বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

আগামী অর্থবর্ষেও বঞ্চনার রাজনীতি মোদি সরকারের 
১০০ দিনের কাজে বাংলার বরাদ্দ শূন্যই

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এক কোটির বেশি জব কার্ড হোল্ডার এবং কৃষিক্ষেত্রের বাইরে বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তারপরও ১০০ দিনের কাজ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে দুয়োরানি সুলভ আচরণে খামতি নেই মোদি সরকারের। রাজ্যের কোটি কোটি মানুষের স্বার্থ স্রেফ অবজ্ঞা করে অনিয়মের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলার উপর মনরেগা আইনের ২৭ নম্বর ধারা আরোপ করেছে কেন্দ্র। ফল? ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য সব টাকা বন্ধ। শুধু তাই নয়, মেলেনি চলতি অর্থবর্ষের বরাদ্দও। এবং সেই ধারা বজায় থাকছে। কারণ, আগামী অর্থবর্ষেও একইভাবে বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে  এই ২৭ নম্বর ধারা ‘রিভোক’ বা খারিজ করার ‘রাজনৈতিক ছাড়পত্র’ এখনও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে দেয়নি গেরুয়া শিবির। ফলে, নতুন অর্থবর্ষ শুরুর মুখে বঞ্চনার রাজনীতি থেকে মুক্তি মিলছে না রাজ্যের। 
পর পর দু’বছরে ১০০ দিনের কাজের মোট ৬২ কোটি শ্রমদিবস তৈরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলা। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নবান্ন। তাই গত ১৩ মার্চ কেন্দ্রের এমপাওয়ার্ড কমিটির বৈঠকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের বিষয়টি তুলেছিলেন পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকরা। তবে কেন্দ্রের পদস্থ কর্তারা ২৭ নম্বর ধারার অজুহাত দেখিয়েই বিস্তারিত আলোচনা এড়িয়ে যান বলে রাজ্যের দাবি। উল্টে ১০০ দিনের কাজে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে আরও তিনটি এনএলএম দল পাঠানো হয়। রাজ্য জানতে পেরেছে, অদূর ভবিষ্যতে এই ধারা খারিজ করা হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। যতদিন না এই আইনি জটিলতা মিটছে, মোদি সরকার এক টাকাও এই খাতে দেবে না বাংলাকে। তাই ইতিমধ্যে সমস্ত তথ্য এবং ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ পাঠিয়ে এই ধারা খারিজের জন্য চিঠি দিয়েছে রাজ্য। 
সারা দেশে শুধুমাত্র বাংলার উপরেই এই ধারার খাঁড়া ঝুলিয়ে রেখেছে কেন্দ্র। সম্প্রতি রাজ্য প্রশাসন জানতে পেরেছে, অন্যান্য সব রাজ্যের আবেদন (বার্ষিক পরিকল্পনার ভিত্তিতে) অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ অনুমোদন করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই খাতে বাংলায় ৩০ কোটি শ্রমদিবস তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। আগামী অর্থবর্ষে তা ধরা হয়েছিল ৩২ কোটি। কিন্তু বরাদ্দ শূন্য হলে পুরো পরিকল্পনাই অথই জলে। আতাতন্তে গ্রামীণ অর্থনীতিও। এই ইস্যুতে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের তির্যক মন্তব্য, ‘নির্মম গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক ছাড়পত্র না পেলে আধিকারিকরা ২৭ নম্বর ধারা কীভাবে তুলবেন বলুন?’

23rd     March,   2023
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ