রাজ্য

ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দারুণ কাজ দিচ্ছে
হোমিওপ্যাথি, বাংলার গবেষণার বিশ্ব স্বীকৃতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ইউরিক অ্যাসিডে অসম্ভব ভালো কাজ দিচ্ছে হোমিওপ্যাথি। শুধু মুখের কথা বা বিশ্বাস নয়, বিজ্ঞানসম্মতভাবে তা প্রমাণ করে দেখালেন বাংলার সরকারি চিকিৎসকরা। রক্তে স্বাভাবিক মাত্রায় ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ হল ৩.৫-৬.৫ মিগ্রা/ডিএল। তার বেশি ইউরিক অ্যা঩সিড থাকাকে বলে হাইপারইউরিসেমিয়া। পুরুষদের ক্ষেত্রে ৭ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬.৫-এর বেশি থাকলে শুরু হয়ে যায় সমস্যা। হাত, পা সহ বিভিন্ন জায়গায় ক্রিস্টাল বা কেলাস জমতে থাকে। কালক্রমে গাউটি আর্থ্রাইটিস-এর অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। কেলাসগুলি কিডনিতে জমতে জমতে কিডনি স্টোনেরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ট্যাংরার ডি এন দে হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রায় দেড় বছরের গবেষণায় দেখিয়েছেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মধ্যে থাকলে রোগীদের ইউরিক অ্যাসিডে অন্ততপক্ষে ২ মিগ্রা/ডেসিলিটার পরিবর্তন আসছে। ইংল্যণ্ডের ‘হোমিওপ্যাথি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ডি এন দে’র ডাঃ শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও ডাঃ প্রিয়াঙ্কা ঘোষের এই গবেষণা। এ প্রসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ শ্যামল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘শুধু দেশ নয়, সারা পৃথিবীতে ইউরিক অ্যাসিডে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার কার্যকারিতার ‘র‌্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়াল’ এই প্রথম হল। আশা করছি, যাঁরা আমাদের চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে এতদিন সংশয় প্রকাশ করতেন, এবার তাঁদের চোখ খুলবে।’ 
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ভরা কোভিডের সময় ডি এন দে কলেজে এই গবেষণা শুরু হয়। রক্তে স্বাভাবিকের থেকে বেশি মাত্রায় ইউরিক অ্যাসিড থাকা সবশুদ্ধ ৬০ জনকে নিয়ে হয় গবেষণা। এর মধ্যে ৩০ জনকে প্লাসিবো (ওষুধ ছাড়া) এবং ৩০ জনকে বিভিন্ন ধরনের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ডোজ মেনে দেওয়া হয়। এরপর প্রতি মাসে প্রত্যেকের ইউরিক অযাসিড লেভেল পরীক্ষা করা হয়। ২০২১ সালের এপ্রিলে শেষ হয় গবেষণা। 
দেখা যায়, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ পাওয়া রোগীদের কারও কারও রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা এই ধরনের ওষুধ না পাওয়া রোগীদের তুলনায় কমেছে ২ বা তারও বেশি। ওষুধ পেলে ইউরিক অ্যাসিড কমে হয়েছে গড়ে ৫.৪ মিগ্রা/ডেসিলিটার, যা নির্ধারিত মাত্রার মধ্যে। আর ওষুধ না পেয়ে যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৭ মিগ্রা/ডেসিলিটার। 
গবেষকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসা পর্বে বিভিন্ন রোগীদের প্রায় ২৫ ধরনের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ক্যালকেরিয়া কার্ব, পালসেটিলা, ব্রায়োনিয়া, লাইকোপেডিয়াম, মেডোরিনাম প্রভৃতি ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। সাধারণভাবে ৩০, ২০০ বা ওয়ান এম—এই তিন ধরনের ডোজে ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয়। 
শুধু রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানোই নয়, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা অংশের রোগীদের জীবনের মান বেড়েছে। উদ্বেগ কমেছে, মেজাজ ভালো থাকছে, পেশাগত জীবনের কাজের আগ্রহ বেড়েছে ইত্যাদি। এমনই দাবি করেছেন গবেষকরা। 
22Months ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা