রাজ্য

১০০ দিনের কাজ: কেন্দ্রীয় ডিরেক্টরের স্বীকৃতিতে ফাঁস মোদি বাহিনীর মিথ্যাচার

প্রীতেশ বসু, কলকাতা: ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে দু’বছর ধরে আটকে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা। খরচের হিসেব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশের শীর্ষ অডিট সংস্থা ক্যাগ। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার জন্য ঢাল করেছেন ক্যাগ রিপোর্টকে। এই ইস্যুতে ক্যাগের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠি লিখেছেন নরেন্দ্র মোদিকেও। জানিয়েছেন, তাঁর আমলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়ে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ার অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। এবার সেই দাবির সপক্ষে প্রমাণ মিলল খোদ কেন্দ্রের একাধিক অভ্যন্তরীণ চিঠি এবং নথিতে। সেখানে এই প্রকল্পের ডিরেক্টরই সাফ জানাচ্ছেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার যাবতীয় ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিয়েছে। ফলে এই রাজ্যের জন্য অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। তাঁর এই স্বীকৃতিতে ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে মোদি বাহিনীর মিথ্যাচার আবারও সামনে চলে এল বলে মত প্রশাসনিক মহলের।
‘বর্তমান’-এর হাতে এসেছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসারকে পাঠানো মনরেগা প্রকল্পের ডিরেক্টর ধরমবীর ঝার তিনটি চিঠি। তিনটিই পশ্চিমবঙ্গের ১০০ দিনের কাজের টাকার কিস্তি সংক্রান্ত। প্রথমটি পাঠানো হয় ২২ জুন, ২০২১ তারিখে। এবং অপর দু’টি ওই বছরেরই ১৪ ডিসেম্বর। ২২ জুনের চিঠির ছ’নম্বর পয়েন্টে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার বিষয় ক্লিন চিট দিয়েছে কেন্দ্র। ১৪ ডিসেম্বরের দু’টি চিঠিরই সাত নম্বর পয়েন্টে মনরেগা প্রকল্পের ডিরেক্টরের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলা হয়েছে— ‘এই প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের তরফে কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার কাজ পড়ে নেই।’ এমনকী, রাজ্যের এই সংক্রান্ত নোডাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য, অডিট রিপোর্টও কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েছে। ঠিক ক’টার সময় মাস্টাররোলে থাকা জব কার্ড হোল্ডারদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে, সেই তথ্য মন্ত্রকের অজানা নেই। সূত্রের খবর, আবাস প্রকল্প নিয়েও ২০২২ সালের ২৪ মার্চ একটি চিঠি জমা পড়েছে পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসারের কাছে। সেটিতে পর্যন্ত সঠিক সময় খরচের হিসাব জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে।
এই সমস্ত নথিই এবার রাজ্যের তুরুপের তাস হতে চলেছে বলেই মত প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের। তাঁদের দাবি, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সঠিক সময়ে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা পড়েছে। কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ চিঠিতে রাজ্যকে এব্যাপারে ক্লিন চিট দেওয়াই তার প্রমাণ। তাহলে কি দিল্লির কৃষিভবনের আধিকারিকদের এই ক্লিন চিটের বিষয়টি ক্যাগ পর্যন্ত পৌঁছয়নি? এবিষয় জানতে চাওয়া হলে, রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘আমরা তো আগাগোড়া বলে আসছি যে, কেন্দ্রের এসব দাবি ভিত্তিহীন। এখন দেখা যাচ্ছে, ওরাই তো এব্যাপারে প্রাপ্তি স্বীকার করেছে। তাও অর্থনৈতিক সন্ত্রাস চালিয়ে বাংলাকে ভাতে মারছে কেন্দ্র। তাই মুখ্যমন্ত্রীও ক্যাগ রিপোর্টে তোলা অভিযোগের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন।’
সোমবার বিধানসভায় শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন। সেখানে ক্যাগ রিপোর্টকে হাতিয়ার করে আওয়াজ তুলতে পারে রাজ্যের বিরোধী শিবির। সেক্ষেত্রে, সরকার তথা শাসক দলের কাছে কেন্দ্রের এই সমস্ত চিঠি তাদের চুপ করাতে বড় ভূমিকা নেবে। এব্যাপারে নিঃসন্দেহ রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। 
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার এই পর্বে বড় সিদ্ধান্তও নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণা করেছেন, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ২১ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মজুরির টাকা পাঠাবে তাঁর সরকার। বিষয়টিকে ‘নাটক’ বলেই কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। যদিও তাঁর সমালোচনাকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর সাফ কথা, বিজেপি টাকা দিচ্ছে না। ফলে ওরা কী বলছে, তার কোনও গুরুত্ব নেই।
5Months ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা