ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
পড়ার সুযোগ- বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষা পাশ করে স্নাতকস্তরে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়া যায়। এরপর স্নাতকোত্তর স্তরে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
কাজের সুযোগ- সরকারি, বেসরকারি সংস্থা, হাসপাতাল, সরকারি এজেন্সি এবং এনজিওগুলিতে বায়োকেমিস্ট নেওয়া হয়। যদিও এই প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতিটিতেই গবেষণা, পরীক্ষা, ক্যান্সার বা এইচআইভির মতো ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য কারণ খুঁজে বার করা অথবা বিভিন্ন রকমের রোগের উৎস এবং কারণ খুঁজে বার করাই প্রথম লক্ষ্য। বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে যে সকল সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-
মেডিসিন- কোন রোগ কী কারণে হয়, কীভাবে সেই রোগ ছড়িয়ে পড়ে, মানুষের শরীরে তার প্রভাব, রাসায়নিক প্রয়োগে কী রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায় এগুলি মেডিসিন বায়োমেস্ট্রি’র সফল প্রয়োগে জানা যায়। আর এর ওপর ভিত্তি করে নানা রকমের ওষুধ তৈরি করা হয়। তাই ওষুধ শিল্পে কাজের সুযোগ রয়েছে বায়োকেমিস্টদের।
এগ্রিকালচার- উন্নত দেশের পাশাপাশি অনুন্নত দেশেও যে খাদ্যসঙ্কট চলছে, বায়োকেমিস্টদের হাত ধরে সেটাও কমাবার প্রচেষ্টা চলছে। পোকার আক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিশেষভাবে শস্য সংরক্ষণ করে এই সঙ্কটের মোকাবিলা করা হচ্ছে। আর এই কারণে চাষাবাদেও বায়োকেমিস্টরা সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। কাজের সুযোগও চাষের ক্ষেত্রে রয়েছে।
নিউট্রিশন- মানব দেহে খনিজ, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভর করে নানা ধরনের ডায়েট প্ল্যান তৈরি করতে হয়। এখানেও প্রয়োজন হয় বায়োকেমিস্টদের সাহায্য। বায়োকেমিস্টরা দেখেন এই অত্যাবশক দ্রব্যগুলি শরীরে বেশি বা কম হয়ে গেলে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। আর সেই কারণে বর্তমান সময়ে নিউট্রিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়াগাও বায়োকেমিস্টদের দখলে চলে এসেছে।
পড়া শেষে কাজ মেলে অ্যানালিটিক্যাল কেমিস্ট হিসাবে, বায়োমেডিক্যাল সায়েন্টিস্ট হিসাবে, হেলথ কেয়ার সায়েন্টিস্ট, ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রি, ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, ফরেন্সিক সায়েন্টিস্ট, সায়েন্টিফিক ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান হিসাবে।