রাজ্য

হোক সিবিআই তদন্ত, মিড ডে মিল নিয়ে কেন্দ্রকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ব্রাত্যর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপিকে তোপ দেগেছেন তিনি। সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন, তদন্ত হোক। বাংলা প্রস্তুত। 
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সোমবার লোকসভায় দাবি করেছিলেন, এ রাজ্যে মিড ডে মিল খাতে ৪ হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। সে প্রসঙ্গেই ব্রাত্যবাবু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দলই এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ঘুরে মিড ডে মিল নিয়ে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিল। তারা বলেছিল, এ রাজ্যে মিড ডে মিলের বণ্টন ব্যবস্থা এবং খাবারের মান সারা দেশের মধ্যে সেরা। তাদের রিপোর্টেও এর উল্লেখ ছিল।’ তাহলে এখন ভোটের আগে অন্য সুর কেন? শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মনে হচ্ছে, রাজ্যকে আরও চেপে ধরা উচিত। তাই সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত হলে হোক। আমাদের কোনও অসুবিধা নেই।’ 
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শোরগোল তোলার পরই জয়েন্ট রিভিউ মিশনের একটি দল মিড ডে মিলের মান যাচাই এবং অনিয়মের খোঁজে গোটা রাজ্যে ঘুরেছিল। রাজ্য সরকারি প্রতিনিধিদের কিছুটা অন্ধকারে রেখেই তাঁরা আকস্মিক হানা দেন বেশ কিছু স্কুলে। তবে ওই প্রতিনিধিদলের চেয়ারপার্সন তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে তেমন গুরুতর অভিযোগ তোলেননি। এমনকী, সরকারের সহযোগিতারও প্রশংসা করে গিয়েছিলেন। পরে একটি রিপোর্ট আসে নবান্নে। তাতেও মিড ডে মিলে রাজ্যের প্রশংসাই ছিল। সেসব মনে করিয়েই এটিকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শুধু মিড ডে মিল সম্পর্কিত অভিযোগই নয়, বিজেপিকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের শূন্যপদ নিয়েও তুলোধোনা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিধানসভায় আমি বলেছিলাম রাজ্যে সমস্ত স্কুলে শিক্ষকদের পূর্ণপদ তিন লক্ষ। বিজেপি সেটা শুনে শূন্যপদ তিন লক্ষ বলে প্রচার চালাতে শুরু করে।’ তিনি হিসেব দিয়ে দাবি করেন, রাজ্যের স্কুলগুলিতে সব মিলিয়ে শূন্যপদ মাত্র ৭৮১টি। দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিকে শূন্যপদ মাত্র ১৩। মাধ্যমিকের শূন্যপদ ২৮টি এবং উচ্চ প্রাথমিকে রয়েছে ৪৭৩টি শূন্যপদ। প্রাথমিক স্কুলে ২৬৭ জন শিক্ষকের পদ ফাঁকা রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর এই দাবির পরে প্রশ্ন ওঠে, প্রায় ৮০০ শূন্যপদ থাকলে এই নিয়োগ যজ্ঞ চলছে কেন? এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ‘সব নিয়োগই হচ্ছে নতুন করে সৃষ্টি করা শূন্যপদে। প্রতি বছরই শূন্যপদ তৈরি হয়। সেই অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বা স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে।’ এখন যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, তা সবই আদালতের নির্দেশে হচ্ছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। চলতি বছরে প্রকাশ্যে আসা শিক্ষাদপ্তরের একটি হিসেবে দেখা গিয়েছিল, স্কুলগুলিতে ছাত্র সংখ্যার অনুপাতে শিক্ষকদের সংখ্যা যথেষ্টই রয়েছে। বিশেষত, প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শূন্যপদ বেশ কম বলেই দেখা গিয়েছিল। এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, বিভিন্ন আইনি বাধা সামলে শিক্ষক নিয়োগ করার ফলেই এই ব্যবধান কমিয়ে ফেলা গিয়েছিল। 
7Months ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা