নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অন্তত ১০ হাজার সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রী বিএড পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত। তাই বেসরকারি বিএড কলেজগুলির ছাত্রভর্তি ‘বেআইনি’ হলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন। সে-কথা মাথায় রেখেই সোমবারের মধ্যে বাবাসাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলেজগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহম্মদ বাকিবুল্লাহ মোল্লা। অন্যথায়, সংগঠনের সদস্য ৫৫ হাজারেরও বেশি ইমামকে নিয়ে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখানোরই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বিক্ষোভরত শিক্ষকদের সামনেই তিনি বক্তব্য রাখেন।
এদিন বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা নিয়ে সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘কাল রাতে বিভাগীয় সচিবের কাছে জানতে পারলাম, রেজিস্ট্রার চিঠি লিখে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কথা জানিয়েছেন। দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান চালাতে না পারলে সেখানে তালা লাগিয়ে চলে যাওয়া যায় না। তার আগে তথাকথিত উপাচার্য নিজে পদত্যাগ করতে পারতেন।’ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার তীব্র প্রতিবাদ-সহ, শিক্ষামন্ত্রী আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন। তাঁর ‘উপরওয়ালা’ রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত উপাচার্য নিয়েছেন কি না, সেই ইঙ্গিত করেছেন ব্রাত্য। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য না-করলেও সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি রাজ্য সরকারের মতো রাজভবনকেও জানানো হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ গেটের সামনে এদিন বিক্ষোভে বসেন বহু শিক্ষক। তবে, বিএড কলেজের শিক্ষকদের পাশাপাশি ছিলেন ডিএলএড কলেজের শিক্ষকরাও। পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি ডিএলএড কলেজের শিক্ষক বিকাশ পড়্যা বলেন, ব্যক্তি মালিকানায় অনেকেরই বিএড কলেজের পাশাপাশি ডিএলএড কলেজও রয়েছে। বিএডে ছাত্র ভর্তি বন্ধ হওয়ায় কর্ণধাররা ডিএলএড শিক্ষকদের বেতনও দিতে পারছেন না। এর ফলে টিউশনি করা ছাড়া আর কোনও পথ নেই ওই শিক্ষকদের। গ্রামাঞ্চলে টিউশনি করেও সংসার চালানো সম্ভব নয়।’ ওয়েস্ট বেঙ্গল এডুকেশন ফোরামের তরফে মলয় পীট বলেন, ‘ইমাম অ্যাসোসিয়েশন ছাত্র এবং শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোয় আমরা খুশি।’