রাজ্য

সমুদ্র সৈকতে গেলেই পর্যটকদের ধমক পুলিসের, খুলতে দেওয়া হয়নি দোকান

রাহুল চক্রবর্তী, দীঘা: ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় কড়া সতর্কতার ছবি দেখা গেল দীঘা উপকূলে। রবিবার ভোর থেকেই দীঘার সমুদ্র সৈকতে পুলিসের নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো। সমুদ্রের জলে কোনও পর্যটককে নামতে দেওয়া হয়নি। ঘনঘন বেজেছে হুইসেল। এমনকী সমুদ্র সৈকতের পাড়ে পর্যন্ত পর্যটকদের যেতে দেওয়া হয়নি। লাঠি উঁচিয়ে সৈকত খালি করার ছবিও ধরা পড়েছে।
এদিন কাকভোর থেকে দীঘায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। কখনও কম, কখনও বেশি। সেইসঙ্গে ছিল হাওয়ারও দাপট। তাই প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলের পক্ষ থেকে নজরদারির ছবি ধরা পড়েছে ভোর থেকেই। ওল্ড এবং নিউ দীঘাতে এদিন সকাল সাতটাতেই কিছু পর্যটক হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা যাতে কোনওভাবেই সমুদ্রের জলে না নামেন, সে ব্যাপারে বারবার মাইকে ঘোষণা করা হয়। বেলা একটু গড়াতেই প্রশাসনের নজরদারি আরও বৃদ্ধি পায়। অটো, টোটোতে করে ঘোষণা চলতে থাকে– সমুদ্র সৈকত খালি করে দিন। যারা সমুদ্র সৈকতে এসেছেন, তাঁরা অবিলম্বে হোটেলে ফিরে যান। এমনকী দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফেও ঘোষণা করা হতে থাকে, আগামী দু’দিন হোটেল মালিকরা কোনওরকম বুকিং নেবেন না। যে সব পর্যটকরা রয়েছেন, তাঁদেরকে নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করুন।
রেমালের আগে উত্তাল সমূদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন কয়েকজন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের কড়া ধমক দেওয়া হয়। এমনকী অল্পবয়সি বেশ কিছু যুবক বারবার সমূদ্রের ধারে চলে আসছিলেন। তাঁদের লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিস। যে কয়েকটি দোকান সমুদ্র সৈকতে খুলেছিল, তাদেরকে দ্রুত বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বেলা বাড়তেই দেখা গিয়েছে, গোটা সমুদ্র 
সৈকত জুড়ে প্রশাসনের গাড়ি হুইসেল বাজাতে বাজাতে ছুটেছে বারবার। সমুদ্র উত্তাল! এই অবস্থায় কোনও পর্যটক যেন দুর্যোগের মুখে না পড়েন, 
তাই বারবার সর্তকতা জারি। সমুদ্র সৈকতে কেউ যেন ঘোরাঘুরি না করেন। আর মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামার উপরে নিষেধাজ্ঞা তো ছিলই।
ভোট মেটার পরদিনই ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় নেমে পড়েন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক। দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের দপ্তরে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিন ঝাড়খণ্ড থেকে দীঘায় বেড়াতে এসেছিলেন সঞ্জীব সাউ ও তাঁর সাত বন্ধু। তাঁদের বক্তব্য, রেমাল রবিবার রাতে আছড়ে পড়বে জানতাম। ভেবেছিলাম সকালে হয়তো সমুদ্রে নামা ও বিচে ঘোরাঘুরি করা যাবে। কিন্তু পুলিস প্রশাসনের কঠোর নির্দেশিকার মধ্যে পড়ে এখন মনে হচ্ছে টিকিট, হোটেল ভাড়া‌ সব‌ ফালতু গেল। আবার রঞ্জন রায় নামে এক যুবককে দেখা গেল, সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন। তাঁর বক্তব্য,‌ রেমাল নিয়ে এত কথা শুনছি বটে, কিন্তু সমুদ্রকে সঙ্গে নিয়ে সেলফি তুলব না, তা তো হয় না। তাই ছবিটা তুলে রাখলাম। বারাকপুরের বাসিন্দা অনামিকা দাস দীঘায় এসেছিলেন স্বামী ও চার বছরের ছেলের সঙ্গে। তিনি‌ বললেন,‌ আমাদের ওখানে ভোট হয়ে গিয়েছে, আর দীঘা এলাকার ভোটও হয়ে যাবে– এমন দিন-তারিখ দেখেই শনিবার রাতে এসেছিলাম। রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের সময় সমুদ্রের ছবিটা উপভোগ করতে।
তবে রেমালের প্রভাবের জন্য মন খারাপ ফলবিক্রেতা বিশ্বজিৎ খাটুয়া থেকে ঝিনুকের অলঙ্কার সামগ্রী বিক্রেতা নীলু প্রধানের। তাঁদের কথায়, সপ্তাহ শেষে রবিবারে পর্যটকরা বেশিই আসেন। বিক্রি সামান্য বেশি হয়। কিন্তু এবার আর হল না সেটা।
2Months ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা