্ষেত্রে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে যেখানে তথ্য-প্রযুক্তিতে ২ লক্ষ ৭০ হাজার চাকরি হয়েছিল, সেখানে এই পরিসংখ্যান চলতি অর্থবর্ষে নেমে আসতে পারে মাত্র ৬০ হাজারে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক শেষ হতে আর কয়েকদিন। তিন মাসের গড় নিয়োগের প্রবণতা কিন্তু বুঝিয়ে দিচ্ছে, ন্যাসকমের রিপোর্ট উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। বরং অঙ্কটা সত্যিই উদ্বেগজনক। অর্থাৎ মানেটা পরিষ্কার, গত অর্থবর্ষের তুলনায় পাঁচ ভাগও চাকরি হবে না চলতি আর্থিক বছরে। তাই তৃতীয় ইনিংসের শুরুতেই নরেন্দ্র মোদির কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে বেকারত্ব সঙ্কট।
কিছুদিন আগেই তথ্য জানার অধিকার আইনে করা একটি আবেদনের জবাবে জানা গিয়েছিল, দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আইআইটি ক্যাম্পাসগুলিতে ৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর চাকরি হয়নি। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গণ্ডি পেরনোর সময়ও যদি মনমতো চাকরি অধরা থেকে যায়, তখন দেশের অর্থনীতি এবং নিয়োগ-নীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আর সেটাই হচ্ছে। একইসঙ্গে ভারতে দ্রুততম হারে বেড়ে ওঠা তথ্য-প্রযুক্তি কর্মজগৎও সার্বিকভাবে ঢুকে পড়েছে তালিকায়। প্রধানত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের তাবৎ সংস্থায় প্রবল আর্থিক মন্দাকে কেন্দ্র ঢাল করতে চাইলেও অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা চাপা থাকছে না। কারণ, দেশীয় তথ্য-প্রযুক্তি এবং স্টার্ট আপ নিয়ে প্রচারের যে ঢেউ বিজেপি তুলেছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের ফল তার বড় প্রমাণ। এর উপর তাৎপর্যপূর্ণ এবং উদ্বেগজনক বার্তাটি হল, দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ সংস্থা তাদের একাধিক কোর্স বন্ধ করে দিচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সংক্রান্ত একটি কোর্সে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করার পরও কিছুদিন আগে তা স্থগিত করে দিয়েছে গুরুগ্রামের প্রথম সারির একটি ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট। ডেলয়েট সংস্থার সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতে এমবিএ ছাত্রছাত্রীদের কর্মসংস্থান হবে ঠিকই, কিন্তু বেতন কমে যাবে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। সবচেয়ে বড় কথা, এক্ষেত্রে কোভিড বিপর্যয়ের ছায়া দেখা যাচ্ছে। কারণ, চাকরির শুরুতে যে প্যাকেজ অফার করা হচ্ছে, তেমনটা হয়েছিল ২০২১ সালে।
পরিষেবা এবং তথ্য-প্রযুক্তি—এই দুই ঩সেক্টরই ভারতে শিক্ষিত ছাত্রছাত্রীদের কর্মজগতে প্রবেশের সবথেকে বেশি চালিকাশক্তি হয়ে থেকেছে বিগত বছরগুলিতে। এখনও সেটা বিদ্যমান। কিন্তু এন্ট্রি লেভেল চাকরির সুযোগ ও  গ্রহণযোগ্য ঩বেতন যেমন কমছে, তেমনই সর্বোচ্চ পর্যায়ের চাকরিগুলির ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে কর্ম ও কর্মী সংকোচন। একমাস পর বাজেট পেশ করবে তৃতীয় এনডিএ সরকার। মধ্য঩বিত্তকে তুষ্ট করতে আয়কর ছাড় দেওয়া হবে জল্পনা এখন তুঙ্গে উঠেছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি যে যুবশক্তির সবথেকে বেশি জয়ধ্বনি দেন, তাদের কী হবে? এই শ্রেণিকে আশ্বস্ত করার জন্যও কিন্তু নিশ্চিত কোনও ব্যবস্থা নিতে হবে মোদিকে। চ্যালেঞ্জ সেটাও। 
3d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৫৮ টাকা৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৩.৮৩ টাকা১০৭.৩০ টাকা
ইউরো৮৭.৯০ টাকা৯১.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা