ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
২২ জুলাই: দুপুর ২টো ৪৩ মিনিটে চন্দ্রযান-২ মহাকাশযান উৎক্ষেপণে সফল হল জিএসএলভি এমকে থ্রি-এম রকেট বা লঞ্চার ভেহিকল। উৎক্ষেপণের ১৭ মিনিটের মধ্যে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ডিম্বাকার কক্ষপথে ঘুরতে শুরু করে মহাকাশযানটি।
২৪ জুলাই: প্রথমবার চন্দ্রযান-২-এর উচ্চতা বাড়াল ইসরো। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪৮ সেকেন্ড নিজের প্রোপালশন সিস্টেম ব্যবহার করে দুপুর ২টো ৫২ মিনিটে নতুন কক্ষপথে আবর্তন শুরু করে মহাকাশযানটি।
২৬ জুলাই: পরিকল্পনা মতো রাত ১টা ৮ মিনিটে দ্বিতীয় কক্ষপথে প্রবেশ করল চন্দ্রযান-২। ৮৮৩ সেকেন্ড প্রোপালশন সিস্টেম ব্যবহার করে দ্বিতীয়বার কক্ষপথের উচ্চতা বেড়ে দাঁড়াল পৃথিবী থেকে সর্বনিম্ন ২৫১ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ৫৪, ৮২৯ কিলোমিটার।
২৯ জুলাই: তৃতীয়বারের মতো কক্ষপথের উচ্চতা বাড়ানো হল। এবার প্রোপালশন সিস্টেম ব্যবহার হল ৯৮৯ সেকেন্ড। দুপুর ৩টে ১২ মিনিটে কক্ষপথের উচ্চতা বেড়ে হল পৃথিবীরসবচেয়ে কাছে ২৭৬ কিলোমিটার।
২ আগস্ট: দুপুর ৩টে ২৭ মিনিটে চতুর্থবার উচ্চতা বৃদ্ধি হল চন্দ্রযান-২-এর কক্ষপথের। ৬৪৬ সেকেন্ড প্রোপালশন সিস্টেম ব্যবহার করে চাঁদের আরও কাছাকাছি গেল মহাকাশযানটি।
৪ আগস্ট: চন্দ্রযান-২-এর বিক্রম ল্যান্ডারে লাগানো এলআই-ফোর ক্যামেরায় মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর পাঁচটি ছবি প্রকাশ করল ইসরো। নীলাভ সবুজ পৃথিবীর যতটা অংশ দেখা যাচ্ছে, তার ডান দিকটা আটলান্টিক মহাসাগর, বাঁদিকে প্রশান্ত মহাসাগর। দুই সমুদ্রের মাঝে উত্তর আমেরিকার জঙ্গল।
৬ আগস্ট: পঞ্চম এবং শেষবারের মতো পৃথিবীর সঙ্গে যুক্ত কক্ষপথের উচ্চতা বাড়াল চন্দ্রযান ২। দুপুর ৩টে ৪ মিনিটে ১০৪১ সেকেন্ড প্রোপালশন সিস্টেম চালিয়ে এটি পৌঁছে গেল পৃথিবীর নিকটবর্তী ২২১ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ১,৪২,৯৭৫ কিলোমিটার দূরত্বের কক্ষপথে। তারপর মহাকাশযানটি লাফ দেয় চাঁদ কেন্দ্রিক কক্ষপথের উদ্দেশে। বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম ট্রান্সলুনার ইনসারশন।
১৪ আগস্ট: ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ চাঁদের কক্ষপথের উদ্দেশে সফলভাবে লাফ দিল চন্দ্রযান-২।
২০ আগস্ট: সকাল ৯টা ২ মিনিটে লুনার অরবিট ইনসারশন বা চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশে সফল হল চন্দ্রযান-২। চাঁদ থেকে সর্বনিম্ন ১১৪ কিলোমিটার ও সর্বোচ্চ ৮,০৭২ কিলোমিটার দূরত্বের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ শুরু করল সেটি।
২১ আগস্ট: চাঁদের দিকে দ্বিতীয় কক্ষপথের দিকে এগিয়ে গেল চন্দ্রযান-২। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ১২২৮ সেকেন্ড প্রোপালশন সিস্টেম জ্বালিয়ে এই লাফ দিল সেটি।
২২ আগস্ট: চন্দ্রযান-২ –এর এলআই-৪ ক্যামেরায় দেখা গেল চাঁদের ছবি। স্পষ্ট হল চাঁদের গহ্বরগুলি।
২৩ আগস্ট: টেরেন ম্যাপিং ক্যামেরা-২ দিয়ে ৪,৩৭৫ কিলোমিটার উঁচু থেকে চাঁদের উত্তর মেরুর ছবি তুলল চন্দ্রযান-২। যাতে দেখা গেল উল্কাপাতের ফলে সৃষ্ট মিত্র, জ্যাকসন, প্লাস্কেট, রোজদেস্তবেনস্কি প্রভৃতি গহ্বর।
২৭ আগস্ট: চন্দ্রগহ্বরগুলির ছবি প্রকাশ করল ইসরো।
২৮ আগস্ট: তৃতীয় চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করল চন্দ্রযান-২। সকাল ৯টা ০৪ মিনিটে ১১৯০ সেকেন্ড প্রোপালশন সিস্টেম জ্বালিয়ে চাঁদের সবচেয়ে কাছে ১৭৯ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ১,৪১২ কিলোমিটার কক্ষপথে ঘোরা শুরু করল মহাকাশযানটি।
৩০ আগস্ট: সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিটে চাঁদের চতুর্থ কক্ষপথে পৌঁছল চন্দ্রযান-২। প্রোপালশন সিস্টেম জ্বালাতে হল ১১৫৫ সেকেন্ড।
১ সেপ্টেম্বর: চাঁদের সবচেয়ে কাছে, পঞ্চম তথা শেষ কক্ষপথে পৌঁছল চন্দ্রযান-২। সন্ধ্যা ৬টা ২১ মিনিটে ৫২ সেকেন্ড প্রোপালশন সিস্টেম জ্বালিয়ে চাঁদের সবচেয়ে কাছে পৌঁছে গেল সেটি।
২ সেপ্টেম্বর: দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে লুনার অরবিটারকে বিদায় জানাল ল্যান্ডার বিক্রম।
৩ সেপ্টেম্বর: কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদে অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু করল বিক্রম ল্যান্ডার। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে শুরু হল প্রক্রিয়া। আগের কক্ষপথেই থেকে গেল লুনার অরবিটার।
৪ সেপ্টেম্বর: চাঁদের আর কাছে পৌঁছল ল্যান্ডার। ভোর তিনটে ৪২ নাগাদ ৯ সেকেন্ড জ্বালানি খরচ করে এটি নেমে এল ৩৫ X ১০১ কিলোমটার পরিধির কক্ষপথে। লুনার অরবিটারও চলে এল চাঁদের আরও কাছে, ৯৬ X ১২৫ কিলোমিটারের কক্ষপথে।
৭ সেপ্টেম্বর: রাত ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ অবতরণ শুরু। হিসেব অনুযায়ী রাত ১টা ৫৫ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা ছিল ল্যান্ডার বিক্রমের। প্রথমে ৩০ কিলোমিটারের কক্ষপথ ছাড়ার সময় সেটির গতি ছিল ঘণ্টায় ৬,১২০ কিলোমিটার। অবতরণের ছবি পাঠাতে থাকে লুনার অরবিটার।
১টা ৫০ মিনিটে তোলা ছবির সাহায্যে ল্যান্ডিংয়ের জায়গা বাছাই শুরু করল বিক্রম। তখনও সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার উপরে। রাত ১টা ৫৩ মিনিট। বিক্রম চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার উপরে। থমকে গেল কন্ট্রোল রুমের পর্দা। রাত ২টো ৬ মিনিটে ঘোষণা করা হল, ল্যান্ডারের সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
তবে এখানেই শেষ হবে না আশা। কারণ, লুনার অরবিটারের সাহায্যে বিক্রম ল্যান্ডারের অবস্থান জানা যাবে বলে আশা করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কথা ছিল ল্যান্ডিংয়ের ১৫ মিনিট পর থেকে ছবি পাঠাতে শুরু করবে বিক্রম। ৪ ঘণ্টা পর বিক্রম থেকে বেরিয়ে আসবে লুনার রোভার প্রজ্ঞান। ১৪ দিন সক্রিয় থাকার কথা ছিল সেটির।