পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
জামালউদ্দিনের জিহ্বায় বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যানসার। নিরুপায় হয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সে। কত কাজ যে সেখানে অসমাপ্ত পড়ে আছে। পুজো এসে গেল। মা দুগ্গা, শ্রীরাধিকা সেজে যাত্রার আসর মাতাবে সব। ব্যাকুল হৃদয়ে ডাক্তারবাবুর কাছে ছুটির আর্জি জানায় জামালউদ্দিন। বায়না দিয়ে গিয়েছে সব। সময়মতো পরচুলা হাতে না পেলে, মাথায় না পরলে সাজ সম্পূর্ণ হবে কী করে? কিন্তু শিয়রে শমন নিয়ে বসে থাকা এক আকুল শিল্পীকে, চিকিৎসক ছুটি দেবেন কীভাবে? এইখানেই এক চিকিৎসকের দায়িত্ববোধ, শিল্পবোধ, মমত্ববোধকে লেখায়, অভিনয়ে ও পরিচালনায় চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন অমিতাভ (রঘুপতি রূপে)।
মঞ্চের দুটো ভাগ যেন জীবনের দুই মেরু। একদিকে রোগ ও রোগীর সঙ্গে লড়াইয়ে নামার মন্ত্রনালয়। অন্যদিকে, এক মৃত্যুপথযাত্রী শিল্পীর যন্ত্রণা। জীবন ও যন্ত্রনার সেতু রেখায় মিনু জীবনের প্রতীক। যাকে দেখে আর একবার বাঁচার কথা ভাবা যায়। প্রণোচ্ছল অভিনয়ে চরিত্রটিকে ও নাটকটিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জীবন্ত করে রাখেন পায়েল রায়। ‘সিস্টার’ ধৃতিকণা ভট্টাচার্য সেই প্রবাহমানতার প্যারামিটার। অনবদ্য দক্ষতায় ‘জামালউদ্দিন’কে মঞ্চায়িত করেছেন গৌতম চক্রবর্তী। আশা-নিরাশার প্রেক্ষাপটে গৌতম এবং শিঞ্জিনী চক্রবর্তীর (বনমালী তুমি) গান নাট্য আবহকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।