বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

শুক্রবারের সান্ধ্য আকাশে হঠাত্ই একফালি চাঁদের নীচে দেখা গেল ছোট্ট উজ্জ্বল বিন্দু। এই মহজাগতিক দৃশ্য দেখতে মানুষের মধ্যে উত্সাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে শুরু হয়েছিল জোর চর্চা। ওই উজ্জ্বল বিন্দুর পিছনে রহস্যটা কী? মহাকাশ বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বললেন, ‘ওই বিন্দুটি শুক্র গ্রহ। এদিন চাঁদ কিছুক্ষণের জন্য শুক্রকে ঢাকা দিয়ে দিয়েছিল। কলকাতায় ৪টে ৪৩ থেকে ৬টা ৮ মিনিট পর্যন্ত চাঁদের পিছনে চলে গিয়েছিল শুক্র গ্রহ। তারপর তা ধীরে ধীরে সামনে আসতে শুরু করে। তখনই ওই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল।’

করে খাওয়ার দিন শেষ: অভিষেক
‘পাহারাদার আমিই’, কেশপুর থেকে দলের নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি 

নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: ‘করে কম্মে খাওয়ার দিন শেষ!’ শনিবার কেশপুরের জনসভা থেকে তৃণমূল নেতাদের এই ভাষাতেই সতর্ক করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, ‘সবার উপরে একটা অদৃশ্য চোখ ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ পার পাবে না। আমিই পাহারাদার।’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই হুঁশিয়ারি দলের ফুলেফেঁপে ওঠা নেতাদের যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে বলেই মত রাজনৈতিক শিবিরের। 
এদিন কেশপুরের আনন্দপুরে ভিড়ে ঠাসা জনসভায় অভিষেক বলেন, ‘সাধারণ মানুষ আমাদের যেভাবে দেখতে চান, আমি সেই তৃণমূলই গড়ব। এটাই হবে নতুন তৃণমূল।’ আর সেই দলে কোনও নেতা-কর্মীর বেচাল দেখলে তিনি যে কঠোর পদক্ষেপ করবেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘নিজেদের রেষারেষিতে যদি দলের মাথা নত হয়, তা হলে আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না। সময় দিচ্ছি, এখনও শুধরে নিন। এরপর আমি ওষুধ প্রয়োগ করলে শোধরানোর সময় পাবেন না।’ আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপিকে এক তিরে বিঁধেছেন অভিষেক।  তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা বলছে, তৃণমূল নাকি মনোনয়ন জমা করতে দেবে না। আমি এখানে দাঁড়িয়ে কথা দিচ্ছি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করানোর দায়িত্ব আমার।’
এদিন সভায় ‘নব তৃণমূল’-এর মুখ হিসেবে তিনজনকে মঞ্চে তোলেন অভিষেক। তাঁদের মধ্যে দু’জন কেশপুরের গোলার গ্রামের দম্পতি মঞ্জু দলবেরা এবং অভিজিৎ দলবেরা। অপরজন শেখ হোসিনুদ্দিন। মঞ্জুদেবী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর স্বামী অভিজিৎবাবু বুথ সভাপতি। থাকেন  মাটির বাড়িতে। তাঁর মায়ের নামে আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু তা ফিরিয়ে দিয়েছেন ওই দম্পতি। কেন? মঞ্জুদেবী বলেন, ‘ঘর নিলে বিরোধীরা হাতে অস্ত্র পেয়ে যেত। বলত, তৃণমূল করে বলে বাড়ি পেয়েছে। এটা মমতাদিদির অপমান।’ তাঁর কথার সূত্র ধরে অভিষেক বলেন, ‘এঁরাই আগামী দিনে পঞ্চায়েতের মুখ। এঁদের দলের সাধারণ সম্পাদক হয়ে আমি গর্ববোধ করি।’ 
এরপরই তিনি মঞ্চে ডেকে নেন কেশপুরের উচাহারের বাসিন্দা তথা তৃণমূল কর্মী শেখ হোসিনুদ্দিনকে। সরকারি বাড়ি পেয়েও তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। হোসিনুদ্দিন বলছিলেন, ‘বাড়ির তৈরির জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সেই বাড়ি ঠিকভাবে তৈরি করতে আরও ৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তখন মেয়ের বিয়ে দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।’ তাঁর হাত ধরে অভিষেক জানিয়ে দেন—এটাই নতুন তৃণমূল। এই দলে কোনও দাদার তল্পিবাহক হয়ে পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি হোসিনুদ্দিনকে আশ্বস্ত করেন তিনি। বলেন, ‘আপনার মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব আমার।’

5th     February,   2023
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ