মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
শুরুতে নার্ভাস
এক দশক আগে মডেল হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রহমান। বড়পর্দাতে হাতেখড়ি হল ‘আমরণ’-এর মতো বড়মাপের ছবির মাধ্যমে। কাজের সুযোগ পেয়ে নার্ভাস লেগেছিল? তিনি বললেন, ‘নবাগত হিসেবে তারকাদের সঙ্গে কাজ করা একটু চাপের তো বটেই। তবে অতুল মোঙ্গিয়ার কাছে ওয়ার্কশপ করার পর আমার মধ্যে বদল এসেছিল। আমার ভিতরের ‘আসিফ ওয়ানি’ (চরিত্রের নাম)-কে খুঁজে বের করতে উনি আমায় সাহায্য করেছিলেন। চরিত্রটাকে নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করার পর ক্যামেরার সামনে পারফর্ম করার জন্য আমি রীতিমতো অপেক্ষা করেছিলাম।’
সাফল্যের স্বাদ
প্রথম ছবিতেই প্রশংসা। এতে আপ্লুত রহমান। ‘আসিফ ওয়ানি’র মতো আতঙ্কবাদীর চরিত্রে অভিনয় করা সত্ত্বেও সকলের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন তিনি। রহমান বলেন, ‘আমি এখনও সাফল্যের নেশায় বুঁদ হয়ে রয়েছি। দর্শকের থেকে যে ভালোবাসা আর প্রশংসা পাচ্ছি, তা অবিশ্বাস্য। আমি কাজের প্রতি আরও বেশি ফোকাস করতে চাই। সাফল্যকে উপভোগ করার এটাই সবথেকে ভালো পন্থা।’
সেরা প্রাপ্তি
‘আমরণ’ ছবি থেকে সেরা প্রাপ্তি কী? রহমান বলেন, ‘নিজের প্রতি আস্থা রাখা— এটাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। খলনায়ক হিসেবে আমার ডেবিউ হল। দু’বছর ধরে আমি কোনও কাজ নিইনি। শুধুমাত্র এই ছবিটি নিয়েই কাজ করেছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমি তার যথাযথ মূল্য পেয়েছি। ‘আমরণ’ আমার জন্য অনেক দরজা খুলে দিয়েছে।’
পরিশ্রমই শেষ কথা
রহমান জানান যে, ইন্ডাস্ট্রিতে কখনও তাঁর কোনও মেন্টর বা সাপোর্ট সিস্টেম ছিল না। তাঁর কথায়, ‘কাজের ব্যাপারে আমি কখনও কারও উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকিনি। আমার বিশ্বাস, লক্ষ্যে স্থির থাকা এবং কঠোর পরিশ্রম করা, এটাই সবচেয়ে বড় সমর্থন।’
বহিরাগত
কাশ্মীর থেকে মুম্বইতে এসে এই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোনও অসুবিধা হয়নি বলে জানান রহমান। মুম্বই প্রসঙ্গে কী মত মডেল-অভিনেতার? তাঁর জবাব, ‘এই সফরে আমার সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকজন মানুষের সাক্ষাৎ হয়েছে। আর আমি বিশ্বাস করি না যে কারও নিজেকে ‘ফিট’ করানোর প্রয়োজন আছে। আপনি আপনার মতো থাকবেন। মুম্বই আমাকে দু’হাত ভরে দিয়েছে, এর জন্য যতই ধন্যবাদ জানাই তা যথেষ্ট নয়। আর আপনি নিজেকে বহিরাগত মনে করলে সারাজীবন বহিরাগত হয়েই থেকে যাবেন।’ যদিও সুস্মিতার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।