কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
কৃষি বিশেষজ্ঞ হরষিত মজুমদার জানিয়েছেন, রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া আর পর্যাপ্ত বৃষ্টি এই চাষের পক্ষে অনুকূল। দোঁয়াশ থেকে বেলে প্রায় সব ধরনের মাটিতে চাষ সম্ভব। হেক্টর প্রতি ২৭০ থেকে ২৮০টি চারা লাগানো যেতে পারে। গরমকালে গাছে নিয়মিত জল দিতে হবে। জলসেচের ব্যবস্থা থাকলে শুকনো এলাকাতেও নারকেল চাষ করা যেতে পারে। উপকূলবর্তী জেলা ও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভালো নারকেল হয়।
নারকেল গাছ প্রধানত তিন ধরনের হয়। লম্বা, বেঁটে ও সঙ্কর। লম্বা গাছ অনেক দিন বাঁচে এবং ফলও বড় হয়। শাঁস পুরু ও মিষ্টি। পশ্চিমবঙ্গে ইস্টকোস্ট টল, আন্দামান সাধারণ ও চন্দ্রকল্প হল লম্বা জাতের গাছ। বেঁটে জাতের গাছে তিন-চার বছরে ফল দেয়। এছাড়া ভিয়েতনাম হাইব্রিড নারকেল চাষও করা যেতে পারে। দেশীয় জাতের চেয়ে ফলন প্রায় তিনগুণ। উপযুক্ত পরিচর্যা করলে বছরে একটি গাছ থেকে ২০০-২৫০টি নারকেল পাওয়া যায়। জলও বেশি। তবে আমাদের রাজ্যে উপযুক্ত হল চন্দ্রশঙ্কর নারকেলের চাষ। উল্লেখ করা যেতে পারে, জল ও শাঁস দুইয়েরই কদর বেশি। মুখ্য উৎপাদিত পণ্য হল নারকেল তেল। যা দেশের বাজারে অর্থনৈতিক পণ্য। চাষিদের মধ্যে উৎসাহ বাড়ছে। ঝুঁকছেন নারকেল চাষে।
হুগলির শিবপুর গ্রামের চাষি শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একশোর বেশি নারকেল গাছ আছে। প্রতিদিন ডাব বিক্রি হয়। এগুলো সবই লম্বা গাছ। কিছু হাইব্রিড অর্থাৎ খাটো জাতের গাছও বসানো হয়েছে। লোকসানে পড়তে হয়নি। বাজারে চাহিদা বাড়ছে। ন্যায্য দামও মেলে। হাওড়ার উত্তর পাখিরা, জগৎ প্রামাণিক একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। এদিকে, কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বর্তমানে নারকেল গাছের ফুল থেকে রস বের করে সুগার ফ্রি মিষ্টিও তৈরি হচ্ছে। বাজারে রসের চাহিদাও বাড়ছে। ফলে রাজ্যজুড়ে নারকেল চাষে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।