পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
সন্তান সন্ততিরা যে যার জগতে ব্যস্ত। প্রতিদিন নিয়ম করে বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলে তারা। বছরে দু-একবার বাবার কাছে আসে কর্তব্যের তাগিদে। ব্যস এটুকুই। এক সময় যে বাড়ি আনন্দে মুখরিত হয়ে থাকত, এখন সেখানে শূন্যতা। ছেলেমেয়েদের বাবার প্রতি দায়িত্ব কি শুধুমাত্র ফোনে কয়েক মিনিটের কথাতেই সীমাবদ্ধ? তাদের সঙ্গ পাওয়া কি জীবনের প্রাপ্তি নয়? বিপত্নীক বিবেকের সঙ্গে অবিবাহিত বন্ধু মান্নার এই নিয়ে মতবিরোধ হয়। দু’জনের মানসিক দ্বন্দ্ব হয়ে দাঁড়ায় চ্যালেঞ্জ।
মুখ আর মুখোশের এই লড়াইয়ের বাস্তব প্রেক্ষাপটকে মঞ্চে তুলে ধরেছেন পরিচালক পুলক রায়। বিবেক (সুমন রায়) এখানে সেই মুখ হয়ে হাজির হয়েছে। চরিত্রের বুনন আরও পোক্ত হওয়া উচিত ছিল। নাটকের প্রধান চরিত্র হয়েও অভিনয়ে কোথাও একটা খামতি থেকে যায়। তুলনায় ডাক্তার বন্ধুর (কমল বন্দোপাধ্যায়) অভিনয় ছিল সাবলীল। পরিচারক অবিনাশ (রাকেশ সাহা), বীরেন (অরূপ কুমার দাস), বড় মেয়ের (দীপ্তিকা সরকার) অভিনয়ে চরিত্রের গভীরে গিয়ে সেরাটা দেওয়ার অভাব বোধ হল। ছোট ছেলে ধীরেন (দীপ সরকার) ও মেজ বউ নমিতা (স্নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়) স্বপ্রতিভ ছিলেন। পল্লব কর্মকারের মঞ্চ পরিকল্পনা ভালো লাগে। অতনু সরকারের আলো ও বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের আবহ নাটককে পূর্ণতা দিয়েছে।
নিত্যদিন ঘটে যাওয়া কঠিন বাস্তবকে মঞ্চে তুলে ধরেছেন পরিচালক। একান্নবর্তী সংসার এখন স্বপ্ন। সময়ের প্রবাহমান ধারায় নিঃসঙ্গ হতে থাকা মানুষেরা জীবনের শেষ লগ্নে আঁকড়ে ধরতে চায় অতীতকে। চারপাশের মহা শূন্যতায় হারিয়ে যাওয়ার আগে ফিরে পেতে চায় প্রিয়জনদের।